আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯০৭
২৫৭১. আল্লাহর বাণীঃ يقولون لئن رجعنا إلى المدينة ليخرجن الأعز منها الأذل ولله العزة ولرسوله وللمؤمنين ولكن المنافقين لا يعلمون "তারা বলে, আমরা মদীনায় প্রত্যাবর্তন করলে তথা হতে প্রবল লোকেরা দুর্বল লোকদের বহিস্কৃত করবেই। কিন্তু শক্তি তো আল্লাহরই, আর তার রাসুল ও মু’মিনদের। তবে মুনাফিকরা তা জানে না" (৬৩ঃ ৮)
৪৫৪৭। হুমায়দী (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক যুদ্ধে আমরা অংশগ্রহণ করেছিলাম। জনৈক মুহাজির আনসারদের এক ব্যক্তিকে নিতম্বে আঘাত করলেন। তখন আনসারী সাহাবী, হে আনসারী ভাইগণ! বলে এবং মুহাজির সাহাবী- হে মুহাজির ভাইগণ! বলে ডাক দিলেন। আল্লাহ তার রাসূলের কানে এ কথা পৌছিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, এ কি ধরণের ডাকাডাকি? তখন উপস্থিত লোকেরা বললেন, জনৈক মুহাজির ব্যক্তি এক আনসারী ব্যক্তির নিতম্বে আঘাত করেছে। আনসারী ব্যক্তি হে আনসারী ভাইগণ! বলে এবং মুহাজির ব্যক্তি হে মুহাজির ভাইগণ! বলে নিজ নিজ গোত্রকে ডাক দিলেন। এ কথা শুনে নবী (ﷺ) বললেন, এ ধরনের ডাকাডাকি ছেড়ে দাও। এগুলো অত্যন্ত দুর্গন্ধময় কথা।
জাবির (রা) বলেন, নবী (ﷺ) যখন মদীনায় হিজরত করে আসেন তখন আনসার সাহাবীগণ ছিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ। পরে মুহাজিরগণ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যান। এসব কথা শুনার পর ‘আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই বলল, সত্যিই তারা কি এমন করেছে? আল্লাহর কসম! আমরা মদীনায় প্রত্যাবর্তন করলে সেখান থেকে প্রবল লোকেরা দুর্বল লোকদেরকে বহিষ্কার করবেই। তখন উমর ইবনে খত্তাব (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে অনুমতি দিন। আমি এ মুনাফিকের গর্দান উড়িয়ে দেই। নবী (ﷺ) বললেন, উমর! তাকে ছেড়ে দাও, যেন কেউ এ কথা বলতে না পারে যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর সঙ্গীদের হত্যা করছেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন