আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায়
হাদীস নং: ১৪৯৪
৮. প্রশাসন ও বিচার সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম এবং বিচারকের দায়িত্ব গ্রহণকে অপছন্দ করা
রেওয়ায়ত ৭. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ হইতে বর্ণিত, আবু দারদা (রাযিঃ) সালমান ফার্সী (রাযিঃ)-এর নিকট লিখিয়াছেন যে, পবিত্র ভূমিতে চলিয়া আস। উত্তরে সালমান লিখিলেন, ভূমি কাহাকেও পবিত্র করিতে সক্ষম নয়, বরং মানুষকে তাহার আমলই পবিত্র করে। শুনিতে পাইলাম, তোমাকে ডাক্তার (বিচারপতি) নিযুক্ত করা হইয়াছে এবং মানুষকে ঔষধপত্র দিয়া চিকিৎসা করিয়া থাক, যদি তুমি চিকিৎসাশাস্ত্র শিখিয়া তাহা করিয়া থাক এবং ইহাতে রোগ নিরাময় হয় তবে তাহা উত্তম। আর যদি চিকিৎসাশাস্ত্রের জ্ঞান লাভ না করিয়া তুমি চিকিৎসক সাজিয়া থাক তবে সাবধান ও সতর্ক হও— এমন না হয় যে, তোমার ভুল সিদ্ধান্তের দ্বারা মানুষকে মারিয়া ফেলিবে, ফলে তুমি দোযখে প্রবেশ করিবে। অতঃপর তিনি যখন কোন দুই ব্যক্তির মধ্যে ফয়সালা করিতেন এবং উভয়ে চলিয়া যাইতে শুরু করিলে তখন উভয়কে বলিতেন, তোমরা পুনরায় তোমাদের ঘটনা বর্ণনা কর, আমি আবার বিবেচনা করি। কারণ আমি তো তোমাদের মূল উদ্দেশ্য জানি না, কেবল শুনিয়া চিকিৎসা করি।*
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কেহ অন্যের গোলামকে মালিকের অনুমতি ব্যতীত কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিযুক্ত করে এবং সেই কাজ পারিশ্রমিকযোগ্য, তদ্বারা হয় তবে গোলামের কোন ক্ষতি হইলে, কর্মে নিয়োগকারীকে ইহার ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে। আর ক্রীতদাস অক্ষত অবস্থায় কর্ম সম্পাদন করিলে এবং তাহার কর্তা পারিশ্রমিক দাবি করিলে তবে পারিশ্রমিক কর্তার প্রাপ্য হইবে, ইহাই আমাদের ফয়সালা।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ গোলামের কিছু অংশ যদি স্বাধীন এবং কিছু অংশ পরাধীন থাকে তবে গোলামের মাল তাহার হাতেই থাকিবে, তাহা সে কোন নুতন কাজে ব্যয় করিতে পারিবে না। কেবল নিজের ভরণপোষণে নিয়ম মুতাবিক ব্যয় করবে। তাহার মৃত্যুর পর যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহা যে মালিক তাহার অংশ আযাদ করে নাই সে পাইবে।মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের ফায়সালা হইল, যে দিন সন্তান ধনবান হইয়া যায়, পিতা ইচ্ছা করেন যে, যাহা তাহার প্রতি খরচ করা হইয়াছে তাহা ফেরত লইবে, তবে যেদিন হইতে তাহার জন্য খরচ করা হইয়াছে সেইদিন হইতে হিসাব করিয়া খরচ আদায় করিয়া লইবে, মাল নগদ অর্থই হউক বা অন্য কোন বস্তু হউক।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কেহ অন্যের গোলামকে মালিকের অনুমতি ব্যতীত কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিযুক্ত করে এবং সেই কাজ পারিশ্রমিকযোগ্য, তদ্বারা হয় তবে গোলামের কোন ক্ষতি হইলে, কর্মে নিয়োগকারীকে ইহার ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে। আর ক্রীতদাস অক্ষত অবস্থায় কর্ম সম্পাদন করিলে এবং তাহার কর্তা পারিশ্রমিক দাবি করিলে তবে পারিশ্রমিক কর্তার প্রাপ্য হইবে, ইহাই আমাদের ফয়সালা।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ গোলামের কিছু অংশ যদি স্বাধীন এবং কিছু অংশ পরাধীন থাকে তবে গোলামের মাল তাহার হাতেই থাকিবে, তাহা সে কোন নুতন কাজে ব্যয় করিতে পারিবে না। কেবল নিজের ভরণপোষণে নিয়ম মুতাবিক ব্যয় করবে। তাহার মৃত্যুর পর যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহা যে মালিক তাহার অংশ আযাদ করে নাই সে পাইবে।মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের ফায়সালা হইল, যে দিন সন্তান ধনবান হইয়া যায়, পিতা ইচ্ছা করেন যে, যাহা তাহার প্রতি খরচ করা হইয়াছে তাহা ফেরত লইবে, তবে যেদিন হইতে তাহার জন্য খরচ করা হইয়াছে সেইদিন হইতে হিসাব করিয়া খরচ আদায় করিয়া লইবে, মাল নগদ অর্থই হউক বা অন্য কোন বস্তু হউক।
بَاب جَامِعِ الْقَضَاءِ وَكَرَاهِيَتِهِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ أَبَا الدَّرْدَاءِ كَتَبَ إِلَى سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ أَنْ هَلُمَّ إِلَى الْأَرْضِ الْمُقَدَّسَةِ فَكَتَبَ إِلَيْهِ سَلْمَانُ إِنَّ الْأَرْضَ لَا تُقَدِّسُ أَحَدًا وَإِنَّمَا يُقَدِّسُ الْإِنْسَانَ عَمَلُهُ وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّكَ جُعِلْتَ طَبِيبًا تُدَاوِي فَإِنْ كُنْتَ تُبْرِئُ فَنَعِمَّا لَكَ وَإِنْ كُنْتَ مُتَطَبِّبًا فَاحْذَرْ أَنْ تَقْتُلَ إِنْسَانًا فَتَدْخُلَ النَّارَ فَكَانَ أَبُو الدَّرْدَاءِ إِذَا قَضَى بَيْنَ اثْنَيْنِ ثُمَّ أَدْبَرَا عَنْهُ نَظَرَ إِلَيْهِمَا وَقَالَ ارْجِعَا إِلَيَّ أَعِيدَا عَلَيَّ قِصَّتَكُمَا مُتَطَبِّبٌ وَاللَّهِ
قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ مَنْ اسْتَعَانَ عَبْدًا بِغَيْرِ إِذْنِ سَيِّدِهِ فِي شَيْءٍ لَهُ بَالٌ وَلِمِثْلِهِ إِجَارَةٌ فَهُوَ ضَامِنٌ لِمَا أَصَابَ الْعَبْدَ إِنْ أُصِيبَ الْعَبْدُ بِشَيْءٍ وَإِنْ سَلِمَ الْعَبْدُ فَطَلَبَ سَيِّدُهُ إِجَارَتَهُ لِمَا عَمِلَ فَذَلِكَ لِسَيِّدِهِ وَهُوَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الْعَبْدِ يَكُونُ بَعْضُهُ حُرًّا وَبَعْضُهُ مُسْتَرَقًّا إِنَّهُ يُوقَفُ مَالُهُ بِيَدِهِ وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُحْدِثَ فِيهِ شَيْئًا وَلَكِنَّهُ يَأْكُلُ فِيهِ وَيَكْتَسِي بِالْمَعْرُوفِ فَإِذَا هَلَكَ فَمَالُهُ لِلَّذِي بَقِيَ لَهُ فِيهِ الرِّقُّ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْوَالِدَ يُحَاسِبُ وَلَدَهُ بِمَا أَنْفَقَ عَلَيْهِ مِنْ يَوْمِ يَكُونُ لِلْوَلَدِ مَالٌ نَاضًّا كَانَ أَوْ عَرْضًا إِنْ أَرَادَ الْوَالِدُ ذَلِكَ
قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ مَنْ اسْتَعَانَ عَبْدًا بِغَيْرِ إِذْنِ سَيِّدِهِ فِي شَيْءٍ لَهُ بَالٌ وَلِمِثْلِهِ إِجَارَةٌ فَهُوَ ضَامِنٌ لِمَا أَصَابَ الْعَبْدَ إِنْ أُصِيبَ الْعَبْدُ بِشَيْءٍ وَإِنْ سَلِمَ الْعَبْدُ فَطَلَبَ سَيِّدُهُ إِجَارَتَهُ لِمَا عَمِلَ فَذَلِكَ لِسَيِّدِهِ وَهُوَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الْعَبْدِ يَكُونُ بَعْضُهُ حُرًّا وَبَعْضُهُ مُسْتَرَقًّا إِنَّهُ يُوقَفُ مَالُهُ بِيَدِهِ وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُحْدِثَ فِيهِ شَيْئًا وَلَكِنَّهُ يَأْكُلُ فِيهِ وَيَكْتَسِي بِالْمَعْرُوفِ فَإِذَا هَلَكَ فَمَالُهُ لِلَّذِي بَقِيَ لَهُ فِيهِ الرِّقُّ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْوَالِدَ يُحَاسِبُ وَلَدَهُ بِمَا أَنْفَقَ عَلَيْهِ مِنْ يَوْمِ يَكُونُ لِلْوَلَدِ مَالٌ نَاضًّا كَانَ أَوْ عَرْضًا إِنْ أَرَادَ الْوَالِدُ ذَلِكَ
