আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৫৩
সূরা যারিয়াত
আলী (রাযিঃ) বলেছেন, الذاريات অর্থ বায়ুরাশি। অন্যদের হতে বর্ণিত। تَذْرُوْهُ মানে তাকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। .......وَفِيْٓ أَنْفُسِكُمْ অর্থ তোমাদের মধ্যেও নিদর্শন রয়েছে, (‘‘তোমরা কি অনুধাবন করতে পারছ না?) অর্থাৎ তোমরা খানাপিনা কর এক পথে এবং তা বের হয় দু’পথ দিয়ে। فَرَاغَ মানে সে ফিরে এল। فَصَكَّتْ সে মুষ্টি বন্ধ করে নিজ কপালে মারল। الرَّمِيْمُ যমীনের উদ্ভিদ যখন শুকায় এবং তা মাড়াই করা হয়। لَمُوْسِعُوْنَ অবশ্য সম্প্রসারণকারী। এমনিভাবে عَلَى الْمُوْسِعِ قَدَرَهُ অর্থাৎ সামর্থ্যবান। زَوْجَيْنِ নারী-পুরুষ, বর্ণের বিভিন্নতা এবং মিষ্টি ও টক উভয়কেই زَوْجَانِ বলা হয়। فَفِرُّوْآ إِلَى اللهِ আল্লাহর নাফরমানী বর্জন করে তোমরা আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি ধাবিত হও। إِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ মানুষ ও জিন উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা সৌভাগ্যবান, তাদেরই আমার তাওহীদের উপর বিশ্বাস স্থাপনের জন্য সৃষ্টি করেছি। কোন কোন মুফাসসির বলেছেন, এর অর্থ হচ্ছে, তাদের সকলকেই আল্লাহর বন্দেগীর জন্য সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু কেউ তা করেছে আর কেউ তা বর্জন করেছে। এ আয়াতে মুতাযিলাদের জন্য তাদের পক্ষে কোন প্রমাণ নেই। الذَّنُوْبُ বড় বালতি।
মুজাহিদ বলেন, صَرَّةٍ অর্থ চিৎকার। ذُنُوْبًا অর্থ রাস্তা। الْعَقِيْمُ যে নারী সন্তান জন্ম দেয় না।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, الْحُبُكُ আকাশের সুবিন্যস্ততা ও তার সৌন্দর্য। فِيْ غَمْرَةٍ নিজেদের ভ্রান্তির মাঝে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে।
অন্য থেকে বর্ণিত যে, تَوَاصَوْا একে অপরের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছে।
আরও বলেছেন, مُسَوَّمَةً চিহ্নিত। مُسَوَّمَةً শব্দটি السِيِّمًا থেকে উদ্ভূত। قُتِلَ الْإِنْسَانُ অভিশপ্ত হয়েছে।

সূরা তূর
ক্বাতাদাহ (রাহঃ) বলেন, مَسْطُوْرٍ লিখিত।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, সুরয়ানী ভাষায় পর্বতকে طُّوْرُ বলা হয়। رَقٍّ مَّنْشُوْرٍ (উন্মুক্ত) সহীফা। السَّقْفِ الْمَرْفُوْعِ (সমুন্নত) আকাশ। الْمَسْجُوْرِ জ্বলন্ত।
হাসান (রাহঃ) বলেন, (সমুদ্র) জ্বলে উঠবে। ফলে সমস্ত পানি ফুরিয়ে যাবে এবং এক ফোঁটা পানিও থাকবে না।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, أَلَتْنَاهُمْ আমি হ্রাস করেছি। অন্যান্য মুফাসসির বলেছেন, تَمُوْرُ আন্দোলিত হবে। أَحْلَامُهُمْ বুদ্ধি।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, الْبَرُّ দয়ালু। كِسْفًا খণ্ড, الْمَنُوْنُ মৃত্যু। অন্যান্য মুফাসসির বলেছেন, يَتَنَازَعُوْنَ তারা পরস্পরে আদান-প্রদান করবে।
৪৪৯৩। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) এর কাছে ওযর পেশ করলাম যে, আমি অসুস্থ। তিনি বললেন, তুমি সওয়ার হয়ে লোকদের পেছন তাওয়াফ করে নাও। তখন আমি তাওয়াফ করলাম। এ সময় রাসূল (ﷺ) কাবার একপাশে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন এবংوَالطُّوْرِ وَكِتَابٍ مَّسْطُوْرٍ তিলাওয়াত করছিলেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন