শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮৯৬
নামাযের অধ্যায়
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৮৯৬। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. শুরাহবীল ইবন সীমত (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা কা'ব ইবন মুররা (রাযিঃ) অথবা মুররা ইব্ন কা'ব (রাযিঃ)-কে বললাম, আমাদেরকে আপনি এরূপ একটি হাদীস বর্ণনা করুন যা আপনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে শুনেছেন, আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন! আর সাবধান থাকবেন। তিনি বললেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুযার গোত্রের বিরুদ্ধে বদ্দুআ করলেন, আমি তাঁর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা আপনাকে সাহায্য করেছেন এবং আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আপনার কাওম (সম্প্রদায়) অবশ্যই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আপনি তাদের জন্য দু'আ করুন। তিনি বললেন, হে আল্লাহ, আমাদেরকেঃ তৃপ্তিকর বর্ষণকারী বৃষ্টি দ্বারা, যা অত্যন্ত তৃপ্তি দায়ক এবং ভূমিতে শ্যামলতা আনয়নকারী, যা স্তরে স্তরে বড় বড় ফোঁটার সাথে দ্রুত বর্ষণকারী হয়, যাতে দেরী না হয়, যা হিতকর, ক্ষতিকর নয়। রাবী বলেন, এক সপ্তাহ অথবা অনুরূপ সময় পর্যন্ত তাদের মধ্যে বৃষ্টি অব্যাহত ছিল।
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এক দল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, ইস্তিস্কা'র সুন্নত হল আল্লাহর নিকট বিনীতভাবে দু'আ এবং রোনাযারী করা যেমনটি এ সমস্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে এবং এতে সালাতের বিধান নেই। এ মত যাঁরা গ্রহণ করেছেন আবু হানীফা (রাহঃ) তাঁদের অন্যতম।
এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন, এ দলের মধ্যে আবু ইউসুফ (রাহঃ) অন্যতম। তাঁরা বলেছেনঃ বরং ইস্তিস্কার সুন্নত হলোঃ ইমাম লোকদেরকে নিয়ে ঈদগাহে (ময়দানে) বের হবেন এবং সেখানে তিনি তাদেরকে নিয়ে দু'রাক'আত সালাত আদায় করবেন । আর উক্ত দু'রাক'আতে সশব্দে কিরা'আত পড়বেন তারপর খুতবা প্রদান করবেন এবং নিজ চাদর উল্টিয়ে পরবেন চাদরের উপর অংশকে নীচে করবেন আর নীচের অংশকে উপরে করবেন। তবে যদি ভারী চাদর হয় যা এভাবে উল্টানো সম্ভবপর নয় অথবা যদি সবুজ চাদর হয় তাহলে এর ডান প্রান্ত বাম কাঁধে এবং বাম প্রান্ত ডান কাঁধে স্থাপন করবে।
(প্রথম দলের দলীলের উত্তরে) তারা বলেন যে, এ সমস্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আমল এবং তাঁর প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা এটিও জায়িয আছে। আল্লাহর নিকট তিনি এ বিষয়ে প্রার্থনা করবেন এতে কিন্তু ইমামের জন্য ইচ্ছা করলে লোকদের নিয়ে উল্লিখিত পদ্ধতিতে ইস্তিস্কার সালাত আদায় করা যে সুন্নত তা নাকচ হয় না।
বস্তুত এ বিষয়ে তাঁরা যা উল্লেখ করেছেন আমরা তা পর্যালোচনা করে দেখি যে, এর জন্য আমরা হাদীস থেকে কোন দলীল পাই কি না ? আমরা দেখিঃ
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এক দল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, ইস্তিস্কা'র সুন্নত হল আল্লাহর নিকট বিনীতভাবে দু'আ এবং রোনাযারী করা যেমনটি এ সমস্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে এবং এতে সালাতের বিধান নেই। এ মত যাঁরা গ্রহণ করেছেন আবু হানীফা (রাহঃ) তাঁদের অন্যতম।
এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন, এ দলের মধ্যে আবু ইউসুফ (রাহঃ) অন্যতম। তাঁরা বলেছেনঃ বরং ইস্তিস্কার সুন্নত হলোঃ ইমাম লোকদেরকে নিয়ে ঈদগাহে (ময়দানে) বের হবেন এবং সেখানে তিনি তাদেরকে নিয়ে দু'রাক'আত সালাত আদায় করবেন । আর উক্ত দু'রাক'আতে সশব্দে কিরা'আত পড়বেন তারপর খুতবা প্রদান করবেন এবং নিজ চাদর উল্টিয়ে পরবেন চাদরের উপর অংশকে নীচে করবেন আর নীচের অংশকে উপরে করবেন। তবে যদি ভারী চাদর হয় যা এভাবে উল্টানো সম্ভবপর নয় অথবা যদি সবুজ চাদর হয় তাহলে এর ডান প্রান্ত বাম কাঁধে এবং বাম প্রান্ত ডান কাঁধে স্থাপন করবে।
(প্রথম দলের দলীলের উত্তরে) তারা বলেন যে, এ সমস্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আমল এবং তাঁর প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা এটিও জায়িয আছে। আল্লাহর নিকট তিনি এ বিষয়ে প্রার্থনা করবেন এতে কিন্তু ইমামের জন্য ইচ্ছা করলে লোকদের নিয়ে উল্লিখিত পদ্ধতিতে ইস্তিস্কার সালাত আদায় করা যে সুন্নত তা নাকচ হয় না।
বস্তুত এ বিষয়ে তাঁরা যা উল্লেখ করেছেন আমরা তা পর্যালোচনা করে দেখি যে, এর জন্য আমরা হাদীস থেকে কোন দলীল পাই কি না ? আমরা দেখিঃ
كتاب الصلاة
1896 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ السِّمْطِ، قَالَ: قُلْنَا لِكَعْبِ بْنِ مُرَّةَ أَوْ مُرَّةَ بْنِ كَعْبٍ حَدَّثَنَا حَدِيثًا، سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِلَّهِ أَبُوكَ وَاحْذَرْ، قَالَ: دَعَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مُضَرَ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ اللهَ قَدْ نَصَرَكَ وَاسْتَجَابَ لَكَ وَإِنَّ قَوْمَكَ قَدْ هَلَكُوا فَادْعُ اللهَ لَهُمْ فَقَالَ: «اللهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا مُرِيعًا طَبَقًا غَدَقًا عَاجِلًا غَيْرَ رَائِثٍ نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ» قَالَ: فَمَا كَانَ إِلَّا جُمُعَةٌ أَوْ نَحْوُهَا حَتَّى مُطِرُوا قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ سُنَّةَ الِاسْتِسْقَاءِ هُوَ الِابْتِهَالُ إِلَى اللهِ تَعَالَى وَالتَّضَرُّعُ إِلَيْهِ , كَمَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ صَلَاةٌ , وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , مِنْهُمْ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ فَقَالُوا: بَلِ السُّنَّةُ فِي الِاسْتِسْقَاءِ أَنْ يَخْرُجَ الْإِمَامُ بِالنَّاسِ إِلَى الْمُصَلَّى وَيُصَلِّيَ بِهِمْ هُنَاكَ رَكْعَتَيْنِ وَيَجْهَرَ فِيهِمَا بِالْقِرَاءَةِ , ثُمَّ يَخْطُبَ وَيُحَوِّلَ رِدَاءَهُ فَيَجْعَلَ أَعْلَاهُ أَسْفَلَهُ وَأَسْفَلَهُ أَعْلَاهُ إِلَّا أَنْ يَكُونَ رِدَاءً ثَقِيلًا لَا يُمْكِنُهُ قَلْبُهُ كَذَلِكَ , أَوْ يَكُونَ طَيْلَسَانًا , فَيُجْعَلَ الشِّقُّ الْأَيْمَنُ مِنْهُ عَلَى الْكَتِفِ الْأَيْسَرِ , وَالشِّقُّ الْأَيْسَرُ مِنْهُ عَلَى الْكَتِفِ الْأَيْمَنِ. وَقَالُوا: مَا ذُكِرَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ مِنْ فِعْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسُؤَالِهِ بِهِ , فَهُوَ جَائِزٌ أَيْضًا يُسْأَلُ اللهُ ذَلِكَ , فَلَيْسَ فِيهِ دَفْعُ أَنْ يَكُونَ مِنْ سُنَّةِ الْإِمَامِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَسْتَسْقِيَ بِالنَّاسِ أَنْ يَفْعَلَ مَا ذَكَرْنَا. فَنَظَرْنَا فِيمَا ذَكَرُوا مِنْ ذَلِكَ: هَلْ نَجِدُ لَهُ مِنَ الْآثَارِ دَلِيلًا؟