শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৬২
কারো পুরুষাঙ্গ থেকে ‘মজী’ (শ্রিঙ্গারকালে নির্গত তরল পদার্থ) বের হলে কি করবে?
২৬২. আবু বাকরা (রাহঃ)....... সাঈদ ইবন যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তির মজী বের হবে তখন পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ ধৌত করবে এবং সালাতের উজূর ন্যায় উজূ করে নিবে।
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ হাদীসের সঠিক মর্ম নির্ধারণে এটিই হচ্ছে এই অনুচ্ছেদের যথার্থ বিশ্লেষণ। আর এতে আমাদের বক্তব্য প্রমাণিত হয়েছে।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত যুক্তির নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশ্লেষণ হচ্ছে নিম্নরূপঃ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মজী নির্গত হওয়া হাদাস হিসেবে বিবেচিত। এরপর আমরা দেখতে প্রয়াস পাব যে, হাদাস বের হওয়ার কারণে কি ওয়াজিব হয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি পেশাব-পায়খানা বের হওয়ার কারণে শরীরের সেই অংশ ধৌত করা ওয়াজিব যেখানে তা লেগেছে, অন্য কিছু ধৌত করা ওয়াজিব নয়। হ্যাঁ সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করা ভিন্ন ব্যাপার। অনুরুপ রক্ত বের হওয়া যে কোন স্থান থেকে বের হোক না কেন, তাদের মতে যারা এটাকে হাদাস হিসেবে সাব্যস্ত করে। অতএব যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, অনুরুপভাবে মজী বের হওয়া যা কিনা এক প্রকার হাদাস। এতেও শরীরের সেই অংশ ধৌত করা ওয়াজিব হবে না যাতে তা লাগেনি। হ্যাঁ সালাতের জন্য তাহারাতের বিষয়টি ভিন্ন ব্যাপার। সুতরাং আমাদের বর্ণনাকৃত যুক্তির নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি প্রমাণিত হল। এটি ইমাম আবু হানিফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইয়সূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত।
262 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ زِيَادِ بْنِ فَيَّاضٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: «إِذَا أَمَذَى الرَّجُلُ , غَسَلَ الْحَشَفَةَ وَتَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ , مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ , فَقَدْ ثَبَتَ بِهِ مَا وَصَفْنَا. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَا خُرُوجَ الْمَذْيِ حَدَثًا , فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي خُرُوجِ الْأَحْدَاثِ , مَا الَّذِي يَجِبُ بِهِ؟ . فَكَانَ خُرُوجُ الْغَائِطِ , يَجِبُ بِهِ غَسْلُ مَا أَصَابَ الْبَدَنَ مِنْهُ , وَلَا يَجِبُ غَسْلُ مَا سِوَى ذَلِكَ إِلَّا التَّطَهُّرَ لِلصَّلَاةِ. وَكَذَلِكَ خُرُوجُ الدَّمِ مِنْ أَيِّ مَوْضِعِ مَا خَرَجَ , فِي قَوْلِ مَنْ جَعَلَ ذَلِكَ حَدَثًا. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ , خُرُوجُ الْمَذْيِ الَّذِي هُوَ حَدَثٌ , لَا يَجِبُ فِيهِ غُسْلٌ , غَيْرَ الْمَوْضِعِ الَّذِي أَصَابَهُ مِنَ الْبَدَنِ غَيْرَ التَّطَهُّرِ لِلصَّلَاةِ , فَثَبَتَ ذَلِكَ أَيْضًا بِمَا ذَكَرْنَا مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ২৬২ | মুসলিম বাংলা