আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮০২
সূরা ফাতির
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, الْقِطْمِيْرُ অর্থ-খেজুরের আটির পর্দা। مُثْقَلَةٌ ভারাক্রান্ত ব্যক্তি। অন্যরা বলেছেন,الْحَرُوْرُ (আল-হারূর) অর্থ-দিবাভাগে সূর্যের উত্তাপ। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, রাতের উত্তাপকে الْحَرُوْرُ এবং দিনের উত্তাপকে السَّمُوْمُ বলা হয়।
غَرَابِيْبُ অর্থ أَشَدُّ سَوَادٍ অর্থাৎ নিকষ কালো الْغِرْبِيْبُ। (আল-গিরবীব) অর্থ الشَّدِيْدُ السَّوَادِ অধিক কালো।
সূরা ইয়াসীন
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, فَعَزَّزْنَا আমি অধিক শক্তি দিলাম। يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ দুনিয়াতে রাসূলদের সঙ্গে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করার ফলে আখিরাতে তাদের অবস্থা দুঃখময় হবে। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ একটির আলো অন্যটির আলোর উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারে না এবং চন্দ্র ও সূর্যের জন্য তা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ রাত্র এবং দিন উভয়ই একে অপরের পেছনে অবিরাম অব্যাহত-গতিতে পরিভ্রমণ করছে। نَسْلَخُ (রাত-দিন) উভয়ের মধ্যে একটিকে আমি অপরটি থেকে অপসারিত করি এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে সন্তরণ কাটে। مِنْ مِثْلِهِ অনুরূপ চতুষ্পদ জন্তু। فَكِهُوْنَ আনন্দিত। جُنْدٌ مُحْضَرُوْنَ হিসাবের সময় তাদের উপস্থিত করা হবে তাদের বাহিনীরূপে। ইকরিমাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, الْمَشْحُوْنِ বোঝাইকৃত।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, طَائِرُكُمْ তোমাদের বিপদাপদ। يَنْسِلُوْنَ তারা বেরিয়ে আসবে। مَرْقَدِنَا আমাদের বের হবার স্থান। أَحْصَيْنَاهُ হিফাযাত করেছি আমি প্রতিটি বস্তুকে। مَكَانَتُهُمْ এবং مَكَانُهُمْ একই; তাদের স্থানে।
পরিচ্ছেদঃ ২৫০১. আল্লাহর বাণীঃ والشمس تجري لمستقر لها ذلك تقدير العزيز العليم "এবং সূর্য ভ্রমন করে তার নির্দৃিষ্ট গণ্তব্যের দিকে, এ পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রন।"
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, الْقِطْمِيْرُ অর্থ-খেজুরের আটির পর্দা। مُثْقَلَةٌ ভারাক্রান্ত ব্যক্তি। অন্যরা বলেছেন,الْحَرُوْرُ (আল-হারূর) অর্থ-দিবাভাগে সূর্যের উত্তাপ। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, রাতের উত্তাপকে الْحَرُوْرُ এবং দিনের উত্তাপকে السَّمُوْمُ বলা হয়।
غَرَابِيْبُ অর্থ أَشَدُّ سَوَادٍ অর্থাৎ নিকষ কালো الْغِرْبِيْبُ। (আল-গিরবীব) অর্থ الشَّدِيْدُ السَّوَادِ অধিক কালো।
সূরা ইয়াসীন
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, فَعَزَّزْنَا আমি অধিক শক্তি দিলাম। يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ দুনিয়াতে রাসূলদের সঙ্গে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করার ফলে আখিরাতে তাদের অবস্থা দুঃখময় হবে। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ একটির আলো অন্যটির আলোর উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারে না এবং চন্দ্র ও সূর্যের জন্য তা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ রাত্র এবং দিন উভয়ই একে অপরের পেছনে অবিরাম অব্যাহত-গতিতে পরিভ্রমণ করছে। نَسْلَخُ (রাত-দিন) উভয়ের মধ্যে একটিকে আমি অপরটি থেকে অপসারিত করি এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে সন্তরণ কাটে। مِنْ مِثْلِهِ অনুরূপ চতুষ্পদ জন্তু। فَكِهُوْنَ আনন্দিত। جُنْدٌ مُحْضَرُوْنَ হিসাবের সময় তাদের উপস্থিত করা হবে তাদের বাহিনীরূপে। ইকরিমাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, الْمَشْحُوْنِ বোঝাইকৃত।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, طَائِرُكُمْ তোমাদের বিপদাপদ। يَنْسِلُوْنَ তারা বেরিয়ে আসবে। مَرْقَدِنَا আমাদের বের হবার স্থান। أَحْصَيْنَاهُ হিফাযাত করেছি আমি প্রতিটি বস্তুকে। مَكَانَتُهُمْ এবং مَكَانُهُمْ একই; তাদের স্থানে।
পরিচ্ছেদঃ ২৫০১. আল্লাহর বাণীঃ والشمس تجري لمستقر لها ذلك تقدير العزيز العليم "এবং সূর্য ভ্রমন করে তার নির্দৃিষ্ট গণ্তব্যের দিকে, এ পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রন।"
৪৪৪৩। আবু নু’আয়ম (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সূর্যাস্তের সময় আমি নবী (ﷺ) এর সঙ্গে মসজিদে ছিলাম। তিনি বললেন, হে আবু যর! তুমি কি জানো সূর্য কোথায় ডুবে? আমি বললাম, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল সবচেয়ে ভাল জানেন। তিনি বললেন, সূর্য চলে, অবশেষে আরশের নীচে গিয়ে সিজদা করে। নিম্নবর্ণিত আয়াতে وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ এ কথাই বর্ণনা করা হয়েছে, অর্থাৎ সূর্য ভ্রমণ করে তার নির্দিষ্ট গণ্তব্যের দিকে, এ পরাক্রমশলী সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ।


বর্ণনাকারী: