শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৯৭৩
রাত-দিনের নফল কিরূপ?
১৯৭৩। আবু বাকরা (রাহঃ) …… আবু মা’শার (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, ইব্রাহীম (রাহঃ) বলেছেনঃ রাত-দিনের সালাত দু’দু রাক’আত করে । তবে তুমি ইচ্ছে করলে দিনের সালাত চার রাক’’আত ও পড়তে পার মাঝখানে সালাম না ফিরিয়ে শুধুমাত্র শেষে সালাম ফিরিয়ে ।
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এতে দিনের সালাতের হুকুম সম্পর্কে আমি যে উক্তি উল্লেখ করলাম, তা অবশ্যই প্রমাণিত হল। বস্তুত এসব রিওয়ায়াতকে প্রতিহত করার বা এগুলোর বিপরীত কোন রিওয়ায়াত নেই ।
আর রাতের সালাত সম্পর্কে যে মতবিরোধ রয়েছে তা এ অনুচ্ছেদের প্রারম্ভে উল্লেখ করেছি ।
বস্তুত যাঁরা রাতের বেলা মাঝখানে সালামের ব্যবধান ব্যতীত আট রাক’আত সালাত পড়া জায়েয বলে মত প্রকাশ করেন তাঁদের প্রমাণ হল রাসূলুল্লাহ্ (স) এর হাদীস যে, তিনি রাতের এগার রাক’আত সালাত পড়তেন , এর মধ্যে বিত্র ছিল তিন রাক’আত । তাঁদেরকে বলা হবে, যুহ্রী (রাহঃ) উরওয়া (রাহঃ) থেকে তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ ( স) সে সব সালাতের উক্তি দু’রাক’আতে সালাম ফিরাতেন ।
বস্তুত রাসূলুল্লাহ্ (স) এ বিষয়ে যা আমল করেছেন , যা নির্দেশ দিয়েছেন, তারপর তাঁর সাহাবারা আমল করেছেন সে সব তাঁর কাছ থেকে জেনেই তারা অনুসরণ করেছেন। অথচ আমরা রাসূলুল্লাহ্ (স) –এর কোন আমল কিংবা উক্তি এরূপ পাইনি যে, তিনি এক তাকবীরে দু’রাক’আতের অধিক সালাত পড়াকে মুবাহ করেছেন বা বলেছেন । এটাইকে আমরা গ্রহণ করি । এ ব্যাপারে এটাই আমাদের মতে দুউক্তির মধ্যে বিশুদ্ধতর উক্তি ।
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এতে দিনের সালাতের হুকুম সম্পর্কে আমি যে উক্তি উল্লেখ করলাম, তা অবশ্যই প্রমাণিত হল। বস্তুত এসব রিওয়ায়াতকে প্রতিহত করার বা এগুলোর বিপরীত কোন রিওয়ায়াত নেই ।
আর রাতের সালাত সম্পর্কে যে মতবিরোধ রয়েছে তা এ অনুচ্ছেদের প্রারম্ভে উল্লেখ করেছি ।
বস্তুত যাঁরা রাতের বেলা মাঝখানে সালামের ব্যবধান ব্যতীত আট রাক’আত সালাত পড়া জায়েয বলে মত প্রকাশ করেন তাঁদের প্রমাণ হল রাসূলুল্লাহ্ (স) এর হাদীস যে, তিনি রাতের এগার রাক’আত সালাত পড়তেন , এর মধ্যে বিত্র ছিল তিন রাক’আত । তাঁদেরকে বলা হবে, যুহ্রী (রাহঃ) উরওয়া (রাহঃ) থেকে তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ ( স) সে সব সালাতের উক্তি দু’রাক’আতে সালাম ফিরাতেন ।
বস্তুত রাসূলুল্লাহ্ (স) এ বিষয়ে যা আমল করেছেন , যা নির্দেশ দিয়েছেন, তারপর তাঁর সাহাবারা আমল করেছেন সে সব তাঁর কাছ থেকে জেনেই তারা অনুসরণ করেছেন। অথচ আমরা রাসূলুল্লাহ্ (স) –এর কোন আমল কিংবা উক্তি এরূপ পাইনি যে, তিনি এক তাকবীরে দু’রাক’আতের অধিক সালাত পড়াকে মুবাহ করেছেন বা বলেছেন । এটাইকে আমরা গ্রহণ করি । এ ব্যাপারে এটাই আমাদের মতে দুউক্তির মধ্যে বিশুদ্ধতর উক্তি ।
1973 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، أَنَّ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: «صَلَاةُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى , إِلَّا أَنَّكَ إِنْ شِئْتَ صَلَّيْتَ مِنَ النَّهَارِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ لَا تُسَلِّمُ إِلَّا فِي آخِرِهِنَّ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَدْ ثَبَتَ حُكْمُ صَلَاةِ النَّهَارِ عَلَى مَا ذَكَرْنَا , وَمَا رَوَيْنَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ , لَمْ يَدْفَعْ ذَلِكَ وَلَمْ يُعَارِضْهُ شَيْءٌ , وَأَمَّا صَلَاةُ اللَّيْلِ , فَقَدْ ذَكَرْنَا فِيهَا مِنَ الِاخْتِلَافِ مَا ذَكَرْنَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ. فَكَانَ مِنْ حُجَّةِ الَّذِينَ جَعَلُوا لَهُ أَنْ يُصَلِّيَ بِاللَّيْلِ ثَمَانِيًا لَا يَفْصِلُ بَيْنَهُنَّ بِتَسْلِيمٍ حَدِيثُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي بِاللَّيْلِ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً مِنْهَا الْوِتْرُ ثَلَاثُ رَكَعَاتٍ» . فَقِيلَ لَهُ فَقَدْ رَوَى الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , أَنَّهُ كَانَ يُسَلِّمُ بَيْنَ كُلِّ اثْنَتَيْنِ مِنْهُنَّ. وَهَذَا الْبَابُ إِنَّمَا يُؤْخَذُ مِنْ جِهَةِ التَّوْقِيفِ وَالِاتِّبَاعِ لِمَا فَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَ بِهِ وَفَعَلَهُ أَصْحَابُهُ مِنْ بَعْدِهِ فَلَمْ نَجِدْ عِنْدَ مَنْ فَعَلَهُ وَلَا مِنْ قَوْلِهِ أَنَّهُ أَبَاحَ أَنْ يُصَلَّى فِي اللَّيْلِ بِتَكْبِيرَةٍ أَكْثَرَ مِنْ رَكْعَتَيْنِ وَبِذَلِكَ نَأْخُذُ وَهُوَ أَصَحُّ الْقَوْلَيْنِ عِنْدَنَا فِي ذَلِكَ
