আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৫২
২৬০৩. সূরা ইনশিরাহ
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, وِزْرَكَ অর্থ জাহিলী যুগের বোঝা। أَنْقَضَ মানে অতিশয় কষ্টদায়ক।
مَعَ الْعُسْرِيُسْرًا এর ব্যাখ্যায় ইবনে উয়ায়না (রাহঃ) বলেন, এ কঠিন অবস্থার পরই আরেকটি সহজ অবস্থা আছে। যেমন আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, هَلْ تَرَبَّصُوْنَ بِنَآ إِلَّآ إِحْدَى الْحُسْنَيَيْنِ তোমরা আমাদের দু’টি মঙ্গলের একটির প্রতীক্ষা করছ। একটি কঠিন অবস্থা দু’টি সহজ অবস্থাকে কখনো পরাভূত করতে পারবে না। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, فَانْصَبْ অর্থ-প্রয়োজন পূরণের জন্য তুমি তোমার রবের কাছে কাকুতি-মিনতি করে প্রার্থনা কর।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ এর ব্যাখ্যায় বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ্ রাববুল আলামীন নবী (ﷺ) এর বক্ষকে ইসলামের জন্য প্রশস্ত করে দিয়েছেন।

সূরা তীন
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, আয়াতের মধ্যে التِّيْنُ وَالزَّيْتُوْنُ বলে ঐ তীন ও যায়তূনকে বোঝানো হয়েছে, যা মানুষ খায়। فَمَا يُكَذِّبُكَ মানুষকে তাদের কাজের বিনিময় দেয়া হবে এ সম্বন্ধে কোন জিনিস তোমাকে অবিশ্বাসী করে। অর্থাৎ শাস্তি কিংবা পুরস্কার দানের ব্যাপারে তোমাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করার ক্ষমতা রাখে কে?
৪৫৯৩। হাজ্জাজ ইবনে মিনহাল (রাহঃ) ......... বারা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) সফরে থাকা কালে ইশার নামাযের দুই রাকআতের কোন এক রাকআতে ‘সূরা তীন’ তিলাওয়াত করেছেন। تقويم অর্থ সৃষ্টি

হাদীসের ব্যাখ্যা:

মুক্তাদী কর্তৃক ইমামের ইশার নামাযের কিরাত শ্রবণ করা থেকে প্রমাণিত হয় যে, রসূলুল্লাহ স. ইশার নামাযে সশব্দে কুরআন পাঠ করেছেন। এ আমলের ব্যতিক্রম তিনি কখনো করেছেন মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অতএব, ইশার নামাযে ইমামের জন্য উচ্চস্বরে কুরআন পড়া জরুরী।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন