আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৬৫
২৩৯৯. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিলেন এবং তিনি ছিলেন দু’জনের একজন (৯ঃ ৪০)
৪৩০৮। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ..... ইবনে আবু মূলায়কা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) ও ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) এর মধ্যে বায়আত নিয়ে মতভেদ সৃষ্টি হল, তখন আমি ইবনে আব্বাসের কাছে গিয়ে বললাম, আপনি কি আল্লাহ যা হারাম করেছেন, তা হালাল করে ইবনে যুবাইরের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান? তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কাছে পানাহ চাচ্ছি, এ কাজ তো ইবনে যুবাইর ও বনী উমাইয়ার জন্যই আল্লাহ লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। আল্লাহর কসম! কখনো আমি তা হালাল মনে করব না, (আবু মূলায়কা বলেন) তখন লোকজন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে বলল, আপনি ইবনে যুবাইরের পক্ষে বায়আত গ্রহণ করুন।
তখন ইবনে আব্বাস বললেন, তাতে ক্ষতির কি আছে? তিনি এটার জন্য যোগ্যতম ব্যক্তি। তাঁর পিতা যুবাইর তো নবী (ﷺ) এর সাহায্যকারী ছিলেন, তার নানা আবু বকর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর সওর গুহার সহচর ছিলেন। তার মা আসমা, যার উপাধি ছিল যাতুন নেতাক। তার খালা আয়েশা (রাযিঃ) উম্মূল মু’মিনীন ছিলেন, তার ফুফু খাদীজা (রাযিঃ) রাসূল (ﷺ) এর স্ত্রী ছিলেন, আর রাসূল (ﷺ) এর ফুফু সাফিয়্যা ছিলেন তার দাদী। এ ছাড়া তিনি (ইবনে যুবাইর) তো ইসলামী জগতে নিষ্কলুষ ব্যক্তি ও কুরআনের ক্বারী। আল্লাহর কসম! যদি তারা (বনী উমাইয়া) আমার সাথে সম্পর্ক রাখে তবে তারা আমার নিকটত্মীায়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক রাখল।
আর যদি তারা আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ করে তবে তারা সমকক্ষ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরই রক্ষণাবেক্ষণ করল। ইবনে যুবাইর, বনী আসাদ, বনী তুআইত, বনী উসামা-এসব গোত্রকে আমার চেয়ে নিকটতম করে নিয়েছেন। নিশ্চয়ই আবিল আস-এর পুত্র অর্থাৎ আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান অহংকারী চালচলন আরম্ভ করেছে। নিশ্চয়ই তিনি অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) তার লেজ গুটিয়ে নিয়েছেন।
তখন ইবনে আব্বাস বললেন, তাতে ক্ষতির কি আছে? তিনি এটার জন্য যোগ্যতম ব্যক্তি। তাঁর পিতা যুবাইর তো নবী (ﷺ) এর সাহায্যকারী ছিলেন, তার নানা আবু বকর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর সওর গুহার সহচর ছিলেন। তার মা আসমা, যার উপাধি ছিল যাতুন নেতাক। তার খালা আয়েশা (রাযিঃ) উম্মূল মু’মিনীন ছিলেন, তার ফুফু খাদীজা (রাযিঃ) রাসূল (ﷺ) এর স্ত্রী ছিলেন, আর রাসূল (ﷺ) এর ফুফু সাফিয়্যা ছিলেন তার দাদী। এ ছাড়া তিনি (ইবনে যুবাইর) তো ইসলামী জগতে নিষ্কলুষ ব্যক্তি ও কুরআনের ক্বারী। আল্লাহর কসম! যদি তারা (বনী উমাইয়া) আমার সাথে সম্পর্ক রাখে তবে তারা আমার নিকটত্মীায়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক রাখল।
আর যদি তারা আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ করে তবে তারা সমকক্ষ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরই রক্ষণাবেক্ষণ করল। ইবনে যুবাইর, বনী আসাদ, বনী তুআইত, বনী উসামা-এসব গোত্রকে আমার চেয়ে নিকটতম করে নিয়েছেন। নিশ্চয়ই আবিল আস-এর পুত্র অর্থাৎ আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান অহংকারী চালচলন আরম্ভ করেছে। নিশ্চয়ই তিনি অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) তার লেজ গুটিয়ে নিয়েছেন।


বর্ণনাকারী: