আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫২- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৬৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৯৩
২৬২০. কুরআন সংকলন।
৪৬৩১। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... ইউসুফ ইবনে মাহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাযিঃ) এর কাছে ছিলাম। এমতাবস্থায় এক ইরাকী ব্যক্তি এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলঃ কোন ধরনের কাফন শ্রেষ্ঠ? তিনি বললেন, আফসোস তোমার প্রতি! এতে তোমার কী ক্ষতি? তারপর লোকটি বলল, হে উম্মুল মু’মিনীন! আমাকে আপনি আপনার কুরআন শরীফের কপি দেখান। তিনি বললেন, কেন? লোকটি বলল, এ তারতীবে কুরআন শরীফকে বিন্যস্ত করার জন্য। কারণ লোকেরা তাকে অবিন্যস্তভাবে পাঠ করে। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, তোমরা এর যে অংশই আগে পাঠ কর না কেন, এতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। (مفصل) মুফাসসাল সূরাসমূহের মাঝে প্রথমত ঐ সূরাগুলো অবতীর্ণ হয়েছে। যার মধ্যে জান্নাত ও জাহান্নামের উল্লেখ রয়েছে।
তারপর যখন লোকেরা দলে দলে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে লাগল তখন হালাল-হারামের বিধান সম্বলিত সূরাগুলো নাযিল হয়েছে। যদি সূচনাতেই এ আয়াত নাযিল হত যে, তোমরা মদ পান করো না, তাহলে লোকেরা বলত, আমরা কখনো মদপান ত্যাগ করব না। যদি শুরুতেই নাযিল হতো তোমরা ব্যভিচার করো না, তাহলে তারা বলত আমরা কখনো অবৈধ যৌনাচার বর্জন করব না। আমি যখন খেলাধুলার বয়সী একজন বালিকা তখন মক্কায় রাসূল (ﷺ) এর প্রতি নিম্নলিখিত আয়াতগুলো নাযিল হলঃ بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ মানে, অধিকন্তু কিয়ামত তাদের শাস্তির নির্ধারিত কাল এবং কিয়ামত হবে কঠিনতর ও তিক্ততর”। বিধান সম্বলিত সূরা বাকারা ও সূরা নিসা আমি রাসূল (ﷺ)-এর সঙ্গে থাকাকালীন অবস্থায় নাযিল হয়।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আয়েশা (রাযিঃ) তাঁর কাছে সংরক্ষিত কুরআনের কপি বের করলেন এবং সূরাসমূহ লেখালেন।
باب تَأْلِيفِ الْقُرْآنِ
4993 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ أَخْبَرَهُمْ، قَالَ: وَأَخْبَرَنِي يُوسُفُ بْنُ مَاهَكٍ، قَالَ: إِنِّي عِنْدَ عَائِشَةَ أُمِّ المُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، إِذْ جَاءَهَا عِرَاقِيٌّ، فَقَالَ: أَيُّ الكَفَنِ خَيْرٌ؟ قَالَتْ: وَيْحَكَ، وَمَا يَضُرُّكَ؟ " قَالَ: يَا أُمَّ المُؤْمِنِينَ، أَرِينِي مُصْحَفَكِ؟ قَالَتْ: لِمَ؟ قَالَ: لَعَلِّي أُوَلِّفُ القُرْآنَ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ يُقْرَأُ غَيْرَ مُؤَلَّفٍ، قَالَتْ: وَمَا يَضُرُّكَ أَيَّهُ قَرَأْتَ قَبْلُ؟ " إِنَّمَا نَزَلَ أَوَّلَ مَا نَزَلَ مِنْهُ سُورَةٌ مِنَ المُفَصَّلِ، فِيهَا ذِكْرُ الجَنَّةِ وَالنَّارِ، حَتَّى إِذَا ثَابَ النَّاسُ إِلَى الإِسْلاَمِ نَزَلَ الحَلاَلُ وَالحَرَامُ، وَلَوْ نَزَلَ أَوَّلَ شَيْءٍ: لاَ تَشْرَبُوا الخَمْرَ، لَقَالُوا: لاَ نَدَعُ الخَمْرَ أَبَدًا، وَلَوْ نَزَلَ: لاَ تَزْنُوا، لَقَالُوا: لاَ نَدَعُ الزِّنَا أَبَدًا، لَقَدْ نَزَلَ بِمَكَّةَ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنِّي لَجَارِيَةٌ أَلْعَبُ: {بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ} [القمر: 46] وَمَا نَزَلَتْ سُورَةُ البَقَرَةِ وَالنِّسَاءِ إِلَّا وَأَنَا عِنْدَهُ "، قَالَ: فَأَخْرَجَتْ لَهُ المُصْحَفَ، فَأَمْلَتْ عَلَيْهِ آيَ السُّوَرِ
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৪৬৩১ | মুসলিম বাংলা