শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১২২৬
যুহর ও আসরের কিরাআত
১২২৬। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যুহরের প্রথম দুই রাক'আতের প্রত্যেক রাক'আতে ত্রিশ আয়াত এবং শেষ দুই রাক'আতে তার অর্ধেক পরিমাণ দাঁড়াতেন। আসরের সালাতে প্রথম দুই রাক'আতে পনের আয়াত এবং শেষ দুই রাক'আতে তার অর্ধেক পরিমাণ দাঁড়াতেন।
1226 - وَأَنَّ إِبْرَاهِيمَ بْنَ مَرْزُوقٍ , قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا حَبَّانُ بْنُ هِلَالٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ , عَنِ الْوَلِيدِ أَبِي بِشْرِ بْنِ مُسْلِمٍ الْعَنْبَرِيِّ , عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِي , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُومُ فِي الظُّهْرِ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ , قَدْرَ قِرَاءَةِ ثَلَاثِينَ آيَةً , وَفِي الْأُخْرَيَيْنِ , نِصْفُ ذَلِكَ , وَكَانَ يَقُومُ فِي الْعَصْرِ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ , قَدْرَ خَمْسَ عَشْرَةَ آيَةً , وَفِي الْأُخْرَيَيْنِ قَدْرَ نِصْفِ ذَلِكَ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রসূল স. যোহরের নামাযে আলিফ লাম মীম সিজদা বা ভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী ৩০ আয়াত বিশিষ্ট ছূরা তিলাওয়াত করেছেন। আর এটা তিওয়ালে মুফাছ্ছাল (হুজুরাত থেকে বুরুজ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ বা তার কাছাকাছি হয়। আর আসরের নামাযে তিনি যোহরের অর্ধেক পরিমাণ তিলাওয়াত করেছেন যা আওসাতে মুফাছ্ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, যোহরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো তিওয়ালে মুফাছ্ছাল। আর আসরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো আওসাতে মুফাছ্ছাল। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৯২) এর বিপরীতে মুসলিম শরীফের ৯১৩ নং হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রসূলুলস্নাহ স. যোহরের নামাযে ছূরা আল-লাইল পড়তেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিনি যোহরের নামাযে আওসাতে মুফাছ্ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত) পড়তেন। এটাও আমল করা যেতে পারে।
