শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৪২
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২৪২. ইবন মারজূক (রাহঃ)....... শু’বা (রাহঃ) থেকে অনুরুপ উল্লেখ করেছেন। তবে মধ্যবর্তী রাবী ইকরামা-এর উল্লেখ করেননি। আর এটা সংযোগ করেছেনঃ “আলী (রাযিঃ) প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ করতেন এবং এ আয়াত তিলাওয়াত করতেনঃ
“যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তত হবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত ধৌত করবে” (সূরা ৫ঃ আয়াত ৬)
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের মতে এই আয়াতে প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ করা ওয়াজিব হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। যেহেতু এখানে সম্ভাবনা আছে যে, বেউজূ হওয়ার অবস্থায় সালাতের ইচ্ছা করা বুঝানো হয়েছে। আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন না যে, সমস্ত ফকীহ আলিমদের ঐক্যমত রয়েছে যে, মুসাফিরের জন্য এই বিধানই প্রযোজ্য এবং যতক্ষণ পর্যন্ত সে উজূ নষ্ট না করবে তার উপর উজূ করা ওয়াজিব নয়। যখন সাব্যস্ত হল যে, এই আয়াতে এটাই মুসাফিরের বিধান এবং তাকেও অনুরুপভাবে সম্বোধন করা হয়েছে, যেমনিভাবে মুকীমকে সম্বোধন করা হয়েছে। অতএব প্রমাণিত হল যে, আলোচ্য বিষয়ে মুকীমের বিধানও অনুরুপ হবে।
ইবনুল ফাগওয়া (রাহঃ) বলেছেনঃ তাঁরা (সাহাবা) যখন হাদাস করতেন তখন তারা উজূ না করা পর্যন্ত কথা বলতেন না; এ প্রসঙ্গে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হও…” শেষ পর্যন্ত। এতে ব্যক্ত হয়েছে যে, হাদাসের পর সালাতের জন্য প্রস্তুত হওয়া বুঝানো হয়েছে।
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
242 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ عِكْرِمَةَ , وَزَادَ وَكَانَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَيَتْلُو { «إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ» } [المائدة: 6] قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَلَيْسَ فِي هَذِهِ الْآيَةِ، عِنْدَنَا، دَلِيلٌ عَلَى وُجُوبِ الْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلَاةٍ , لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ قَوْلُهُ ذَلِكَ عَلَى الْقِيَامِ وَهُمْ مُحْدِثُونَ. أَلَا تَرَى أَنَّهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ حُكْمَ الْمُسَافِرِ هُوَ هَذَا؟ أَوْ أَنَّ الْوُضُوءَ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ حَتَّى يُحْدِثَ. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ هَذَا حُكْمُ الْمُسَافِرِ فِي هَذِهِ الْآيَةِ وَقَدْ خُوطِبَ بِهَا كَمَا خُوطِبَ الْحَاضِرُ , ثَبَتَ أَنَّ حُكْمَ الْحَاضِرِ فِيهَا كَذَلِكَ أَيْضًا. وَقَدْ قَالَ: ابْنُ الْفَغْوَاءِ: إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا أَحْدَثُوا لَمْ يَتَكَلَّمُوا حَتَّى يَتَوَضَّئُوا , فَنَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ { «إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ» } [المائدة: 6] فَأَخْبَرَ أَنَّ ذَلِكَ إِنَّمَا هُوَ الْقِيَامُ إِلَى الصَّلَاةِ بَعْدَ حَدَثٍ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ২৪২ | মুসলিম বাংলা