শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৬৯৮
নামাযের অধ্যায়
বিতর প্রসঙ্গ
১৬৯৮। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) ..... সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) সূত্রে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন বিতর সাত রাক'আত এবং পাচ রাক'আত ছিলো। আর শুধু তিন রাক'আত হচ্ছে. বুতায়রা (লেজ্কাটা) এতে বুঝা গেল যে, আয়িশা (রাযিঃ) বিতর এর পূর্বে নফল সালাত ব্যতীত শুধু বিতর আদায়কে মাকরূহ মনে করেন। বিতরের পূর্বে যেন অন্য সালাত আদায় করা হয়। তাঁর নিকট উত্তম বিতর হচ্ছে যার পূর্বে নফল বিদ্যমান থাকবে। চাই তা চার রাক'আত হোক অথবা দু'রাক'আত হোক। যার সাথে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর রাতের নফল সালাত একত্রিত হয়ে যায় এবং যার সাথে পরবর্তী সালাত বিতর হওয়ার যোগ্যতা রাখে। যেহেতু সমস্ত সালাতের উপর বিতর এর সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর, এজন্য সমস্তকে বিতররূণে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত সমস্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, বিতর হচ্ছে তিন রাক'আত। আয়েশা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত দ্বারা তা-ই প্রমাণিত হলো, যা সা'দ ইবৃন হিশাম (রাহঃ) আয়েশা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। যেহেতু তাঁর উক্তি নিজস্ব অভিমতের অনুকূলে হয়েছে। এতে প্রমাণিত হলো যে, বিতর হচ্ছে তিন রাক'আত যার শেষ রাক'আতেই একমাত্র সালাম ফিরানো হবে।
এ বিষয়ে হিশাম (রাহঃ) তাঁর পিতা উরওয়া (রাহঃ) থেকে যে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পাঁচ রাক'আত বিশিষ্ট বিতর আদায় করতেন যার শেষে একমাত্র বৈঠক করতেন। বস্তুত এর কোন অর্থ আমরা খুঁজে পাই না। পক্ষান্তরে উরওয়া এবং অন্যান্যদের সূত্রে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে সাধারণ রাবীদের রিওয়ায়াতগুলো এর পরিপন্থী। অতএব তাঁর একক ও স্বতন্ত্র বর্ণনা অপেক্ষা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ রাবীদের রিওয়ায়াত উত্তম বিবেচিত হবে।
আর ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে এরুপ অনেক হাদীস বর্ণিত আছে সেগুলোর অর্থ ও.বিষয়বস্তু আয়েশা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বিষয়বস্তুর অনুরূপ। সেগুলো থেকে উল্লেখ্যঃ
এ বিষয়ে হিশাম (রাহঃ) তাঁর পিতা উরওয়া (রাহঃ) থেকে যে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পাঁচ রাক'আত বিশিষ্ট বিতর আদায় করতেন যার শেষে একমাত্র বৈঠক করতেন। বস্তুত এর কোন অর্থ আমরা খুঁজে পাই না। পক্ষান্তরে উরওয়া এবং অন্যান্যদের সূত্রে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে সাধারণ রাবীদের রিওয়ায়াতগুলো এর পরিপন্থী। অতএব তাঁর একক ও স্বতন্ত্র বর্ণনা অপেক্ষা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ রাবীদের রিওয়ায়াত উত্তম বিবেচিত হবে।
আর ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে এরুপ অনেক হাদীস বর্ণিত আছে সেগুলোর অর্থ ও.বিষয়বস্তু আয়েশা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বিষয়বস্তুর অনুরূপ। সেগুলো থেকে উল্লেখ্যঃ
كتاب الصلاة
1698 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ: عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , قَالَتْ: «كَانَ الْوِتْرُ سَبْعًا وَخَمْسًا , وَالثَّلَاثُ بُتَيْرَاءٌ» فَكَرِهَتْ أَنْ تَجْعَلَ الْوِتْرَ ثَلَاثًا لَمْ يَتَقَدَّمْهُنَّ شَيْءٌ حَتَّى يَكُونَ قَبْلَهُنَّ غَيْرُهُنَّ , فَلَمَّا كَانَ الْوِتْرُ عِنْدَهَا أَحْسَنَ مَا يَكُونُ هُوَ أَنْ يَتَقَدَّمَهُ تَطَوُّعٌ إِمَّا أَرْبَعٌ وَإِمَّا اثْنَتَانِ جَمَعَتْ بِذَلِكَ تَطَوُّعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي اللَّيْلِ الَّذِي صَلُحَ بِهِ الْوِتْرُ الَّذِي بَعْدَهَا وَالْوِتْرَ فَسَمَّتْ ذَلِكَ بِذَلِكَ وِتْرًا. إِلَّا أَنَّهُ قَدْ ثَبَتَ فِي جُمْلَةِ ذَلِكَ عَنْهَا أَنَّ الْوِتْرَ ثَلَاثًا فَثَبَتَ مِنْ رِوَايَتِهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا رَوَاهُ عَنْهَا سَعْدُ بْنُ هِشَامٍ لِمُوَافَقَةِ قَوْلِهَا مِنْ رَأْيِهَا إِيَّاهُ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْوِتْرَ ثَلَاثًا لَا يُسَلِّمُ إِلَّا فِي آخِرِهِنَّ. غَيْرَ أَنَّ مَا رَوَاهُ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةٍ عَنْ أَبِيهِ فِي ذَلِكَ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُوتِرُ بِخَمْسٍ لَا يَجْلِسُ إِلَّا فِي آخِرِهِنَّ» لَمْ نَجِدْ لَهُ مَعْنًى. وَقَدْ جَاءَتِ الْعَامَّةُ عَنْ أَبِيهِ وَعَنْ غَيْرِهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , بِخِلَافِ ذَلِكَ , فَمَا رَوَتْهُ الْعَامَّةُ أَوْلَى مِمَّا رَوَاهُ هُوَ وَحْدَهُ وَانْفَرَدَ بِهِ. وَقَدْ رُوِيَتْ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ آثَارٌ يَعُودُ مَعْنَاهَا أَيْضًا إِلَى الْمَعْنَى الَّذِي عَادَ إِلَيْهِ مَعْنَى حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا. فَمِنْ ذَلِكَ