আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭২২
২৪৪৬। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ ولا تجهر بصلاتك ولا تخافت بها “নামাযে স্বর উঁচু করবেনা এবং অতিশয় ক্ষীণও করবেনা”। (১৭ঃ ১১০)।
৪৩৬৭। ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নামাযে স্বর উঁচু করবেনা এবং অতিশয় ক্ষীণও করবেনা। এ আয়াত টি এমন সময় অবতীর্ণ হয় যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কায় অপ্রকাশ্যে অবস্থান করছিলেন। তিনি যখন তার সাহাবাদের নিয়ে নামায আদায় করতেন তখন তিনি উচ্চস্বরে কুরআন পাঠ করতেন। মুশরিকরা তা শুনে কুরআনকে গালি দিত। আর গালি দিত যিনি তা অবতীর্ণ করেছেন এবং যিনি তা নিয়ে এসেছেন। এজন্য আল্লাহ তাআলা তাঁর নবী (ﷺ) -কে বলেছিলেন, “তুমি তোমার নামাযে উচ্চস্বরে কিরাত পড়বে না, যাতে মুশরিকরা শুনে কুরআনকে গালি দেয় এবং তা এত নিম্ন স্বরে ও পড়বে না, যাতে তোমার সাহাবীরা শুনতে না পায়, বরং এ দুয়ের মধ্যপথ অবলম্বন কর”।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ আয়াত এবং হযরত ইবনে আব্বাস রা.-এর তাফসীর থেকে প্রমাণিত হয় যে, সশব্দে কুরআন পাঠের মূল উদ্দেশ্য মুক্তাদীদেরকে কুরআন শুনানো। অতএব, যার পেছনে কোন মুক্তাদী নেই এমন একাকি ব্যক্তির জন্য জিহরী (সশব্দে) নামাযে সশব্দে কুরআন পড়া জরুরী নয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫৩৩)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৪৩৬৭ | মুসলিম বাংলা