শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ২২৭
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২২৭.ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ……… মুহাম্মাদ ইয়াহয়া (রাযিঃ) সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার কি ধারণা, আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) উজূ-বেউজূ সর্বাবস্থায় প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ করতেন? তিনি বললেন, জায়দ ইবন খাত্তাব এর কন্যা আসমা (রাযিঃ) আমাকে বর্ণনা করেন যে, তাঁকে আব্দুল্লাহ ইবন হানজালা ইবন আবী আমের (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম) উজূ-বেউজূ (সর্বাবস্থায়) প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ করার নির্দেশ পেয়েছিলেন। যখন তাঁর উপর তা কষ্টকর হয়ে পড়ল তখন প্রত্যেক সালাতের জন্য মিসওাক করার নির্দেশ পান। ইবন উমার (রাযিঃ) নিজের শক্তি-সামর্থ্য বিবেচনায় প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ করা পরিত্যাগ করতেন না।
সুতরাং, এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম)-কে প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তারপর তা রহিত গিয়েছে। সুতরাং যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি এতে সাব্যস্ত হয়েছে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত উজূ নষ্ট না হবে (প্রথম) উজূ যথেষ্ট বিবেচিত হবে।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, এই হাদীসে তো প্রত্যেক সালাতের জন্য মিসওয়াক ওয়াজিব কথা ব্যক্ত হয়েছে। তাহলে তোমরা কিভাবে তা ওয়াজিব মনে করনা? তোমরা এর কতক অংসের উপর আমল করছ। অথচ তোমরা তো (নীতিগতভাবে) পূর্ণ হাদীসের উপর আমল করে থাক।
তাকে উত্তরে বলা হবে, হতে পারে প্রত্যেক সালাতের জন্য মিসওয়াকের নির্দেশ উম্মত ব্যতীত নবী সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম-এর বৈসিষ্ট। আবার হতে পারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি ওবং উম্মত সমান। বস্তুত এই বিষয়ের বাস্তবতা পর্যন্ত পৌঁছা তখন পর্যন্ত স্মভব নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত সম্যকরূপে অবহিত না হওয়া যাবে। আর আমরা এই বিষয়ে গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি যে, এ সম্পর্কে কোন হাদীস পাই কিনা- যা আমাদেরকে পথ প্রদর্শন করবে।
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
227 - فَإِذَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ قَالَ: ثنا ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: قُلْتُ لَهُ: أَرَأَيْتَ تَوَضُّؤَ ابْنِ عُمَرَ لِكُلِّ صَلَاةٍ، طَاهِرًا كَانَ أَوْ غَيْرَ طَاهِرٍ؟ عَمَّ ذَاكَ؟ قَالَ: حَدَّثَتْنِيهِ أَسْمَاءُ ابْنَةُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي عَامِرٍ حَدَّثَهَا «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِالْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلَاةٍ طَاهِرًا كَانَ أَوْ غَيْرَ طَاهِرٍ، فَلَمَّا شَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ أَمَرَ بِالسِّوَاكِ لِكُلِّ صَلَاةٍ» وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَرَى أَنَّ بِهِ قُوَّةً عَلَى ذَلِكَ ; فَكَانَ لَا يَدَعُ الْوُضُوءَ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَمَرَ بِالْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلَاةٍ، ثُمَّ نُسِخَ ذَلِكَ , فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ الْوُضُوءَ يُجْزِئُ مَا لَمْ يَكُنِ الْحَدَثُ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ إِيجَابُ السِّوَاكِ لِكُلِّ صَلَاةٍ ; فَكَيْفَ لَا تُوجِبُونَ ذَلِكَ وَلَا تَعْمَلُونَ بِكُلِّ الْحَدِيثِ، إِذَا كُنْتُمْ قَدْ عَمِلْتُمْ بِبَعْضِهِ؟ قِيلَ لَهُ: قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُصَّ بِالسِّوَاكِ لِكُلِّ صَلَاةٍ دُونَ أُمَّتِهِ. وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونُوا هُمْ وَهُوَ فِي ذَلِكَ سَوَاءً، وَلَيْسَ يُوصَلُ إِلَى حَقِيقَةِ ذَلِكَ إِلَّا بِالتَّوْقِيفِ. فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ هَلْ نَجِدُ فِيهِ شَيْئًا يَدُلُّنَا عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ؟
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ২২৭ | মুসলিম বাংলা