শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ১১০
ওযুতে তাসমিয়া তথা বিসমিল্লাহ পাঠের পরিচ্ছেদ
১১০.তারা এই বিষয়ে (নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা) প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
আলী ইব্ন মা'বাদ (রাহঃ).........মুহাজির ইন কুনফুয (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে উযূরত অবস্থায় সালাম করেন। তিনি তাঁর সালামের উত্তর দেননি। উযূ শেষ করে বললেনঃ আমি তােমার সালামের উত্তর দানে বিরত থেকেছি এই জন্য যে, অপবিত্র অবস্থায় আমি আল্লাহর যিকর কর পছন্দ করিনি।
বিশ্লেষণ
এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ অপবিত্র অবস্থায় আল্লাহর যিকর করাকে অপছন্দ করেছেন এবং উযূ দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করার পর সালামের উত্তর প্রদান করেছেন। তাতে সাব্যস্ত হয় যে, তিনি আল্লাহর নাম নেয়ার পূর্বে উযূ করেছেন। আর তাঁর যে ইরশাদঃ “যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ পড়বে না তার উযূ হবে না”-এর মর্ম তাও হতে পারে, যা প্রথমােক্ত মত পােষণকারীগণ গ্রহণ করেছেন। আবার এটিও হতে পারে যে, ছাওয়াবের দিক দিয়ে তার উযূ পূর্ণ হবে না (পূর্ণ ছাওয়াব পাবে না)। যেমনিভাবে তিনি (ﷺ) বলেছেনঃ(ﷺ) সেই ব্যক্তি মিসকীন নয়, যাকে এক-দুই খেজুর এবং এক দুই লােকমা প্রদান করে বিদায় জানানাে হয়। বস্তুত এ কথা দ্বারা তাঁর এই উদ্দেশ্য নয় যে, এরূপ ব্যক্তি মিসকীন নয় এবং সে মুখাপেক্ষীতার আওতা বহির্ভুত, যাতে তার উপর সাদাকা হারাম হয়ে যাবে। বরং তার উদ্দেশ্য হচ্ছে এ কথা বুঝানাে যে, সেই ব্যক্তি মুখাপেক্ষিতায় এমন পরিপূর্ণতায় পৌঁছায়নি যার পরে মুখাপেক্ষিতার কোন পর্যায় অবশিষ্ট থাকে না।
باب التسمية على الوضوء
110 - وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حُضَيْنٍ أَبِي سَاسَانَ، عَنِ الْمُهَاجِرِ بْنِ قُنْفُدٍ أَنَّهُ سَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ وُضُوئِهِ قَالَ: إِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ إِلَّا أَنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَذْكُرَ اللهَ إِلَّا عَلَى طَهَارَةٍ ". فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَرِهَ أَنْ يَذْكُرَ اللهَ إِلَّا عَلَى طَهَارَةٍ، وَرَدَّ السَّلَامَ بَعْدَ الْوُضُوءِ الَّذِي صَارَ بِهِ مُتَطَهِّرًا. فَفِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُ قَدْ تَوَضَّأَ قَبْلَ أَنْ يَذْكُرَ اسْمَ اللهِ. وَكَانَ قَوْلُهُ: «لَا وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يُسَمِّ» يُحْتَمَلُ أَيْضًا مَا قَالَهُ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى وَيُحْتَمَلُ «لَا وُضُوءَ لَهُ» أَيْ لَا وُضُوءَ لَهُ مُتَكَامِلًا فِي الثَّوَابِ , كَمَا قَالَ: «لَيْسَ الْمِسْكِينُ الَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَاللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ» فَلَمْ يُرِدْ بِذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمِسْكِينٍ خَارِجٍ مِنْ حَدِّ الْمَسْكَنَةِ كُلِّهَا حَتَّى تَحْرُمَ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ. وَإِنَّمَا أَرَادَ بِذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بِالْمِسْكِينِ الْمُتَكَامِلِ فِي الْمَسْكَنَةِ الَّذِي لَيْسَ بَعْدَ دَرَجَتِهِ فِي الْمَسْكَنَةِ دَرَجَةٌ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ليس المسكين... (মিসকীন সে নয় যে...)
এই হাদীস ও তার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দেখুন ১১১ নং হাদিসে
.
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান