শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮৮৫
নামাযের অধ্যায়
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৮৫। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সালাতুল খাওফ পড়েছেন, তারপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
এ হাদীসের বিষয়বস্তু গ্রহণকারী ফকীহদের মধ্যে ইবন আবু লায়লা (রাহঃ) অন্যতম। আর আবু হানীফা (রাহঃ) এবং মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) উক্ত হাদীসকে গ্রহণ করেননি। যেহেতু আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেনঃ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ “আর অপর এক দল যারা সালাতে শরীক হয়নি তারা তোমার সাথে যেন সালাতে শরীক হয়”। অথচ এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তারা সকলে এক সাথে সালাত পড়েছেন।
তাছাড়া ইবন উমর (রাযিঃ) ও ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে উবায়দুল্লাহ্ ইবন আব্দুল্লাহর হাদীস এবং হুযায়ফা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, দ্বিতীয় দল দ্বিতীয় রাক'আতে শরীক হয়েছে । তাঁরা এর পূর্বে সালাত পড়েননি। বস্তুত এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে তাঁদের সূত্রে বর্ণিত হাদীসগুলোর প্রতি কুরআন সমর্থন করে। অতএব আবু আইয়াশ (রাযিঃ) ও জাবির (রাযিঃ)-এর দু'হাদীস অপেক্ষা উক্ত হাদীসগুলো তাঁর (আবু হানীফা) নিকট উত্তম বিবেচিত হয়েছে।
আবু ইউসুফ (রাহঃ) মত গ্রহণ করেছেন যে, যদি শত্রু কিবলা অভিমুখে থাকে তাহলে সালাত সেভাবেই হবে যেমনটি আবু আইয়াশ (রাযিঃ) এবং জাবির (রাযিঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। আর যদি তারা (শত্রুরা) কিবলা ব্যতীত অন্যদিকে অবস্থানরত থাকে তাহলে সালাত হবে সেভাবে যেমনটি ইবন উমর (রাযিঃ), হুযায়ফা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। যেহেতু আবু আইয়শ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে তারা কিবলা অভিমুখে ছিলো। আর ইবন উমর (রাযিঃ), হুযায়ফা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে এসব কিছুর উল্লেখ নেই। তবে এ বিষয়ে ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করা হয়েছে যা তাদের রিওয়ায়াতের অনুকূলে এবং তিনি বলেছেনঃ শত্রু কিবলা ব্যতীত অন্যদিকে অবস্থান করছিল।
আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেছেনঃ আমি উভয় হাদীসকেই বিশুদ্ধ মনে করি। ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর হাদীস ও এর অনুকূলে যা রয়েছে সেগুলো প্রযোজ্য হবে তখন, যখন শত্রু কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে হয়, আর আবু আইয়াশ (রাযিঃ) ও জাবির (রাযিঃ) এর হাদীস প্রযোজ্য হবে তখন, যখন শত্রু কিবলা অভিমুখে হয়। এটি আমাদের নিকট কুরআন শরীফের বিরোধী নয়। যেহেতু সম্ভাবনা রয়েছে যে, আল্লাহর বাণী وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ তখনকার জন্য যখন শত্রু কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে বিদ্যমান থাকে । তারপর আল্লাহ তা'আলা তাঁর নিকট এ মর্মে ওয়াহী প্রেরণ করেছেন যে, শত্রুরা যদি কিবলা অভিমুখে হয় তাহলে সালাতের (খাওফ) বিধান কিরূপ হবে ? এ জন্য তিনি উভয় পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন, যেমনটি উভয় হাদীসে এসেছে। বস্তুত আমাদের নিকট এ বিষয়ে এটি-ই হচ্ছে বিশুদ্ধতম ও সর্বোত্তম উক্তি। যেহেতু হাদীসসমূহের বিশুদ্ধিকরণে এর সাক্ষ্য বহন করে। আব্দল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে সালাতুল খাওফ বিষয়ে যে হাদীস রিওয়ায়াত করা হয়েছে যা আমরা এ অনুচ্ছেদের প্রথম দিকে বর্ণনা করে এসেছি। যা উবায়দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) তাঁর সূত্রে যী-কারাদ যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সালাত (খাওফ) রিওয়ায়াত করেছেন তাও উল্লিখিত বিশ্লেষণকে সমর্থন করে। অতএব এটি সেই হাদীসের অনুকূলে রয়েছে যা এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ), আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ) হুযায়ফা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন।
তারপর এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে তাঁর অভিমত সম্পর্কে রিওয়ায়াত করা হয়েছেঃ
এ হাদীসের বিষয়বস্তু গ্রহণকারী ফকীহদের মধ্যে ইবন আবু লায়লা (রাহঃ) অন্যতম। আর আবু হানীফা (রাহঃ) এবং মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) উক্ত হাদীসকে গ্রহণ করেননি। যেহেতু আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেনঃ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ “আর অপর এক দল যারা সালাতে শরীক হয়নি তারা তোমার সাথে যেন সালাতে শরীক হয়”। অথচ এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তারা সকলে এক সাথে সালাত পড়েছেন।
তাছাড়া ইবন উমর (রাযিঃ) ও ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে উবায়দুল্লাহ্ ইবন আব্দুল্লাহর হাদীস এবং হুযায়ফা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, দ্বিতীয় দল দ্বিতীয় রাক'আতে শরীক হয়েছে । তাঁরা এর পূর্বে সালাত পড়েননি। বস্তুত এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে তাঁদের সূত্রে বর্ণিত হাদীসগুলোর প্রতি কুরআন সমর্থন করে। অতএব আবু আইয়াশ (রাযিঃ) ও জাবির (রাযিঃ)-এর দু'হাদীস অপেক্ষা উক্ত হাদীসগুলো তাঁর (আবু হানীফা) নিকট উত্তম বিবেচিত হয়েছে।
আবু ইউসুফ (রাহঃ) মত গ্রহণ করেছেন যে, যদি শত্রু কিবলা অভিমুখে থাকে তাহলে সালাত সেভাবেই হবে যেমনটি আবু আইয়াশ (রাযিঃ) এবং জাবির (রাযিঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। আর যদি তারা (শত্রুরা) কিবলা ব্যতীত অন্যদিকে অবস্থানরত থাকে তাহলে সালাত হবে সেভাবে যেমনটি ইবন উমর (রাযিঃ), হুযায়ফা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। যেহেতু আবু আইয়শ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে তারা কিবলা অভিমুখে ছিলো। আর ইবন উমর (রাযিঃ), হুযায়ফা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে এসব কিছুর উল্লেখ নেই। তবে এ বিষয়ে ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করা হয়েছে যা তাদের রিওয়ায়াতের অনুকূলে এবং তিনি বলেছেনঃ শত্রু কিবলা ব্যতীত অন্যদিকে অবস্থান করছিল।
আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেছেনঃ আমি উভয় হাদীসকেই বিশুদ্ধ মনে করি। ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর হাদীস ও এর অনুকূলে যা রয়েছে সেগুলো প্রযোজ্য হবে তখন, যখন শত্রু কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে হয়, আর আবু আইয়াশ (রাযিঃ) ও জাবির (রাযিঃ) এর হাদীস প্রযোজ্য হবে তখন, যখন শত্রু কিবলা অভিমুখে হয়। এটি আমাদের নিকট কুরআন শরীফের বিরোধী নয়। যেহেতু সম্ভাবনা রয়েছে যে, আল্লাহর বাণী وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ তখনকার জন্য যখন শত্রু কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে বিদ্যমান থাকে । তারপর আল্লাহ তা'আলা তাঁর নিকট এ মর্মে ওয়াহী প্রেরণ করেছেন যে, শত্রুরা যদি কিবলা অভিমুখে হয় তাহলে সালাতের (খাওফ) বিধান কিরূপ হবে ? এ জন্য তিনি উভয় পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন, যেমনটি উভয় হাদীসে এসেছে। বস্তুত আমাদের নিকট এ বিষয়ে এটি-ই হচ্ছে বিশুদ্ধতম ও সর্বোত্তম উক্তি। যেহেতু হাদীসসমূহের বিশুদ্ধিকরণে এর সাক্ষ্য বহন করে। আব্দল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে সালাতুল খাওফ বিষয়ে যে হাদীস রিওয়ায়াত করা হয়েছে যা আমরা এ অনুচ্ছেদের প্রথম দিকে বর্ণনা করে এসেছি। যা উবায়দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) তাঁর সূত্রে যী-কারাদ যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সালাত (খাওফ) রিওয়ায়াত করেছেন তাও উল্লিখিত বিশ্লেষণকে সমর্থন করে। অতএব এটি সেই হাদীসের অনুকূলে রয়েছে যা এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ), আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ) হুযায়ফা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন।
তারপর এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে তাঁর অভিমত সম্পর্কে রিওয়ায়াত করা হয়েছেঃ
كتاب الصلاة
1885 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ صَلَّاهَا فَذَكَرَ نَحْوًا مِنْ هَذَا وَكَانَ ابْنُ أَبِي لَيْلَى مِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ. وَتَرَكَهُ أَبُو حَنِيفَةَ , وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ ; لِأَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ: {وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ} [النساء: 102] وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُمْ صَلَّوْا جَمِيعًا. وَفِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَعُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَفِي حَدِيثِ حُذَيْفَةَ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ دُخُولُ الطَّائِفَةِ الثَّانِيَةِ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ لَمْ يَكُونُوا صَلَّوْا قَبْلَ ذَلِكَ , فَالْقُرْآنُ يَدُلُّ عَلَى مَا جَاءَتْ بِهِ الرِّوَايَةُ عَنْهُمْ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ فَكَانَتْ عِنْدَهُ أَوْلَى مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَيَّاشٍ , وَجَابِرٍ , هَذَيْنِ وَذَهَبَ أَبُو يُوسُفَ إِلَى أَنَّ الْعَدُوَّ إِذَا كَانَ فِي الْقِبْلَةِ , فَالصَّلَاةُ كَمَا رَوَى أَبُو عَيَّاشٍ وَجَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا. وَإِنْ كَانُوا فِي غَيْرِ الْقِبْلَةِ , فَالصَّلَاةُ كَمَا رَوَى ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَحُذَيْفَةُ , وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ. لِأَنَّ فِي حَدِيثِ أَبِي عَيَّاشٍ أَنَّهُمْ كَانُوا فِي الْقِبْلَةِ , وَحَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ , وَحُذَيْفَةَ , وَزَيْدٍ , لَمْ يُذْكَرْ فِيهِ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ إِلَّا أَنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذَلِكَ مَا يُوَافِقُ مَا رَوَوْا وَقَالَ: كَانَ الْعَدُوُّ فِي غَيْرِ الْقِبْلَةِ. قَالَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ فَأُصَحِّحُ الْحَدِيثَيْنِ فَأَجْعَلُ حَدِيثَ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَمَا وَافَقَهُ إِذَا كَانَ الْعَدُوُّ فِي غَيْرِ الْقِبْلَةِ وَحَدِيثَ أَبِي عَيَّاشٍ , وَجَابِرٍ , إِذَا كَانَ الْعَدُوُّ فِي الْقِبْلَةِ. وَلَيْسَ هَذَا بِخِلَافِ التَّنْزِيلِ عِنْدَنَا لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ قَوْلُهُ {وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ} [النساء: 102] إِذَا كَانَ الْعَدُوُّ فِي غَيْرِ الْقِبْلَةِ. ثُمَّ أَوْحَى اللهُ إِلَيْهِ بَعْدَ ذَلِكَ كَيْفَ حُكْمُ الصَّلَاةِ إِذَا كَانُوا فِي الْقِبْلَةِ فَفَعَلَ الْفِعْلَيْنِ جَمِيعًا كَمَا جَاءَ الْخَبَرَانِ. وَهَذَا أَصَحُّ الْأَقَاوِيلِ عِنْدَنَا فِي ذَلِكَ وَأَوْلَاهَا ; لِأَنَّ تَصْحِيحَ الْآثَارِ يَشْهَدُ لَهُ وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَدْ رُوِيَ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صَلَاةِ الْخَوْفِ مَا قَدْ ذَكَرْنَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ مِمَّا رَوَاهُ عَنْهُ عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ مِنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذِي قَرَدٍ فَكَانَ ذَلِكَ مُوَافِقًا لِمَا رَوَى عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَعَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ , وَحُذَيْفَةُ , وَزَيْدٌ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ. ثُمَّ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذَلِكَ مِنْ رَأْيِهِ مَا