শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ২২০
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
২২০.ফাহাদ (রাহঃ) …… আব্দুল মালিক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি একবার আতা (রাহঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছি যে, আপনার কাছে কোনো সাহাবী পা মাসেহ করেছেন বলে কোনো সংবাদ পৌঁছেছে কী? তিনি বললেন, না।
কোনো ধারনাকারীর ধারণা পোষণ করেছে যে, যুক্তির দাবি হল এই যে, সালাতের উজূতে পা মাসেহ করা ওয়াজিব। তার যুক্তি হলঃ “আমি দেখছি এর বিধান মাথার বিধানের সঙ্গে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। যেহেতু লক্ষ্য করেছি যে, যখন কোনো ব্যাক্তির কাছে পানি না থাকে তখন তার উপর তায়াম্মুম করা ফরজ হয়ে যায়। সে চেহারা এবং হাতের তায়াম্মুম (মাসেহ) করে, মাথা এবং পায়ের তায়াম্মুম করেনা। যখন পানি না থাকে তখন চেহারা এবং হাত ধৌত করার ফরযকে অন্য ফরযে পরিবর্তিত করে দেওয়া হয়, আর তা হচ্ছে তায়াম্মুম। পক্ষান্তরে মাথা এবং পায়ের ফরয (ধৌত)-কে অন্য কোনো ফরযে পরিবর্তিত করা হয়না। এতে সাব্যস্ত হল যে, পানি থাকা অবস্থায় পায়ের বিধান মাথার বিধানের অনুরুপ। চেহারা এবং হাতের অনুরুপ নয়।” এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আমাদের দলীল হল নিম্নরূপঃ
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, পানি থাকা অবস্থায় কিছু জায়গা ধৌত করা ফরয হয়, তারপর পানি না থাকা অবস্থায় উক্ত ফরয অন্য ফরযের দিকে স্থান্তরিত হয়না, যেমন জুনুবী (যার উপর গোসোল করা ফরয) পানি থাকা অবস্থায় তার জন্য সমস্ত শরীর ধৌত করা আবশ্যক। আর পানি না থাকলে তার জন্য (শুধু) চেহারা এবং হাতের তায়াম্মুম করা ওয়াজিব। চেহারা এবং হাত ব্যতীত সমস্ত শরীরের বিধানের ফরয হওয়া অন্য কোনো বিকল্প ছাড়া রহিত হয়ে যায়।
সুতরাং, তায়াম্মুমের দৃষ্টান্ত এই বিষয়ের দলিল হবেনা যে, যার ফরয হওয়া কোনো বিকল্পের দিকে স্থানান্তরিত না হলে পানি থাকা অবস্থায় এর মাসেহ ফরয হয়ে থাকে। অনুরুপভাবে পানি না পাওয়ার অবস্থায় পায়ের (ধৌত) ফরয হওয়া কোন বিকল্পের দিক স্থানান্তরিত না হওয়া এই কারণে নয় যে, পানি থাকা অবস্থায় এর বিধান মাসেহ ছিল।
অতএব এতে বিরোধী পক্ষের যুক্তি বাতিল হয়ে গেল। যেহেতু সে তার বক্তব্য দ্বারা যা কিছু বিরোধী পক্ষের উপর অবধারিত বলে সাব্যস্ত করেছিল, তা তার নিজের উপর অবধারিত হয়ে পড়ে।
কোনো ধারনাকারীর ধারণা পোষণ করেছে যে, যুক্তির দাবি হল এই যে, সালাতের উজূতে পা মাসেহ করা ওয়াজিব। তার যুক্তি হলঃ “আমি দেখছি এর বিধান মাথার বিধানের সঙ্গে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। যেহেতু লক্ষ্য করেছি যে, যখন কোনো ব্যাক্তির কাছে পানি না থাকে তখন তার উপর তায়াম্মুম করা ফরজ হয়ে যায়। সে চেহারা এবং হাতের তায়াম্মুম (মাসেহ) করে, মাথা এবং পায়ের তায়াম্মুম করেনা। যখন পানি না থাকে তখন চেহারা এবং হাত ধৌত করার ফরযকে অন্য ফরযে পরিবর্তিত করে দেওয়া হয়, আর তা হচ্ছে তায়াম্মুম। পক্ষান্তরে মাথা এবং পায়ের ফরয (ধৌত)-কে অন্য কোনো ফরযে পরিবর্তিত করা হয়না। এতে সাব্যস্ত হল যে, পানি থাকা অবস্থায় পায়ের বিধান মাথার বিধানের অনুরুপ। চেহারা এবং হাতের অনুরুপ নয়।” এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আমাদের দলীল হল নিম্নরূপঃ
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, পানি থাকা অবস্থায় কিছু জায়গা ধৌত করা ফরয হয়, তারপর পানি না থাকা অবস্থায় উক্ত ফরয অন্য ফরযের দিকে স্থান্তরিত হয়না, যেমন জুনুবী (যার উপর গোসোল করা ফরয) পানি থাকা অবস্থায় তার জন্য সমস্ত শরীর ধৌত করা আবশ্যক। আর পানি না থাকলে তার জন্য (শুধু) চেহারা এবং হাতের তায়াম্মুম করা ওয়াজিব। চেহারা এবং হাত ব্যতীত সমস্ত শরীরের বিধানের ফরয হওয়া অন্য কোনো বিকল্প ছাড়া রহিত হয়ে যায়।
সুতরাং, তায়াম্মুমের দৃষ্টান্ত এই বিষয়ের দলিল হবেনা যে, যার ফরয হওয়া কোনো বিকল্পের দিকে স্থানান্তরিত না হলে পানি থাকা অবস্থায় এর মাসেহ ফরয হয়ে থাকে। অনুরুপভাবে পানি না পাওয়ার অবস্থায় পায়ের (ধৌত) ফরয হওয়া কোন বিকল্পের দিক স্থানান্তরিত না হওয়া এই কারণে নয় যে, পানি থাকা অবস্থায় এর বিধান মাসেহ ছিল।
অতএব এতে বিরোধী পক্ষের যুক্তি বাতিল হয়ে গেল। যেহেতু সে তার বক্তব্য দ্বারা যা কিছু বিরোধী পক্ষের উপর অবধারিত বলে সাব্যস্ত করেছিল, তা তার নিজের উপর অবধারিত হয়ে পড়ে।
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
220 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ السَّلَامِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَ: قُلْتُ لِعَطَاءٍ: أَبَلَغَكَ عَنْ أَحَدٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ مَسَحَ الْقَدَمَيْنِ؟ قَالَ: «لَا» . وَقَدْ زَعَمَ زَاعِمٌ أَنَّ النَّظَرَ يُوجِبُ مَسْحَ الْقَدَمَيْنِ فِي وُضُوءِ الصَّلَاةِ. قَالَ: لِأَنِّي رَأَيْتُ حُكْمَهُمَا بِحُكْمِ الرَّأْسِ أَشْبَهَ؛ لِأَنِّي رَأَيْتُ الرِّجْلَ إِذَا عُدِمَ الْمَاءُ فَصَارَ فَرْضُهُ التَّيَمُّمَ يُيَمِّمُ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ وَلَا يُيَمِّمُ رَأْسَهُ وَلَا رِجْلَيْهِ. فَلَمَّا كَانَ عَدَمُ الْمَاءِ يُسْقِطُ فَرْضَ غَسْلِ الْوَجْهِ وَالْيَدَيْنِ إِلَى فَرْضٍ آخَرَ وَهُوَ التَّيَمُّمُ , وَيُسْقِطُ فَرْضَ الرَّأْسِ وَالرِّجْلَيْنِ لَا إِلَى فَرْضٍ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ حُكْمَ الرِّجْلَيْنِ فِي حَالِ وُجُودِ الْمَاءِ كَحُكْمِ الرَّأْسِ لَا كَحُكْمِ الْوَجْهِ وَالْيَدَيْنِ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا أَشْيَاءَ يَكُونُ فَرْضُهَا الْغُسْلَ فِي حَالِ وُجُودِ الْمَاءِ ثُمَّ يَسْقُطُ ذَلِكَ الْفَرْضُ فِي حَالِ عَدَمِ الْمَاءِ لَا إِلَى فَرْضٍ , مِنْ ذَلِكَ الْجُنُبُ , عَلَيْهِ أَنْ يَغْسِلَ سَائِرَ بَدَنِهِ بِالْمَاءِ فِي حَالِ وُجُودِهِ وَإِنْ عُدِمَ الْمَاءُ وَجَبَ عَلَيْهِ التَّيَمُّمُ فِي وَجْهِهِ وَيَدَيْهِ. فَأُسْقِطَ فَرْضُ حُكْمِ سَائِرِ بَدَنِهِ بَعْدَ الْوَجْهِ وَالْيَدَيْنِ لَا إِلَى بَدَلٍ , فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ، بِدَلِيلِ أَنَّ مَا سَقَطَ فَرْضُهُ مِنْ ذَلِكَ لَا إِلَى بَدَلٍ كَانَ فَرْضُهُ فِي حَالِ وُجُودِ الْمَاءِ هُوَ الْمَسْحَ، فَكَذَلِكَ أَيْضًا لَا يَكُونُ سُقُوطُ فَرْضِ الرِّجْلَيْنِ فِي حَالِ عَدَمِ الْمَاءِ لَا إِلَى بَدَلٍ , بِدَلِيلِ أَنَّ حُكْمَهُمَا كَانَ فِي حَالِ وُجُودِ الْمَاءِ هُوَ الْمَسْحُ. فَبَطَلَتْ بِذَلِكَ عِلَّةُ الْمُخَالِفِ إِذَا كَانَ قَدْ لَزِمَهُ فِي قَوْلِهِ مِثْلُ مَا أَلْزَمَ خَصْمَهُ
