শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৯৬
আযান শুনে যা বলা মুস্তাহাব।
৮৯৬। ফাহাদ (রাহঃ) ......... হাফসা বিনতে আবী বাকর মাতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমাকে উম্মু সালামা (রাযিঃ) শিক্ষা দিয়েছেন, তিনি বলেছেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ্ শিক্ষা দিয়েছেন, তিনি বলেছেন: হে উম্মু সালামা! যখন মাগরিবের আযানের সময় হবে তখন (এ বাক্যগুলো) বলঃ
اللهُمَّ هَذَا عِنْدَ اسْتِقْبَالِ لَيْلِكَ وَاسْتِدْبَارِ نَهَارِكَ وَأَصْوَاتِ دُعَاتِكَ وَحُضُورِ صَلَاتِكَ اغْفِرْ لِي
“হে আল্লাহ্! তোমার (নির্দেশে) রাতের আগমন, দিনের পৃষ্ঠপ্রদর্শন, তোমার দিকে আহবানকারীদের ধ্বনিসমূহ এবং তোমার সালাতের উপস্থিতদের সময়, আমাকে ক্ষমা কর।”
এই সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, আযানের সময় যা কিছু বলা হয় তা দ্বারা তিনি যিকর উদ্দেশ্য নিয়েছেন । সুতরাং حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ , حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ব্যতীত সমস্ত আযান (আল্লাহ্) যিকর । আর এ দু'টি হচ্ছে আহবান। তাই আযানের মধ্যে যা যিকর হিসাবে বিবেচিত শ্রবণকারীরও সেই শব্দাবলী বলা বাঞ্ছনীয় এবং তাতে যে বাক্য সালাতের দিকে আহবানকারী হিসাবে বিবেচিত এর স্থলে অন্য যিকরের (শব্দ পড়া) আফযাল ও উত্তম হবে।
একদল আলিম বলেছেন যে, “তোমরা যখন মুয়াযযিন যা বলছে তোমরাও তা বলবে” রাসূলুল্লাহ্ -এর এ উক্তি দ্বারা ওয়াজিব (আবশ্যক) হওয়াই বুঝানো হয়েছে। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, এটা মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়। এ বিষয়ে তাঁদের দলীল হল নিম্নরূপঃ
اللهُمَّ هَذَا عِنْدَ اسْتِقْبَالِ لَيْلِكَ وَاسْتِدْبَارِ نَهَارِكَ وَأَصْوَاتِ دُعَاتِكَ وَحُضُورِ صَلَاتِكَ اغْفِرْ لِي
“হে আল্লাহ্! তোমার (নির্দেশে) রাতের আগমন, দিনের পৃষ্ঠপ্রদর্শন, তোমার দিকে আহবানকারীদের ধ্বনিসমূহ এবং তোমার সালাতের উপস্থিতদের সময়, আমাকে ক্ষমা কর।”
এই সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, আযানের সময় যা কিছু বলা হয় তা দ্বারা তিনি যিকর উদ্দেশ্য নিয়েছেন । সুতরাং حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ , حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ব্যতীত সমস্ত আযান (আল্লাহ্) যিকর । আর এ দু'টি হচ্ছে আহবান। তাই আযানের মধ্যে যা যিকর হিসাবে বিবেচিত শ্রবণকারীরও সেই শব্দাবলী বলা বাঞ্ছনীয় এবং তাতে যে বাক্য সালাতের দিকে আহবানকারী হিসাবে বিবেচিত এর স্থলে অন্য যিকরের (শব্দ পড়া) আফযাল ও উত্তম হবে।
একদল আলিম বলেছেন যে, “তোমরা যখন মুয়াযযিন যা বলছে তোমরাও তা বলবে” রাসূলুল্লাহ্ -এর এ উক্তি দ্বারা ওয়াজিব (আবশ্যক) হওয়াই বুঝানো হয়েছে। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, এটা মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়। এ বিষয়ে তাঁদের দলীল হল নিম্নরূপঃ
896 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ الطَّحَّانُ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أُمِّهَا، قَالَتْ: عَلَّمَتْنِي أُمُّ سَلَمَةَ , وَقَالَتْ: عَلَّمَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا أُمَّ سَلَمَةَ إِذَا كَانَ عِنْدَ أَذَانِ الْمَغْرِبِ فَقُولِي اللهُمَّ هَذَا عِنْدَ اسْتِقْبَالِ لَيْلِكَ وَاسْتِدْبَارِ نَهَارِكَ وَأَصْوَاتِ دُعَاتِكَ وَحُضُورِ صَلَاتِكَ اغْفِرْ لِي» فَهَذِهِ الْآثَارُ تَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ أَرَادَ بِمَا يُقَالُ عِنْدَ الْأَذَانِ , الذِّكْرَ فَكُلُّ الْأَذَانِ ذِكْرٌ غَيْرُ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ , حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ فَإِنَّهُمَا دُعَاءٌ. فَمَا كَانَ مِنَ الْأَذَانِ ذِكْرٌ فَيَنْبَغِي لِلسَّامِعِ أَنْ يَقُولَهُ , وَمَا كَانَ مِنْهُ دُعَاءٌ إِلَى الصَّلَاةِ , فَالذِّكْرُ الَّذِي هُوَ غَيْرُهُ أَفْضَلُ مِنْهُ وَأَوْلَى أَنْ يُقَالَ: وَقَدْ قَالَ قَوْمٌ قَوْلُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ» عَلَى الْوُجُوبِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا ذَلِكَ عَلَى الِاسْتِحْبَابِ لَا عَلَى الْوُجُوبِ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ
