শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪০
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৩৯. মুহাম্মাদ ইব্‌ন হাজ্জাজ (র.) ও রবীউল মুয়াযযিন (র.) ...... আবুল আসওয়াদ (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি উরওয়া (র.) কে বুসরা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করতে শুনেছেন।
উত্তরে তাদেরকে বলা হবে:
তোমরা এ বিষয়ে ইব্‌ন লাহীয়া (রাহঃ) দ্বারা কিভাবে প্রমাণ পেশ করছ, অথচ প্রতিপক্ষ তোমাদের বিরুদ্ধে তাঁর বর্ণিত প্রমাণ পেশ করলে তোমরা তা গ্রহণযোগ্য মনে কর না? এতে আমার উদ্দেশ্য আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আবী বাকর (র.) ও ইব্‌ন লাহীয়া (র.) এবং অন্যদের প্রতি দোষারোপ করা নয়; বরং প্রতিপক্ষের যুলুমকে (প্রকাশ) করা মাত্র। সুতরাং যুহরী (র.) এবং উরওয়া (র.) এর মধ্যবর্তী রাবীর কারণে যুহরী (র.)-এর রিওয়ায়াতের দুর্বলতা সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। এবং যুহরী (র.) ও হিশাম (র.)-এর রিওয়ায়াতের দুর্বলতা প্রমাণিত হয়েছে উরওয়া (র.) ও বুসরা (রা.)-এর মধ্যবর্তী রাবীর কারণে। এ কারণেই উরওয়া (র.) তা গ্রহণ করেননি এবং তার দিকে মনোনিবেশ করেননি। অথচ হাদীস এর চাইতে কমের কারণেও রহিত হয়ে যায়। আর যদি তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেঃ

৪৪০. আবু বাকরা (র.) ..... ইয়াহ্ইয়া ইব্‌ন আবী কাসীর (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি জনৈক ব্যক্তিকে মসজিদে নববীতে এই হাদীসটি বর্ণনা করতে শুনেছেন। তাদেরকে বলা হবেঃ তোমাদের যালিম হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, তোমরা এরূপ হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ কর। তারা যদি এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করে?
كتاب الطهارة
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
439 - مَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَجَّاجِ وَرَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَا: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ , أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ يَذْكُرُ عَنْ بُسْرَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قِيلَ لَهُمْ: كَيْفَ تَحْتَجُّونَ فِي هَذَا بِابْنِ لَهِيعَةَ , وَأَنْتُمْ لَا تَجْعَلُونَهُ حُجَّةً لِخَصْمِكُمْ , فِيمَا يَحْتَجُّ بِهِ عَلَيْكُمْ؟ وَلَمْ أُرِدْ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ الطَّعْنِ عَلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ , وَلَا عَلَى ابْنِ لَهِيعَةَ , وَلَا عَلَى غَيْرِهِمَا وَلَكِنِّي أَرَدْتُ بَيَانَ ظُلْمِ الْخَصْمِ. فَثَبَتَ وَهَاءُ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ , بِالَّذِي دَخَلَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عُرْوَةَ , وَوَهَاءُ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ أَيْضًا , وَهِشَامٍ بِالَّذِي بَيْنَ عُرْوَةَ , وَبُسْرَةَ , لِأَنَّ عُرْوَةَ لَمْ يَقْبَلْ ذَلِكَ , وَلَمْ يَرْفَعْ بِهِ رَأْسًا , وَقَدْ سَقَطَ الْحَدِيثُ بِأَقَلَّ مِنْ هَذَا. وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

440 - بِمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: ثنا هِشَامٌ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , أَنَّهُ سَمِعَ رَجُلًا يُحَدِّثُ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ. قِيلَ لَهُمْ: كَفَى بِكُمْ ظُلْمًا أَنْ تَحْتَجُّوا بِمِثْلِ هَذَا. وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান