আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫২- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৯৭
২৬২১. জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে কুরআন শরীফ দাওর করতেন।
মাসরূক (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) এর মাধ্যমে ফাতেমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে গোপনে বলেছেন, প্রতি বছর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমার সাথে একবার কুরআন শরীফ দাওর করতেন; কিন্তু এ বছর তিনি আমার সাথে দু’বার দাওর করেছেন। আমার মানে হচ্ছে আমার মৃত্যু আসন্ন।
৪৬৩৫। ইয়াহয়া ইবনে কাযা’আ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন রাসূল (ﷺ) কল্যাণের কাজে ছিলেন সবচেয়ে বেশী দানশীল, বিশেষভাবে রমযান মাসে। (তাঁর দানশীলতার কোন সীমা ছিল না) কেননা, রমযান মাসের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাত্রে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতেন এবং তিনি তাঁকে কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। যখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতেন তখন তিনি কল্যাণের ব্যাপারে প্রবহমান বায়ুর চেয়েও অধিক দানশীল হতেন।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

রমজান মাস দানশীলতার মাস : দান-সদকা সর্বাবস্থাতেই উৎকৃষ্ট আমল, কিন্তু রমযানে তার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ার সকল মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমযান মাসে তাঁর দানের হস্ত আরো প্রসারিত হত।’ -সহীহ বুখারী,
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৪৬৩৫ | মুসলিম বাংলা