আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৭০
২৪০২. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ (হে রাসুল) আপনি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন অথবা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করুন, একই কথা। আপনি তাদের জন্য সত্তর বার ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ তাদের কখনই ক্ষমা করবেন না (এর কারণ, তারা আল্লাহ ও তার রাসুলকে অস্বীকার করেছে। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না) (৯ঃ ৮০)
৪৩১৩। উবাইদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই (মুনাফিক) মারা গেল, তখন তার ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ রাসূল (ﷺ) এর দরবারে আসলেন এবং তার পিতাকে রাসূল (ﷺ) এর কোর্তা দিয়ে কাফন দেবার আবেদন করলেন। রাসূল (ﷺ) কোর্তাটি প্রদান করলেন, এরপর (আব্দুল্লাহ তার পিতার) জানাযার নামায পড়ানোর জন্য নবী (ﷺ) এর কাছে আবেদন জানালেন। রাসূল (ﷺ) জানাযার নামায পড়ানোর জন্য বসা থেকে উঠে দাঁড়ালেন, ইত্যবসরে উমর (রাযিঃ) রাসূল (ﷺ) এর কাপড় টেনে ধরে আবেদন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি কি তার জানাযার নামায পড়াতে যাচ্ছেন?
অথচ আপনার রব (আল্লাহ তাআলা) আপনাকে তার জন্য দুআ করতে নিষেধ করেছেন। রাসূল (ﷺ) বললেন, আল্লাহ তাআলা আমাকে এ ব্যাপারে ইখতিয়ার দিয়েছেন। আর আল্লাহ তো ইরশাদ করেছেন, ‘‘তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর আর না কর; যদি সত্তর বারও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর তুব আমি তাদের ক্ষমা করব না।’’ সুতরাং আমি তার জন্য সত্তর বারের চেয়েও অধিক ক্ষমা প্রার্থনা করব। উমর (রাযিঃ) বললেন, সে তো মুনাফিক, শেষ পর্যন্ত রাসূল (ﷺ) তার জানোযার নামায পড়ালেন, এরপর এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। ″তাদের (মুনাফিকদের) কেউ মারা গেলে আপনি কখনো তাদের জানাযার নামায আদায় করবেন না এবং তাদের কবরের কাছেও দাঁড়াবেন না।″
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন