আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৪৭
২৪৬৮ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ ويدرأ عنها العذاب أن تشهد أربع شهادات بالله إنه لمن الكاذبين তবে স্ত্রীর শাস্তি রহিত হবে যদি সে চারবার আল্লাহর নামে শপথ করে সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামীই মিথ্যাবাদী”।
৪৩৯২। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। হিলাল ইবনে উমাইয়া রাসূলাল্লাহ এর কাছে শারিক ইবনে সাহমার সাথে তার স্ত্রীর ব্যভিচারের অভিযোগ করলেন। নবী (ﷺ) বললেন, সাক্ষী (হাযির কর) নতুবা শাস্তি তোমার পিঠে পরবে। হিলাল বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যখন আমাদের মধ্যে কেউ তার স্ত্রীর উপর অন্য কাউকে দেখে তখন সে কি সাক্ষী তালাশ করতে যাবে? তখন নবী (ﷺ) বলতে লাগলেন, সাক্ষী নতুবা শাস্তি তোমার পিঠে। হিলাল বললেন, শপথ সে সত্তার, যিনি আপনাকে সত্য নবী (ﷺ) হিসেবে পাঠিয়েছেন, নিশ্চয়ই আমি সত্যবাদী। অবশ্যই আল্লাহ তাআলা এমন বিধান অবতীর্ণ করবেন, যা আমার পিঠকে শাস্তি থেকে মুক্ত করে দিবেন। তারপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর নাযিল করা হলঃ وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُم ......... الصَّادِقِينَ “যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে” থেকে নবী (ﷺ) পাঠ করলেন, “যদি সে সত্যবাদী হয়ে থাকে” পর্যন্ত।
তারপর নবী (ﷺ) ফিরলেন এবং তার স্ত্রীকে[১] ডেকে আনার জন্য লোক পাঠালেন।। হিলাল এসে সাক্ষী দিলেন।[২] আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলছিলেন, আল্লাহ তাআলা তো জানেন যে তোমাদের দুজনের মধ্যে অবশ্যই একজন মিথ্যাবাদী। তবে কি তোমাদের মধ্যে কেউ তওবা করবে? স্ত্রী লোকটি দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিল। সে যখন পঞ্চম বারের কাছে পৌঁছল, তখন লোকেরা তাকে বাঁধা দিল এবং বলল, নিশ্চয়ই এটি তোমার উপর অবশ্যম্ভাবী। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, একথা শুনে সে দ্বিধাগ্রস্ত হল এবং ইতস্তত করতে লাগল। এমনকি আমরা মনে করতে লাগলাম যে, সে নিশ্চয়ই প্রত্যাবর্তন করবে। পরে সে বলে উঠল, আমি চিরকালের জন্য আমার বংশকে কলুষিত করব না। সে তার সাক্ষ্য পূর্ণ করল।[৩] নবী (ﷺ) বললেন, এর প্রতি দৃষ্টি রেখ। যদি সে কালো, ডাগর চক্ষু, বড় নিতম্ব ও মোটা নলা বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে তবে সে সন্তান শারিক ইবনে সাহমার। পরে সে অনুরূপ সন্তান জন্ম দিল। তখন নবী (ﷺ) বললেন, যদি এ বিষয়ে আল্লাহর কিতাব কার্যকর না হত, তাহলে অবশ্যই আমার ও তার মধ্যে কি ব্যপার যে ঘটত।
[১] খাওলা।
[২] আনীত অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে শপথ করলেন।
[৩] পঞ্চমবার শপথ করল।
তারপর নবী (ﷺ) ফিরলেন এবং তার স্ত্রীকে[১] ডেকে আনার জন্য লোক পাঠালেন।। হিলাল এসে সাক্ষী দিলেন।[২] আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলছিলেন, আল্লাহ তাআলা তো জানেন যে তোমাদের দুজনের মধ্যে অবশ্যই একজন মিথ্যাবাদী। তবে কি তোমাদের মধ্যে কেউ তওবা করবে? স্ত্রী লোকটি দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিল। সে যখন পঞ্চম বারের কাছে পৌঁছল, তখন লোকেরা তাকে বাঁধা দিল এবং বলল, নিশ্চয়ই এটি তোমার উপর অবশ্যম্ভাবী। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, একথা শুনে সে দ্বিধাগ্রস্ত হল এবং ইতস্তত করতে লাগল। এমনকি আমরা মনে করতে লাগলাম যে, সে নিশ্চয়ই প্রত্যাবর্তন করবে। পরে সে বলে উঠল, আমি চিরকালের জন্য আমার বংশকে কলুষিত করব না। সে তার সাক্ষ্য পূর্ণ করল।[৩] নবী (ﷺ) বললেন, এর প্রতি দৃষ্টি রেখ। যদি সে কালো, ডাগর চক্ষু, বড় নিতম্ব ও মোটা নলা বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে তবে সে সন্তান শারিক ইবনে সাহমার। পরে সে অনুরূপ সন্তান জন্ম দিল। তখন নবী (ﷺ) বললেন, যদি এ বিষয়ে আল্লাহর কিতাব কার্যকর না হত, তাহলে অবশ্যই আমার ও তার মধ্যে কি ব্যপার যে ঘটত।
[১] খাওলা।
[২] আনীত অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে শপথ করলেন।
[৩] পঞ্চমবার শপথ করল।
