আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৩৮
২৩৭৮. আল্লাহর বাণীঃ মুসা যখন আমার নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হল এবং তার প্রতিপালক তার সাথে কথা বললেন, তখন তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দর্শন দাও, আমি তোমাকে দেখব, তিনি বললেন, তুমি আমাকে কখনোই দেখতে পাবে না। তুমি বরং পাহাড়ের প্রতি লক্ষ কর, তা যদি স্ব-স্থানে স্থির থাকে তবে তুমি আমাকে দেখবে, যখন তার প্রতিপালক পাহাড়ে জ্যোতি প্রকাশ করলেন তখন তা পাহাড়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করল আর মুসা (আলাইহিস সালাম) সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেন। যখকন তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন, তখন বললেন, মহিমময় তুমি, আমি অনুতপ্ত হয়ে তোমাতেই প্রত্যাবর্তন করলাম এবং মুমিনদের মধ্যে আমিই প্রথম (৭ঃ ১৪৩) ইবনে ’আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, أَرِنِيْ আমাকে দেখা দাও।
৪২৮৩। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বলেছেন যে, এক ইয়াহুদী নবী (ﷺ) এর দরবারে উপস্থিত হল। তার মুখমণ্ডলে চপেটাঘাত খেয়ে বলল, হে মুহাম্মাদ! আপনার এক আনসারী সাহাবী আমার মুখমণ্ডলে চপেটাঘাত করেছে। তিনি বললেন, তাকে ডেকে আন। তারা ওকে ডেকে আনল, রাসূল (ﷺ) বললেন, ‘‘একে চপেটাঘাত করেছ কেন?’’ সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এই ইয়াহুদীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন শুনলাম যে, সে বলছে তারই শপথ যিনি মুসা (আলাইহিস সালাম) কে মানবজাতির উপর মনোনীত করেছেন, আমি বললাম মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপরও মনোনীত করেছেন কি? এরপর আমার রাগ এসে গেল, তাই তাকে চপেটাঘাত করেছি। রাসূল (ﷺ) বললেন, (অন্যের মানহানি হতে পারে কিংবা নিজেদের খেয়াল খুশী মত) তোমরা আমাকে অন্যান্য নবী থেকে উত্তম বলো না’’ (বরং আল্লাহর ঘোষণায় আমি তো উত্তম আছিই বরং থাকবোই), কারণ কিয়ামত দিবসে সব মানুষই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়বে, সর্বপ্রথম আমিই সচেতন হব। তিনি বলেন, তখন আমি দেখব যে, মুসা (আলাইহিস সালাম) আরশের খুটি ধরে রেখেছেন, আমার বোধগম্য হবে না যে, তিনি কি আমার পূর্বে সচেতন হবেন নাকি তুর পাহাড়ের সংজ্ঞাহীনতাকে এর বিনিময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন