শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৮৭৯
নামাযের অধ্যায়
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৭৯। হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ) ….. মায়মুনা (রাযিঃ) এর আযাদকৃত গোলাম সুলায়মান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি মসজিদে এলাম, দেখলাম ইবন উমর (রাযিঃ) বসে রয়েছেন আর লোকেরা সালাতরত । আমি (তাঁকে) বল্‌লাম, আপনি লোকদের সাথে সালাত পড়ছেন না কেন ? তিনি বললেন, আমি গৃহে সালাত পড়ে নিয়েছি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একদিনে এক ফরয কে দু'বার পড়তে নিষেধ করেছেন। আর নিষেধাজ্ঞা তো বৈধতার পরে হয়ে থাকে। অবশ্যই মুসলমানরা ইসলামের প্রাথমিক যুগে অনুরূপ করতেন। তাঁরা নিজেদের গৃহে সালাত আদায় করে মসজিদে আসতেন আর উক্ত সালাতই জামাআতে যতটুকু পেতেন ফরয হিসাবে পড়তেন। অতএব বুঝা গেল যে, তাঁরা অবশ্যই একদিনে এক ফরয কে দু'বার (ফরযরূপে) পড়তেন। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে এরূপ করতে নিষেধ করেন এরপর তিনি নির্দেশ দেন, যে ব্যক্তি মসজিদে এসে উক্ত (গৃহে আদায়কৃত) সালাত কে পায় তাহলে পড়ে নিবে এবং তা নফল হিসাবে সাব্যস্ত করবে। আর ইবন উমর (রাযিঃ) লোকদের সাথে সালাত পড়াকে পরিহার করেছেন। আমাদের নিকট এতে দু'টি সম্ভাবনা রয়েছেঃ (ক) হতে পারে উক্ত সালাত এমন সময়ের ছিলো যার পরে নফল পড়া হয় না সুতরাং তা পড়া জায়িয নয় তাই তাঁকে সেটা ফরয হিসাবে-ই পড়তে হতো। এ কারণে তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক দিনে এক ফরয সালাতকে দু'বার পড়তে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ আমার জন্য তা ফরয হিসাবে পড়া জায়িয হবে না। যেহেতু আমি তা একবার পড়ে ফেলেছি এবং আমি তাদের সাথে শরীক হব না, যেহেতু আমার জন্য সে সময় নফল পড়া জায়িয হবে না। (খ) এমনও হতে পারে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে পুনঃ সালাত পড়ার নিষেধাজ্ঞা যথার্থ অর্থেই শুনেছেন তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা নফল হিসাবে পড়ার অনুমতি দিয়েছেন, কিন্তু ইবন উমর (রাযিঃ) তা শুনেননি। এ বিষয়ে আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করে দেখেছিঃ
كتاب الصلاة
1879 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ، قَالَ: أنا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، مَوْلَى مَيْمُونَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , قَالَ: " أَتَيْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ جَالِسًا وَالنَّاسُ فِي الصَّلَاةِ فَقُلْتُ: أَلَا تُصَلِّي مَعَ النَّاسِ؟ فَقَالَ: قَدْ صَلَّيْتُ فِي رَحْلِي , إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ تُصَلَّى فَرِيضَةٌ مَرَّتَيْنِ " فَالنَّهْيُ لَا يَكُونُ إِلَّا بَعْدَ الْإِبَاحَةِ. فَقَدْ كَانَ الْمُسْلِمُونَ هَكَذَا يَصْنَعُونَ فِي بَدْءِ الْإِسْلَامِ , يُصَلُّونَ فِي مَنَازِلِهِمْ ثُمَّ يَأْتُونَ الْمَسْجِدَ فَيُصَلُّونَ تِلْكَ الصَّلَاةَ الَّتِي أَدْرَكُوهَا عَلَى أَنَّهَا فَرِيضَةٌ فَيَكُونُوا قَدْ صَلَّوْا فَرِيضَةً مَرَّتَيْنِ حَتَّى نَهَاهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ , وَأَمَرَ بَعْدَ ذَلِكَ مَنْ جَاءَ إِلَى الْمَسْجِدِ فَأَدْرَكَ تِلْكَ الصَّلَاةَ أَنْ يُصَلِّيَهَا وَيَجْعَلَهَا نَافِلَةً. وَتَرْكُ ابْنِ عُمَرَ الصَّلَاةَ مَعَ الْقَوْمِ يُحْتَمَلُ عِنْدَنَا ضَرْبَيْنِ. يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ تِلْكَ الصَّلَاةُ , صَلَاةً لَا يُتَطَوَّعُ بَعْدَهَا فَلَمْ يَكُنْ يَجُوزُ أَنْ يُصَلِّيَهَا إِلَّا عَلَى أَنَّهَا فَرِيضَةٌ , فَقَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُصَلِّيَ فَرِيضَةً فِي يَوْمٍ مَرَّتَيْنِ» , أَيْ فَلَا يَجُوزُ أَنْ أُصَلِّيَهَا فَرِيضَةً لِأَنِّي قَدْ صَلَّيْتُهَا مَرَّةً , وَلَا أَدْخُلُ مَعَهُمْ لِأَنِّي لَا يَجُوزُ لِي التَّطَوُّعُ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ. وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ سُمِعَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّهْيُ , عَنْ إِعَادَتِهَا عَلَى هَذَا الْمَعْنَى الَّذِي نَهَى عَنْهُ , ثُمَّ رَخَّصَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ذَلِكَ أَنْ تُصَلَّى عَلَى أَنَّهَا نَافِلَةٌ فَلَمْ يَسْمَعْ ذَلِكَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ