শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৯৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৬৩
৪১. রাত-দিনের নফল কিরূপ?
১৯৬২-১৯৬৩। আবু বাকরা (রাহঃ)….. ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি মারফূরূপে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (স) বলেনঃ রাত-দিনের সালাত দু’দু’ রাক’আত করে।

ফাহাদ (রাহঃ) .. .. .. .. ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসুলুল্লাহ (স) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এ মতের অনুসারী । তাঁরা বলেছেনঃ রাত-দিনের সালাত দু’দু’ রাক’আত করে । দু’রাক’আত পরে সালাম ফিরাবে । উপরোক্ত হাদীসসমুহ দ্বারা তাঁরা প্রমাণ পেশ করেন।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করেন । তাঁরা বলেনঃ দিনের সালাতে আপনি ইচ্ছা করলে এক-তাকবীরে দু’রাক’আত করে সালাত পড়তে পারেন। প্রতি দু’রাক’আতে সালাম ফিরাবেন। আর ইচ্ছা করলে চার রাক’আত করেও পড়তে পারেন । তাঁদের মতে চার রাক’আতের অধিক (এক তাকবীরে-তাহরীমায়) পড়া মাকরূহ । অবশ্য তাঁদের মধ্যে রাতের সালাতের ব্যাপারে মত বিরোধ রয়েছে । তাঁদের কেউ কেউ বলেনঃ একই তাকবীরে দু’রাক’আত, চার রাক’আত, ছয় রাক’আত ও আট রাক’আত পড়তে পারেন । এটি ইচ্ছাধীন বিষয় এর অধিক করা তাঁদের মতে মাকরূহ । এ মতের আলিমদের মধ্যে অন্যতম হলেন (ইমাম) আবু হানীফা (রাহঃ) । আর তাঁদের অন্য কেউ বলেছেনঃ রাতের সালাত দু’দু’রাক’আত করে । প্রতি দূ’রাক’আত পরে সালাম ফিরাবে। এ মতের অনুসারী হলেন (ইমাম) আবু ইউসূফ (রাহঃ) । আর দিনের সালাত সম্পর্কে যে মত উল্লেখ করলাম তার প্রবক্তা হলেন আবু হানীফা (রাহঃ) , আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) ..।
বস্তুত প্রথমোক্ত উক্তির প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে এঁদের একটি প্রমাণ হল, যাঁরা ইব্‌ন-উমর (রাযিঃ)-এর হাদীস বর্ণনা করেছেন, আলী আল-বারেকী (রাহঃ) এবং আল-উমারী (রাহঃ) .. .. .. .. নাফি(রাহঃ) .. .. .. ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) সূত্র ব্যতীত সেগুলো হলো কেবলমাত্র রাতের সালাত সম্পর্কে । দিনের সালাত সম্পর্কে নয়। এ প্রসঙ্গে আমরা বিতর অধ্যায়ে আলোচনা করেছি । রাসূলুল্লাহ্‌ (স) –এর পর ইব্‌ন-উমর ( রা) –এর এরূপ আমলও বর্ণিত আছে ,, যা এ-অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণিত দু’টি হাদীসের অসারতা প্রমাণ করে
بَابُ التَّطَوُّعِ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ كَيْفَ هُوَ؟
1962 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ , قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ عَبْدِ اللهِ الْبَارِقِيَّ يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: وَأُرَاهُ قَدْ رَفَعَهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «صَلَاةُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى»

1963 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحُنَيْنِيُّ، عَنِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا فَقَالُوا: هَكَذَا صَلَاةُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى , يُسَلِّمُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ. وَاحْتَجُّوا بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: أَمَّا صَلَاةُ النَّهَارِ , فَإِنْ شِئْتَ تُصَلِّي بِتَكْبِيرَةٍ مَثْنَى مَثْنَى , تُسَلِّمُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ وَإِنْ شِئْتَ أَرْبَعًا , وَكَرِهُوا أَنْ يَزِيدَ عَلَى ذَلِكَ شَيْئًا , وَاخْتَلَفُوا فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ , فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنْ شِئْتَ صَلَّيْتَ بِتَكْبِيرَةٍ رَكْعَتَيْنِ , وَإِنْ شِئْتَ أَرْبَعًا , وَإِنْ شِئْتَ سِتًّا , وَإِنْ شِئْتَ ثَمَانِيًا , وَكَرِهُوا أَنْ يَزِيدَ عَلَى ذَلِكَ شَيْئًا. وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِكَ: أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ , وَقَالَ بَعْضُهُمْ: صَلَاةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى , يُسَلِّمُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ. وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِكَ: أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ , وَأَمَّا مَا ذَكَرْنَا فِي صَلَاةِ النَّهَارِ , فَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَكَانَ مِنْ حُجَّتِهِمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى: أَنَّ كُلَّ مَنْ رَوَى حَدِيثَ ابْنِ عُمَرَ سِوَى عَلِيٍّ الْبَارِقِيِّ , وَسِوَى مَا رَوَى الْعُمَرِيُّ عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا إِنَّمَا يَقْصِدُ إِلَى صَلَاةِ اللَّيْلِ خَاصَّةً دُونَ صَلَاةِ النَّهَارِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ فِي بَابِ الْوِتْرِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِنْ فِعْلِهِ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى فَسَادِ هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ أَيْضًا الَّذِينَ ذَكَرْنَاهُمَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ১৯৬২ | মুসলিম বাংলা