আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৩৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭০৩
২৪৩০.আল্লাহ তাআলার বাণীঃ وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنْ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنَ الْعَظِيمَ “আমি তো তোমাকে দিয়েছি সাত আয়াত যা পুনঃপুন আবৃত্ত হয় এবং দিয়েছি মহা কুরআন।
৪৩৪৭। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু সাইদ ইবনে মুয়াল্লা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার পাশ দিয়ে গেলেন, তখন আমি নামায আদায় করছিলাম। তিনি আমাকে ডাক দিলেন। আমি নামায শেষ না করে আসিনি। এরপর আমি আসলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, আমার কাছে আসতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছিল? আমি বললাম, আমি নামায আদায় করছিলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা কি একথা বলেননি, “হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ এবং রাসুলের ডাকে সাড়া দাও”? তারপর তিনি বললেন, আমি মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার আগেই কি তোমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরাটি শিখিয়ে দেব না? তারপর যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদ থেকে বের হতে লাগলেন , আমি তাঁকে সে কথা স্মরণ করিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, সে সূরাটি হল, “আল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন”। এটি হল* পুনরাবৃত্ত সাতটি আয়াত এবং মহা কুরআন** যা আমাকে দান করা হয়েছে।
*সাত আয়াতের সূরা অর্থাৎ সূরা ফাতিহার সাত আয়াত, যে আয়াতগুলো প্রত্যেক নামাযে আমরা বারবার পাঠ করে থাকি।
**সূরা ফাতিহাকে মহা কুরআন বলা হয়েছে। কারণ কুরআনের সকল বিষয়বস্তুর মূলকথা এর মধ্যে রয়েছে।
*সাত আয়াতের সূরা অর্থাৎ সূরা ফাতিহার সাত আয়াত, যে আয়াতগুলো প্রত্যেক নামাযে আমরা বারবার পাঠ করে থাকি।
**সূরা ফাতিহাকে মহা কুরআন বলা হয়েছে। কারণ কুরআনের সকল বিষয়বস্তুর মূলকথা এর মধ্যে রয়েছে।
بَاب قَوْلِهِ {وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنْ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنَ الْعَظِيمَ}
4703 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ المُعَلَّى، قَالَ: مَرَّ بِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أُصَلِّي، فَدَعَانِي فَلَمْ آتِهِ حَتَّى صَلَّيْتُ ثُمَّ أَتَيْتُ، فَقَالَ: «مَا مَنَعَكَ أَنْ تَأْتِيَنِي؟» فَقُلْتُ: كُنْتُ أُصَلِّي، فَقَالَ: " أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ} [الأنفال: 24] ثُمَّ قَالَ: «أَلاَ أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي القُرْآنِ قَبْلَ أَنْ أَخْرُجَ مِنَ المَسْجِدِ» فَذَهَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَخْرُجَ مِنَ المَسْجِدِ فَذَكَّرْتُهُ، فَقَالَ: «الحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ العَالَمِينَ. هِيَ السَّبْعُ المَثَانِي، وَالقُرْآنُ العَظِيمُ الَّذِي أُوتِيتُهُ»


বর্ণনাকারী: