আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৩৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭০৮
সূরা বনী ইসরাঈল
৪৩৫২। আদম (রাহঃ) ......... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, সূরা বনী ইসরাইল, কাহফ এবং মারইয়াম প্রথমে অবতীর্ণ অতি উত্তম সূরা। এগুলো আমার পুরনো রক্ষিত সম্পদ।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, فسينغضون তারা তাদের মাথা নাড়াবে। অন্য থেকে বর্ণিত, نغضت سنك তোমার দাঁত নড়ে গেছে। وَقَضَيْنَآ إِلٰى بَنِيْٓ إِسْرَائِيْلَ আমি বনী ইসরাঈলকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, তারা অচিরেই বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। القضاء বহু অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন وَقَضٰى رَبُّكَ -তোমার রব নির্দেশ দিয়েছেন। ‘ফায়সালা’ অর্থে, যেমন বলা হয়েছে- إِنَّ رَبَّكَ يَقْضِيْ بَيْنَهُمْ নিশ্চয় তোমার রব তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দিবেন’, এবং ‘সৃষ্টি করা’ অর্থেও ব্যবহৃত হয়; যেমন- فَقَضَاهُنَّ سَبْعَ سَمَوٰتٍ সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান। نَفِيْرًا দল* যারা তার সঙ্গে চলে। وَلِيُتَبِّرُوْا তাদের প্রাধান্য সম্পূর্ণভাবে ধ্বংষ করার জন্য। حَصِيْرًا বন্দীখানা। فَحَقَّ অনিবার্য হয়েছে। مَيْسُوْرًا নম্র। خِطْئًا পাপ। এটা خَطِئْتُ থেকে اسْمٌ এবং الْخَطَأُ (যবর সহকারে) তার মাসদার। গুনাহের অর্থে। خَطِئْتُ আমি পাপ করেছি। لَنْ تَخْرِقَ কখনও বিদীর্ণ করতে পারবে না। وَإِذْ هُمْ نَجْوٰى এটি نَاجَيْتُ
শব্দ থেকে مَصْدَرٌ। এর দ্বারা তাদের (যালিমদের) অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থ পরস্পর কানাঘুষা করছে। رُفَاتًا চূর্ণ-বিচূর্ণ। وَاسْتَفْزِزْ উত্তেজিত কর। بِخَيْلِكَ তোমার অশ্বারোহী দ্বারা وَالرِّجَالُ الرَّجَّالَةُ (পদাতিক বাহিনী) এর একবচন رَاجِلٌ যেমন صَاحِبٌ এর বহুবচন صَحْبٍ এবং تَاجِرٍ এর বহুবচন حَاصِبًا،تَجْرٌ প্রবাহিত প্রচণ্ড বায়ু এবং حَاصِبُ যা ঝঞঝা-বায়ু প্রবাহিত করে। এর থেকেই حَصَبُ جَهَنَّمَ জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়। অর্থাৎ তারা হলো জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত বস্তু। حَصَبَ فِي الْأَرْضِ যমীনে চলে গেছে। الْحَصْبُ শব্দটি الْحَصْبَاءِ থেকে গঠিত। অর্থ পাথরগুলো। تَارَةً অর্থ একবার। তার বহুবচন لَأَحْتَنِكَنَّ-تَارَاتُ- وَتِيَرْةَ তাদের সমূলে উৎখাত করব। বলা হয় احْتَنَكَ فُلَانٌ مَا عِنْدَ فُلَانٍ مِنْ عِلْمٍ অর্থাৎ অন্যের যে ইলম ছিল তা সে পুরোপুরি হাসিল করে নিয়েছে। طَائِرَهُ তার ভাগ্য। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, কুরআন শরীফে যত জায়গায় سُلْطَانٍ শব্দ রয়েছে, তার অর্থ প্রমাণ। وَلِيٌّ مِنْ الذُّلِّ অর্থাৎ দুঃখ-দুর্দশার কারণে কারো সাথে তার বন্ধুত্ব করতে পারে না। (১৫;৬)।
*আল্লাহ তা'আলার বাণী : جَعَلْنَاكُمْ أَكْثَرَ نَفِيرًا “তোমাদেরকে সংখ্যাগরিষ্ঠ করলাম” (১৫ : ৬)
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, فسينغضون তারা তাদের মাথা নাড়াবে। অন্য থেকে বর্ণিত, نغضت سنك তোমার দাঁত নড়ে গেছে। وَقَضَيْنَآ إِلٰى بَنِيْٓ إِسْرَائِيْلَ আমি বনী ইসরাঈলকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, তারা অচিরেই বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। القضاء বহু অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন وَقَضٰى رَبُّكَ -তোমার রব নির্দেশ দিয়েছেন। ‘ফায়সালা’ অর্থে, যেমন বলা হয়েছে- إِنَّ رَبَّكَ يَقْضِيْ بَيْنَهُمْ নিশ্চয় তোমার রব তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দিবেন’, এবং ‘সৃষ্টি করা’ অর্থেও ব্যবহৃত হয়; যেমন- فَقَضَاهُنَّ سَبْعَ سَمَوٰتٍ সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান। نَفِيْرًا দল* যারা তার সঙ্গে চলে। وَلِيُتَبِّرُوْا তাদের প্রাধান্য সম্পূর্ণভাবে ধ্বংষ করার জন্য। حَصِيْرًا বন্দীখানা। فَحَقَّ অনিবার্য হয়েছে। مَيْسُوْرًا নম্র। خِطْئًا পাপ। এটা خَطِئْتُ থেকে اسْمٌ এবং الْخَطَأُ (যবর সহকারে) তার মাসদার। গুনাহের অর্থে। خَطِئْتُ আমি পাপ করেছি। لَنْ تَخْرِقَ কখনও বিদীর্ণ করতে পারবে না। وَإِذْ هُمْ نَجْوٰى এটি نَاجَيْتُ
শব্দ থেকে مَصْدَرٌ। এর দ্বারা তাদের (যালিমদের) অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থ পরস্পর কানাঘুষা করছে। رُفَاتًا চূর্ণ-বিচূর্ণ। وَاسْتَفْزِزْ উত্তেজিত কর। بِخَيْلِكَ তোমার অশ্বারোহী দ্বারা وَالرِّجَالُ الرَّجَّالَةُ (পদাতিক বাহিনী) এর একবচন رَاجِلٌ যেমন صَاحِبٌ এর বহুবচন صَحْبٍ এবং تَاجِرٍ এর বহুবচন حَاصِبًا،تَجْرٌ প্রবাহিত প্রচণ্ড বায়ু এবং حَاصِبُ যা ঝঞঝা-বায়ু প্রবাহিত করে। এর থেকেই حَصَبُ جَهَنَّمَ জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়। অর্থাৎ তারা হলো জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত বস্তু। حَصَبَ فِي الْأَرْضِ যমীনে চলে গেছে। الْحَصْبُ শব্দটি الْحَصْبَاءِ থেকে গঠিত। অর্থ পাথরগুলো। تَارَةً অর্থ একবার। তার বহুবচন لَأَحْتَنِكَنَّ-تَارَاتُ- وَتِيَرْةَ তাদের সমূলে উৎখাত করব। বলা হয় احْتَنَكَ فُلَانٌ مَا عِنْدَ فُلَانٍ مِنْ عِلْمٍ অর্থাৎ অন্যের যে ইলম ছিল তা সে পুরোপুরি হাসিল করে নিয়েছে। طَائِرَهُ তার ভাগ্য। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, কুরআন শরীফে যত জায়গায় سُلْطَانٍ শব্দ রয়েছে, তার অর্থ প্রমাণ। وَلِيٌّ مِنْ الذُّلِّ অর্থাৎ দুঃখ-দুর্দশার কারণে কারো সাথে তার বন্ধুত্ব করতে পারে না। (১৫;৬)।
*আল্লাহ তা'আলার বাণী : جَعَلْنَاكُمْ أَكْثَرَ نَفِيرًا “তোমাদেরকে সংখ্যাগরিষ্ঠ করলাম” (১৫ : ৬)
سُورَةُ بَنِي إِسْرَائِيل
4708 - حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: " فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَالكَهْفِ، وَمَرْيَمَ: إِنَّهُنَّ مِنَ العِتَاقِ الأُوَلِ، وَهُنَّ مِنْ تِلاَدِي [ص:83]، {فَسَيُنْغِضُونَ إِلَيْكَ رُءُوسَهُمْ} " قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «يَهُزُّونَ» وَقَالَ غَيْرُهُ: " نَغَضَتْ سِنُّكَ: أَيْ تَحَرَّكَتْ " {وَقَضَيْنَا إِلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ} [الإسراء: 4] : «أَخْبَرْنَاهُمْ أَنَّهُمْ سَيُفْسِدُونَ، وَالقَضَاءُ عَلَى وُجُوهٍ» ، {وَقَضَى رَبُّكَ} [الإسراء: 23] : «أَمَرَ رَبُّكَ، وَمِنْهُ الحُكْمُ» . {إِنَّ رَبَّكَ يَقْضِي بَيْنَهُمْ} [يونس: 93] ، " وَمِنْهُ: الخَلْقُ ". {فَقَضَاهُنَّ سَبْعَ سَمَوَاتٍ} : «خَلَقَهُنَّ» ، {نَفِيرًا} [الإسراء: 6] : «مَنْ يَنْفِرُ مَعَهُ» ، {وَلِيُتَبِّرُوا} [الإسراء: 7] : «يُدَمِّرُوا» ، {مَا عَلَوْا} [الإسراء: 7] ، {حَصِيرًا} [الإسراء: 8] : " مَحْبِسًا: مَحْصَرًا "، حَقَّ: «وَجَبَ» ، {مَيْسُورًا} [الإسراء: 28] : «لَيِّنًا» ، {خِطْئًا} [النساء: 92] : «إِثْمًا، وَهُوَ اسْمٌ مِنْ خَطِئْتَ، وَالخَطَأُ مَفْتُوحٌ مَصْدَرُهُ مِنَ الإِثْمِ، خَطِئْتُ بِمَعْنَى أَخْطَأْتُ لَنْ تَخْرِق لَنْ تَقْطَعَ» ، {وَإِذْ هُمْ نَجْوَى} [الإسراء: 47] : " مَصْدَرٌ مِنْ نَاجَيْتُ، فَوَصَفَهُمْ بِهَا، وَالمَعْنَى: يَتَنَاجَوْنَ "، {رُفَاتًا} [الإسراء: 49] : «حُطَامًا» ، {وَاسْتَفْزِزْ} [الإسراء: 64] : «اسْتَخِفَّ» ، {بِخَيْلِكَ} [الإسراء: 64] : " الفُرْسَانِ، وَالرَّجْلُ: وَالرِّجَالُ، الرَّجَّالَةُ، وَاحِدُهَا رَاجِلٌ، مِثْلُ صَاحِبٍ وَصَحْبٍ، وَتَاجِرٍ وَتَجْرٍ "، {حَاصِبًا} [الإسراء: 68] : " الرِّيحُ العَاصِفُ، وَالحَاصِبُ أَيْضًا: مَا تَرْمِي بِهِ الرِّيحُ "، وَمِنْهُ: {حَصَبُ جَهَنَّمَ} [الأنبياء: 98] : " يُرْمَى بِهِ فِي جَهَنَّمَ، وَهُوَ حَصَبُهَا، وَيُقَالُ: حَصَبَ فِي الأَرْضِ ذَهَبَ، وَالحَصَبُ: مُشْتَقٌّ مِنَ الحَصْبَاءِ وَالحِجَارَةِ "، {تَارَةً} [الإسراء: 69] : «مَرَّةً، وَجَمَاعَتُهُ تِيَرَةٌ وَتَارَاتٌ» ، {لَأَحْتَنِكَنَّ} [الإسراء: 62] : " لَأَسْتَأْصِلَنَّهُمْ، يُقَالُ: احْتَنَكَ فُلاَنٌ مَا عِنْدَ فُلاَنٍ مِنْ عِلْمٍ اسْتَقْصَاهُ "، {طَائِرَهُ} [الإسراء: 13] : «حَظَّهُ» قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «كُلُّ سُلْطَانٍ فِي القُرْآنِ فَهُوَ حُجَّةٌ» ، {وَلِيٌّ مِنَ الذُّلِّ} [الإسراء: 111] : «لَمْ يُحَالِفْ أَحَدًا»
