শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১২২
যুহরের সালাতের মুস্তাহাব ওয়াক্ত
১১২২। আহমদ ইবন আব্দির রহমান ইব্ন ওয়াহব (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন।যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন গরম দিন হবে তখন সালাতকে ঠাণ্ডা করে আদায় করবে।
কারণ, জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে হয় গরমের তীব্রতা।
কারণ, জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে হয় গরমের তীব্রতা।
1122 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ: ثنا عَمِّي، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْأَشَجِّ، عَنْ بِشْرِ بْنِ سَعِيدٍ، وَسَلْمَانَ الْأَغَرِّ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا كَانَ الْيَوْمُ الْحَارُّ فَأَبْرِدُوا بِالصَّلَاةِ , فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, গরমকালে রসূল স. যোহরের নামায ঠান্ডা করে পড়তে বলেছেন অর্থাৎ দেরি করে পড়তে বলেছেন যাতে সূর্যের তাপ কমে ঠান্ডা হয়ে যায়। এ বিষয়টি হযরত আবু মাসউদ বদরী রা. থেকে আবু দাউদ শরীফের একটি হাদীসে আরো স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ، وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حِينَ يَشْتَدُّ الْحَرُّ، আমি রসূল স.কে দেখেছি সূর্য ঢলে পড়ার সাথে সাথে যোহরের নামায আদায় করতেন। তবে গরমের প্রচন্ডতা বৃদ্ধি পেলে তিনি নামায দেরি করে আদায় করতেন। (আবু দাউদ-৩৯৪)
