আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৭৫
৪৩. সালাফ-এ যাহা বৈধ
রেওয়ায়ত ৯১. মুজাহিদ (রাহঃ) বলেনঃ আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) এক ব্যক্তির নিকট হইতে কিছু দিরহাম কর্জ লইলেন। অতঃপর আদায় করিবার সময় যে দিরহাম ঋণস্বরূপ লইয়াছিলেন উহা হইতে উৎকৃষ্ট দিরহাম দিলেন। ঐ ব্যক্তি বলিল, হে আবু আব্দুর রহমান এই দিরহাম আমার দিরহাম হইতে উৎকৃষ্ট যাহা আমি আপনাকে ধার দিয়াছিলাম। আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর বলিলেন, আমার তাহা জানা আছে তবুও আমি খুশী হইয়া উহা দিয়াছি।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কাহাকেও স্বর্ণরৌপ্য বা কোন খাদ্যদ্রব্য ধার দেয় তবে ফেরত লইবার সময় যাহাকে ধার দিয়াছিল তাহা হইতে উৎকৃষ্ট বস্তু গ্রহণ করাতে কোন দোষ নাই, যদি এইরূপ কোন শর্ত করিয়া না থাকে বা ইহা নিয়মে পরিণত না হয়; যদি শর্ত করে বা এইরূপ দেওয়ার নিয়ম থাকে তবে উহা মাকরূহ।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহা এইজন্য যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উটের বাচ্চা ধার লইয়া বড় বয়স্ক উট দিয়াছিলেন আর আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) দিরহাম লইয়া উহা হইতে উৎকৃষ্ট দিরহাম দিয়াছিলেন। যদি ইহা খাতকের সন্তুষ্ট মনে হইয়া থাকে আর ইহার জন্য কোন শর্ত বা রীতি না থাকে তবে ইহা হালাল, ইহাতে কোন ক্ষতি নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কাহাকেও স্বর্ণরৌপ্য বা কোন খাদ্যদ্রব্য ধার দেয় তবে ফেরত লইবার সময় যাহাকে ধার দিয়াছিল তাহা হইতে উৎকৃষ্ট বস্তু গ্রহণ করাতে কোন দোষ নাই, যদি এইরূপ কোন শর্ত করিয়া না থাকে বা ইহা নিয়মে পরিণত না হয়; যদি শর্ত করে বা এইরূপ দেওয়ার নিয়ম থাকে তবে উহা মাকরূহ।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহা এইজন্য যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উটের বাচ্চা ধার লইয়া বড় বয়স্ক উট দিয়াছিলেন আর আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) দিরহাম লইয়া উহা হইতে উৎকৃষ্ট দিরহাম দিয়াছিলেন। যদি ইহা খাতকের সন্তুষ্ট মনে হইয়া থাকে আর ইহার জন্য কোন শর্ত বা রীতি না থাকে তবে ইহা হালাল, ইহাতে কোন ক্ষতি নাই।
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ السَّلَفِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ الْمَكِّيِّ عَنْ مُجَاهِدٍ أَنَّهُ قَالَ اسْتَسْلَفَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ مِنْ رَجُلٍ دَرَاهِمَ ثُمَّ قَضَاهُ دَرَاهِمَ خَيْرًا مِنْهَا فَقَالَ الرَّجُلُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ هَذِهِ خَيْرٌ مِنْ دَرَاهِمِي الَّتِي أَسْلَفْتُكَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ قَدْ عَلِمْتُ وَلَكِنْ نَفْسِي بِذَلِكَ طَيِّبَةٌ
قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ بِأَنْ يُقْبِضَ مَنْ أُسْلِفَ شَيْئًا مِنْ الذَّهَبِ أَوْ الْوَرِقِ أَوْ الطَّعَامِ أَوْ الْحَيَوَانِ مِمَّنْ أَسْلَفَهُ ذَلِكَ أَفْضَلَ مِمَّا أَسْلَفَهُ إِذَا لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى شَرْطٍ مِنْهُمَا أَوْ عَادَةٍ فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ عَلَى شَرْطٍ أَوْ وَأْيٍ أَوْ عَادَةٍ فَذَلِكَ مَكْرُوهٌ وَلَا خَيْرَ فِيهِ قَالَ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى جَمَلًا رَبَاعِيًا خِيَارًا مَكَانَ بَكْرٍ اسْتَسْلَفَهُ وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ اسْتَسْلَفَ دَرَاهِمَ فَقَضَى خَيْرًا مِنْهَا فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ عَلَى طِيبِ نَفْسٍ مِنْ الْمُسْتَسْلِفِ وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى شَرْطٍ وَلَا وَأْيٍ وَلَا عَادَةٍ كَانَ ذَلِكَ حَلَالًا لَا بَأْسَ بِهِ
قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ بِأَنْ يُقْبِضَ مَنْ أُسْلِفَ شَيْئًا مِنْ الذَّهَبِ أَوْ الْوَرِقِ أَوْ الطَّعَامِ أَوْ الْحَيَوَانِ مِمَّنْ أَسْلَفَهُ ذَلِكَ أَفْضَلَ مِمَّا أَسْلَفَهُ إِذَا لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى شَرْطٍ مِنْهُمَا أَوْ عَادَةٍ فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ عَلَى شَرْطٍ أَوْ وَأْيٍ أَوْ عَادَةٍ فَذَلِكَ مَكْرُوهٌ وَلَا خَيْرَ فِيهِ قَالَ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى جَمَلًا رَبَاعِيًا خِيَارًا مَكَانَ بَكْرٍ اسْتَسْلَفَهُ وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ اسْتَسْلَفَ دَرَاهِمَ فَقَضَى خَيْرًا مِنْهَا فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ عَلَى طِيبِ نَفْسٍ مِنْ الْمُسْتَسْلِفِ وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى شَرْطٍ وَلَا وَأْيٍ وَلَا عَادَةٍ كَانَ ذَلِكَ حَلَالًا لَا بَأْسَ بِهِ


বর্ণনাকারী: