শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৫২৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৫২৭
সিজদায় যেতে প্রথমে উভয় হাত না উভয় হাঁটু রাখবে
১৫২৬-১৫২৭। ইউনুস (রাহঃ) ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাত অঙ্গে সিজদা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ)....ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। অতএব এই সমস্ত অঙ্গগুলাের উপরই সিজদা হয় ।
আমরা অনুসন্ধানী দৃষ্টি দেই যে, অঙ্গগুলাে স্থাপনের ব্যাপারে ঐকমত্যের বিধান কিরূপ, যাতে অবহিত
হওয়া যায়, এ ব্যাপারে তারা যে মতবিরােধ পােষণ করেছেন তার বিধান কিরূপ। বস্তুত আমরা
দেখতে পেলাম যে, কোন ব্যক্তি যখন সিজদা করে তখন সে নিজের উভয় হাঁটু অথবা উভয় হাত, এ
দুটোর কোন একটিকে প্রথমে রাখে। তারপর রাখে তার মাথা। আরাে আমরা দেখি যখন সে সিজদা
থেকে উঠে তখন সে প্রথমে মাথা উঠায়। অতএব দেখা গেল যে, উঠানাের ব্যাপারে মাথা হচ্ছে সর্বপ্রথম আর রাখার ক্ষেত্রে মাথা হচ্ছে সর্বশেষ | মাথা উঠানাের পরে উভয় হাত উঠায় তারপর
উভয় হাঁটু । এটি হচ্ছে সকলের কাছে ঐকমত্যের বিষয়।
অতএব অনুসন্ধানী দৃষ্টিকোণ থেকে প্রমাণিত হলাে যে, মাথা যখন উঠানাের ব্যাপারে অগ্রবর্তী হচ্ছে,
রাখার ব্যাপারে হবে পরবর্তী। অনুরূপ বিধান হলাে উভয় হাতের । যেহেতু উঠানাের ব্যাপারে উভয়
হাত উভয় হাঁটুর অগ্রবর্তী, তাই রাখার ব্যাপারে উভয় হাত হবে উভয় হাঁটু অপেক্ষা পরবর্তী।
এতে ওয়াইল (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বিষয়বস্তু-ই প্রমাণিত হলাে। আর এটি-ই সঠিক দৃষ্টিকোণ।
এটিকেই আমরা গ্রহণ করি এবং এটিই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ
(রাহঃ)-এর অভিমত।
হযরত উমর (রাযিঃ), আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) প্রমুখ থেকেও এরূপ বর্ণিত আছে। যেমন-
ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ)....ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। অতএব এই সমস্ত অঙ্গগুলাের উপরই সিজদা হয় ।
আমরা অনুসন্ধানী দৃষ্টি দেই যে, অঙ্গগুলাে স্থাপনের ব্যাপারে ঐকমত্যের বিধান কিরূপ, যাতে অবহিত
হওয়া যায়, এ ব্যাপারে তারা যে মতবিরােধ পােষণ করেছেন তার বিধান কিরূপ। বস্তুত আমরা
দেখতে পেলাম যে, কোন ব্যক্তি যখন সিজদা করে তখন সে নিজের উভয় হাঁটু অথবা উভয় হাত, এ
দুটোর কোন একটিকে প্রথমে রাখে। তারপর রাখে তার মাথা। আরাে আমরা দেখি যখন সে সিজদা
থেকে উঠে তখন সে প্রথমে মাথা উঠায়। অতএব দেখা গেল যে, উঠানাের ব্যাপারে মাথা হচ্ছে সর্বপ্রথম আর রাখার ক্ষেত্রে মাথা হচ্ছে সর্বশেষ | মাথা উঠানাের পরে উভয় হাত উঠায় তারপর
উভয় হাঁটু । এটি হচ্ছে সকলের কাছে ঐকমত্যের বিষয়।
অতএব অনুসন্ধানী দৃষ্টিকোণ থেকে প্রমাণিত হলাে যে, মাথা যখন উঠানাের ব্যাপারে অগ্রবর্তী হচ্ছে,
রাখার ব্যাপারে হবে পরবর্তী। অনুরূপ বিধান হলাে উভয় হাতের । যেহেতু উঠানাের ব্যাপারে উভয়
হাত উভয় হাঁটুর অগ্রবর্তী, তাই রাখার ব্যাপারে উভয় হাত হবে উভয় হাঁটু অপেক্ষা পরবর্তী।
এতে ওয়াইল (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বিষয়বস্তু-ই প্রমাণিত হলাে। আর এটি-ই সঠিক দৃষ্টিকোণ।
এটিকেই আমরা গ্রহণ করি এবং এটিই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ
(রাহঃ)-এর অভিমত।
হযরত উমর (রাযিঃ), আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) প্রমুখ থেকেও এরূপ বর্ণিত আছে। যেমন-
1526 - وَمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ طَاوُسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: «أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْظُمٍ»
1527 - وَمَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَكَانَتْ هَذِهِ الْأَعْضَاءُ هِيَ الَّتِي عَلَيْهَا السُّجُودُ. فَنَظَرْنَا كَيْفَ حُكْمُ مَا اتُّفِقَ عَلَيْهِ مِنْهَا لِيُعْلَمَ بِهِ كَيْفَ حُكْمُ مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنْهَا فَرَأَيْنَا الرَّجُلَ إِذَا سَجَدَ يَبْدَأُ بِوَضْعِ أَحَدِ هَذَيْنِ إِمَّا رُكْبَتَاهُ وَإِمَّا يَدَاهُ ثُمَّ رَأْسُهُ بَعْدُهُمَا وَرَأَيْنَاهُ إِذَا رَفَعَ بَدَأَ بِرَأْسِهِ فَكَانَ الرَّأْسُ مُقَدَّمًا فِي الرَّفْعِ مُؤَخَّرًا فِي الْوَضْعِ ثُمَّ يُثَنِّي بَعْدَ رَفْعِ رَأْسِهِ بِرَفْعِ يَدَيْهِ ثُمَّ رُكْبَتَيْهِ وَهَذَا اتِّفَاقٌ مِنْهُمْ جَمِيعًا فَكَانَ النَّظَرُ عَلَى مَا وَصَفْنَا فِي حُكْمِ الرَّأْسِ إِذَا كَانَ مُؤَخَّرًا فِي الْوَضْعِ لَمَّا كَانَ مُقَدَّمًا فِي الرَّفْعِ أَنْ يَكُونَ الْيَدَانِ كَذَلِكَ لَمَّا كَانَتَا مُقَدَّمَتَيْنِ عَلَى الرُّكْبَتَيْنِ فِي الرَّفْعِ أَنْ تَكُونَا مُؤَخَّرَتَيْنِ عَنْهُمَا فِي الْوَضْعِ فَثَبَتَ بِذَلِكَ مَا رَوَى وَائِلٌ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ وَبِهِ نَأْخُذُ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عُمَرَ وَعَبْدِ اللهِ وَغَيْرِهِمَا
1527 - وَمَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَكَانَتْ هَذِهِ الْأَعْضَاءُ هِيَ الَّتِي عَلَيْهَا السُّجُودُ. فَنَظَرْنَا كَيْفَ حُكْمُ مَا اتُّفِقَ عَلَيْهِ مِنْهَا لِيُعْلَمَ بِهِ كَيْفَ حُكْمُ مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنْهَا فَرَأَيْنَا الرَّجُلَ إِذَا سَجَدَ يَبْدَأُ بِوَضْعِ أَحَدِ هَذَيْنِ إِمَّا رُكْبَتَاهُ وَإِمَّا يَدَاهُ ثُمَّ رَأْسُهُ بَعْدُهُمَا وَرَأَيْنَاهُ إِذَا رَفَعَ بَدَأَ بِرَأْسِهِ فَكَانَ الرَّأْسُ مُقَدَّمًا فِي الرَّفْعِ مُؤَخَّرًا فِي الْوَضْعِ ثُمَّ يُثَنِّي بَعْدَ رَفْعِ رَأْسِهِ بِرَفْعِ يَدَيْهِ ثُمَّ رُكْبَتَيْهِ وَهَذَا اتِّفَاقٌ مِنْهُمْ جَمِيعًا فَكَانَ النَّظَرُ عَلَى مَا وَصَفْنَا فِي حُكْمِ الرَّأْسِ إِذَا كَانَ مُؤَخَّرًا فِي الْوَضْعِ لَمَّا كَانَ مُقَدَّمًا فِي الرَّفْعِ أَنْ يَكُونَ الْيَدَانِ كَذَلِكَ لَمَّا كَانَتَا مُقَدَّمَتَيْنِ عَلَى الرُّكْبَتَيْنِ فِي الرَّفْعِ أَنْ تَكُونَا مُؤَخَّرَتَيْنِ عَنْهُمَا فِي الْوَضْعِ فَثَبَتَ بِذَلِكَ مَا رَوَى وَائِلٌ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ وَبِهِ نَأْخُذُ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عُمَرَ وَعَبْدِ اللهِ وَغَيْرِهِمَا
