আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৯৪
২৪২২.আল্লাহ তাআলার বাণীঃ فَلَمَّا جَاءَهُ الرَّسُولُ قَالَ ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ “যখন দূত ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর নিকট উপস্থিত হল তখন সে বলল, তুমি তোমার প্রভুর নিকট ফিরে যাও এবং তাকে জিজ্ঞাসা কর, যে সকল নারী হাত কেটে ফেলেছিল তাদের অবস্থা কি! আমার প্রতিপালক তো তাদের চক্রান্ত সম্যক অবগত। বাদশাহ নারীদের বলল, যখন তোমরা ইয়ুসুফ থেকে অসৎ কর্ম কামনা করেছিলে তখন তোমাদের কি অবস্থা হয়েছিল? তারা বলল, অদ্ভুত আল্লাহর মাহাত্ম্য! আমাদের ও তার মধ্যে কোন দোষ দেখিনি। حاش وحاشى এটা تنزيه এবং استثناء এর জন্য। حصحص অর্থ প্রকাশ হয়ে গেল।
৪৩৩৭। সাইদ ইবনে তালিদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা লুত (আলাইহিস সালাম) এর উপর রহম করেন। তিনি তার সম্প্রদায়ের চরম শত্রুতায় বাধ্য হয়ে, নিজের নিরাপত্তার জন্য আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছিলেন। যতদিন পর্যন্ত ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) বন্দীখানায় ছিলেন, আমি যদি তদ্রূপ (বন্দীখানায়) থাকতাম, তবে পরিত্রাণের জন্য অবশ্যই সাড়া দিতাম*। আমরা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) থেকে সর্বাগ্রে থাকতাম** যখন আল্লাহ তাকে বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করনা? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ। তবে আমার মনের প্রশান্তির জন্য।
*মুক্তি পাওয়ার জন্য যে কোন নির্দেশ মেনে নিতাম এবং আহবানকারীর আহবানে সাড়া দিতাম। এ কথার দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ (সা) ইউসুফ (আ)-এর ধৈর্যের বর্ণনা প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, ইউসুফ (আ) বন্দীখানায় সাত বছর সাত মাস সাত দিন সাত ঘন্টা ছিলেন।
**এর দ্বারা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর বিনয়ী ভাব প্রকাশ পেয়েছে ।
*মুক্তি পাওয়ার জন্য যে কোন নির্দেশ মেনে নিতাম এবং আহবানকারীর আহবানে সাড়া দিতাম। এ কথার দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ (সা) ইউসুফ (আ)-এর ধৈর্যের বর্ণনা প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, ইউসুফ (আ) বন্দীখানায় সাত বছর সাত মাস সাত দিন সাত ঘন্টা ছিলেন।
**এর দ্বারা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর বিনয়ী ভাব প্রকাশ পেয়েছে ।
