আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
৪১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৫৮২
১১. যে অবস্থায় হাত কাটা হইবে না
রেওয়ায়ত ৩৫. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু বকর ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে হাযম এক নিবাতী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিল, যে লোহার আংটি চুরি করিয়াছে। তাহাকে হাত কাটিতে ধরিয়া রাখিল। উমরা বিনতে আব্দুর রহমান (রাযিঃ) তাহার উমাইয়া নামক মুক্ত দাসীকে আবু বকর (রাযিঃ)-এর নিকট পাঠাইলেন। আবু বকর (রাযিঃ) বলিলেনঃ আমি কয়েকজন লোকের মধ্যে উপবিষ্ট ছিলাম। ইত্যবসরে ঐ দাসী আমার নিকট আসিয়া বলিতে লাগিল, আপনার খালা উমরা বলিয়াছেন, ভাগণে তুমি অল্প কিছু মালের জন্য একজন গ্রাম্য লোককে আটকাইয়া রাখিয়াছ আর তাহার হাত কাটিতে চাহিতেছ? আমি বলিলাম, হ্যাঁ। সে বলিল, উমরা বলিয়াছেন যে, এক-চতুর্থাংশ দীনারের বিনিময়েই হাত কাটা হইয়া থাকে। অতঃপর আমি তাহাকে ছাড়িয়া দিলাম।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কোন দাস এইরূপ কোন অন্যায় স্বীকার করে, যাহাতে তাহার উপর হাদ্দ জারি হয় অথবা শাস্তি বর্তায় যাহা তাহার দৈহিক ক্ষতি সাধন করে, (যথাঃ হাত কাটা যায়), তবে তাহা বৈধ। তাহাকে এই দোষারোপ করা হইবে না যে, সে তাহার প্রভুর অনিষ্ট সাধনের নিমিত্ত এই ধরনের অপরাধ স্বীকার করিয়াছে, প্রকৃতপক্ষে সে উহা করে নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেন, কোন দাস যদি এইরূপ কোন অন্যায় স্বীকার করে যাহার জন্য তাহার প্রভুকে ক্ষতিগ্রস্ত হইতে হয় এইভাবে যে, প্রভুকে তাহার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়, তবে তাহার এই স্বীকারোক্তি বৈধ ধরা যাইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কোন শ্রমিক অথবা অন্য কোন ব্যক্তি যে এমন সব লোকের মধ্যে থাকে, যাহাদের সে খিদমত করে সে তাহাদের কোন বস্তু চুরি করিলে হাত কাটা যাইবে না। কেননা সে খেয়ানতকারীর মতো হইল। আর খেয়ানতকারী ব্যক্তির হাত কাটা হয় না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কেহ কাহারও কোন দ্রব্য চাহিয়া নেয়, অতঃপর তাহা অস্বীকার করে, তবে তাহার হাত কাটা হইবে না। ইহার উদাহরণ এইরূপঃ যেমন কেহ কাহারও নিকট হইতে ঋণ লইয়া তাহা অস্বীকার করিল তখন তাহার হাত কাটা হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা একটি সর্বসম্মত বিধান যে, যদি চোর ঘরে ঢুকিয়া মাল একত্র করিয়া নেয় কিন্তু উহা ঘর হইতে বাহির করিল না, তাহা হইলে তাহার হাত কাটা হইবে না। ইহার উদাহরণ এইরূপঃ যেমন কাহারও সম্মুখে পান করিবার জন্য মদ রাখা আছে, কিন্তু সে এখনও উহা পান করে নাই; এমতাবস্থায় তাহাকে মদ্য পানের শাস্তি দেওয়া হইবে না। উহার উদাহরণ এইরূপও হইতে পারে, যেমন কেহ কোন স্ত্রীলোকের নিকট সহবাস করিতে উপবেশন করিল, কিন্তু তাহার লজ্জাস্থানে স্বীয় লজ্জাস্থান প্রবেশ করায় নাই, এমতাবস্থায় তাহার উপর ব্যভিচারের শাস্তি বর্তিবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট একটি সর্বসম্মত বিধান এই যে, ছিনাইয়া লইলে হাত কাটা হইবে না, যদিও ঐ দ্রব্যের মূল্য এক দীনারের চতুর্থাংশ বা তাহার চাইতে অধিক হয়।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কোন দাস এইরূপ কোন অন্যায় স্বীকার করে, যাহাতে তাহার উপর হাদ্দ জারি হয় অথবা শাস্তি বর্তায় যাহা তাহার দৈহিক ক্ষতি সাধন করে, (যথাঃ হাত কাটা যায়), তবে তাহা বৈধ। তাহাকে এই দোষারোপ করা হইবে না যে, সে তাহার প্রভুর অনিষ্ট সাধনের নিমিত্ত এই ধরনের অপরাধ স্বীকার করিয়াছে, প্রকৃতপক্ষে সে উহা করে নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেন, কোন দাস যদি এইরূপ কোন অন্যায় স্বীকার করে যাহার জন্য তাহার প্রভুকে ক্ষতিগ্রস্ত হইতে হয় এইভাবে যে, প্রভুকে তাহার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়, তবে তাহার এই স্বীকারোক্তি বৈধ ধরা যাইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কোন শ্রমিক অথবা অন্য কোন ব্যক্তি যে এমন সব লোকের মধ্যে থাকে, যাহাদের সে খিদমত করে সে তাহাদের কোন বস্তু চুরি করিলে হাত কাটা যাইবে না। কেননা সে খেয়ানতকারীর মতো হইল। আর খেয়ানতকারী ব্যক্তির হাত কাটা হয় না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কেহ কাহারও কোন দ্রব্য চাহিয়া নেয়, অতঃপর তাহা অস্বীকার করে, তবে তাহার হাত কাটা হইবে না। ইহার উদাহরণ এইরূপঃ যেমন কেহ কাহারও নিকট হইতে ঋণ লইয়া তাহা অস্বীকার করিল তখন তাহার হাত কাটা হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা একটি সর্বসম্মত বিধান যে, যদি চোর ঘরে ঢুকিয়া মাল একত্র করিয়া নেয় কিন্তু উহা ঘর হইতে বাহির করিল না, তাহা হইলে তাহার হাত কাটা হইবে না। ইহার উদাহরণ এইরূপঃ যেমন কাহারও সম্মুখে পান করিবার জন্য মদ রাখা আছে, কিন্তু সে এখনও উহা পান করে নাই; এমতাবস্থায় তাহাকে মদ্য পানের শাস্তি দেওয়া হইবে না। উহার উদাহরণ এইরূপও হইতে পারে, যেমন কেহ কোন স্ত্রীলোকের নিকট সহবাস করিতে উপবেশন করিল, কিন্তু তাহার লজ্জাস্থানে স্বীয় লজ্জাস্থান প্রবেশ করায় নাই, এমতাবস্থায় তাহার উপর ব্যভিচারের শাস্তি বর্তিবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট একটি সর্বসম্মত বিধান এই যে, ছিনাইয়া লইলে হাত কাটা হইবে না, যদিও ঐ দ্রব্যের মূল্য এক দীনারের চতুর্থাংশ বা তাহার চাইতে অধিক হয়।
باب مَا لَا قَطْعَ فِيهِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنَّهُ أَخَذَ نَبَطِيًّا قَدْ سَرَقَ خَوَاتِمَ مِنْ حَدِيدٍ فَحَبَسَهُ لِيَقْطَعَ يَدَهُ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ عَمْرَةُ بِنْتُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَوْلَاةً لَهَا يُقَالُ لَهَا أُمَيَّةُ قَالَ أَبُو بَكْرٍ فَجَاءَتْنِي وَأَنَا بَيْنَ ظَهْرَانَيْ النَّاسِ فَقَالَتْ تَقُولُ لَكَ خَالَتُكَ عَمْرَةُ يَا ابْنَ أُخْتِي أَخَذْتَ نَبَطِيًّا فِي شَيْءٍ يَسِيرٍ ذُكِرَ لِي فَأَرَدْتَ قَطْعَ يَدِهِ قُلْتُ نَعَمْ قَالَتْ فَإِنَّ عَمْرَةَ تَقُولُ لَكَ لَا قَطْعَ إِلَّا فِي رُبُعِ دِينَارٍ فَصَاعِدًا قَالَ أَبُو بَكْرٍ فَأَرْسَلْتُ النَّبَطِيَّ
قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي اعْتِرَافِ الْعَبِيدِ أَنَّهُ مَنْ اعْتَرَفَ مِنْهُمْ عَلَى نَفْسِهِ بِشَيْءٍ يَقَعُ الْحَدُّ فِيهِ أَوْ الْعُقُوبَةُ فِيهِ فِي جَسَدِهِ فَإِنَّ اعْتِرَافَهُ جَائِزٌ عَلَيْهِ وَلَا يُتَّهَمُ أَنْ يُوقِعَ عَلَى نَفْسِهِ هَذَا قَالَ مَالِك وَأَمَّا مَنْ اعْتَرَفَ مِنْهُمْ بِأَمْرٍ يَكُونُ غُرْمًا عَلَى سَيِّدِهِ فَإِنَّ اعْتِرَافَهُ غَيْرُ جَائِزٍ عَلَى سَيِّدِهِ قَالَ مَالِك لَيْسَ عَلَى الْأَجِيرِ وَلَا عَلَى الرَّجُلِ يَكُونَانِ مَعَ الْقَوْمِ يَخْدُمَانِهِمْ إِنْ سَرَقَاهُمْ قَطْعٌ لِأَنَّ حَالَهُمَا لَيْسَتْ بِحَالِ السَّارِقِ وَإِنَّمَا حَالُهُمَا حَالُ الْخَائِنِ وَلَيْسَ عَلَى الْخَائِنِ قَطْعٌ قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَسْتَعِيرُ الْعَارِيَةَ فَيَجْحَدُهَا إِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْهِ قَطْعٌ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ مَثَلُ رَجُلٍ كَانَ لَهُ عَلَى رَجُلٍ دَيْنٌ فَجَحَدَهُ ذَلِكَ فَلَيْسَ عَلَيْهِ فِيمَا جَحَدَهُ قَطْعٌ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي السَّارِقِ يُوجَدُ فِي الْبَيْتِ قَدْ جَمَعَ الْمَتَاعَ وَلَمْ يَخْرُجْ بِهِ إِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْهِ قَطْعٌ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ وَضَعَ بَيْنَ يَدَيْهِ خَمْرًا لِيَشْرَبَهَا فَلَمْ يَفْعَلْ فَلَيْسَ عَلَيْهِ حَدٌّ وَمَثَلُ ذَلِكَ رَجُلٌ جَلَسَ مِنْ امْرَأَةٍ مَجْلِسًا وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُصِيبَهَا حَرَامًا فَلَمْ يَفْعَلْ وَلَمْ يَبْلُغْ ذَلِكَ مِنْهَا فَلَيْسَ عَلَيْهِ أَيْضًا فِي ذَلِكَ حَدٌّ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَيْسَ فِي الْخُلْسَةِ قَطْعٌ بَلَغَ ثَمَنُهَا مَا يُقْطَعُ فِيهِ أَوْ لَمْ يَبْلُغْ
قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي اعْتِرَافِ الْعَبِيدِ أَنَّهُ مَنْ اعْتَرَفَ مِنْهُمْ عَلَى نَفْسِهِ بِشَيْءٍ يَقَعُ الْحَدُّ فِيهِ أَوْ الْعُقُوبَةُ فِيهِ فِي جَسَدِهِ فَإِنَّ اعْتِرَافَهُ جَائِزٌ عَلَيْهِ وَلَا يُتَّهَمُ أَنْ يُوقِعَ عَلَى نَفْسِهِ هَذَا قَالَ مَالِك وَأَمَّا مَنْ اعْتَرَفَ مِنْهُمْ بِأَمْرٍ يَكُونُ غُرْمًا عَلَى سَيِّدِهِ فَإِنَّ اعْتِرَافَهُ غَيْرُ جَائِزٍ عَلَى سَيِّدِهِ قَالَ مَالِك لَيْسَ عَلَى الْأَجِيرِ وَلَا عَلَى الرَّجُلِ يَكُونَانِ مَعَ الْقَوْمِ يَخْدُمَانِهِمْ إِنْ سَرَقَاهُمْ قَطْعٌ لِأَنَّ حَالَهُمَا لَيْسَتْ بِحَالِ السَّارِقِ وَإِنَّمَا حَالُهُمَا حَالُ الْخَائِنِ وَلَيْسَ عَلَى الْخَائِنِ قَطْعٌ قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَسْتَعِيرُ الْعَارِيَةَ فَيَجْحَدُهَا إِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْهِ قَطْعٌ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ مَثَلُ رَجُلٍ كَانَ لَهُ عَلَى رَجُلٍ دَيْنٌ فَجَحَدَهُ ذَلِكَ فَلَيْسَ عَلَيْهِ فِيمَا جَحَدَهُ قَطْعٌ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي السَّارِقِ يُوجَدُ فِي الْبَيْتِ قَدْ جَمَعَ الْمَتَاعَ وَلَمْ يَخْرُجْ بِهِ إِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْهِ قَطْعٌ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ وَضَعَ بَيْنَ يَدَيْهِ خَمْرًا لِيَشْرَبَهَا فَلَمْ يَفْعَلْ فَلَيْسَ عَلَيْهِ حَدٌّ وَمَثَلُ ذَلِكَ رَجُلٌ جَلَسَ مِنْ امْرَأَةٍ مَجْلِسًا وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُصِيبَهَا حَرَامًا فَلَمْ يَفْعَلْ وَلَمْ يَبْلُغْ ذَلِكَ مِنْهَا فَلَيْسَ عَلَيْهِ أَيْضًا فِي ذَلِكَ حَدٌّ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَيْسَ فِي الْخُلْسَةِ قَطْعٌ بَلَغَ ثَمَنُهَا مَا يُقْطَعُ فِيهِ أَوْ لَمْ يَبْلُغْ
