আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩২২
ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায়
১৬. রৌপ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় প্রসঙ্গ মুদ্রা হউক, চালাইবিহীন রৌপ্য বা স্বর্ণ হউক
রেওয়ায়ত ৩৮. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন স্বর্ণ এবং চাঁদিকে কর্তন করা ধরাপৃষ্ঠে ফাসাদ দৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত।*
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ চাঁদির বিনিময়ে স্বর্ণ এবং স্বর্ণের বিনিময়ে চাঁদি অনুমান করিয়া বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই, যদি ঢালাইবিহীন স্বর্ণ বা তৈরী গহনা হয়। অবশ্য গণনাযোগ্য দিরহাম বা দীনার হইলে সেইসবকে অনুমান করিয়া ক্রয় করা কাহারো পক্ষে বৈধ নহে। যাবত উহার সংখ্যা জানা না যায় এবং উহাকে গণনা করা না হয়। উহাকে অনুমান করিয়া ক্রয় করিলে, উহার লক্ষ্য হইবে প্রতারণা যখন গণনা করা হইল না এবং অনুমান করিয়া ক্রয় করা হইল। ইহা মুসলমানদের ক্রয়-বিক্রয়ের অন্তর্ভুক্ত নহে। আর ঢালাইবিহীন** স্বর্ণ বা চাঁদি এবং (তৈরী) গহনা যেসব ওজনে বিক্রয় হয় সেই সবকে অনুমান করিয়া বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই।
এইসবকে অনুমানে বিক্রয় করা এইরূপ যেমন গম, খুর্মা এবং উহাদের মতো অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য যাহাকে কেহ অনুমান করিয়া বিক্রয় করে যদি উহা ওজন করিয়া বিক্রয় করার মতো দ্রব্য হয়। তাই এইরূপ দ্রব্য অনুমান করিয়া বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্বর্ণখচিত কুরআন অথবা তলোয়ার অথবা অঙ্গুরীয়কে দীনার, দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় করিয়াছে। স্বর্ণখচিত যে বস্তু দীনারের বিনিময়ে ক্রয় করিল সে বস্তুর মূল্যের প্রতি লক্ষ্য করিতে হইবে; যদি উক্ত বস্তুর মূল্য দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩) হয় এবং উহাতে লাগানো স্বর্ণের মূল্য হয় এক-তৃতীয়াংশ (১/৩) তবে উহা বৈধ হইবে। ইহাতে কোন দোষ নাই যদি নগদ আদান-প্রদান হয়। আমাদের শহরের লোকের মধ্যে এই নিয়মই প্রচলিত রহিয়াছে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ চাঁদির বিনিময়ে স্বর্ণ এবং স্বর্ণের বিনিময়ে চাঁদি অনুমান করিয়া বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই, যদি ঢালাইবিহীন স্বর্ণ বা তৈরী গহনা হয়। অবশ্য গণনাযোগ্য দিরহাম বা দীনার হইলে সেইসবকে অনুমান করিয়া ক্রয় করা কাহারো পক্ষে বৈধ নহে। যাবত উহার সংখ্যা জানা না যায় এবং উহাকে গণনা করা না হয়। উহাকে অনুমান করিয়া ক্রয় করিলে, উহার লক্ষ্য হইবে প্রতারণা যখন গণনা করা হইল না এবং অনুমান করিয়া ক্রয় করা হইল। ইহা মুসলমানদের ক্রয়-বিক্রয়ের অন্তর্ভুক্ত নহে। আর ঢালাইবিহীন** স্বর্ণ বা চাঁদি এবং (তৈরী) গহনা যেসব ওজনে বিক্রয় হয় সেই সবকে অনুমান করিয়া বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই।
এইসবকে অনুমানে বিক্রয় করা এইরূপ যেমন গম, খুর্মা এবং উহাদের মতো অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য যাহাকে কেহ অনুমান করিয়া বিক্রয় করে যদি উহা ওজন করিয়া বিক্রয় করার মতো দ্রব্য হয়। তাই এইরূপ দ্রব্য অনুমান করিয়া বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্বর্ণখচিত কুরআন অথবা তলোয়ার অথবা অঙ্গুরীয়কে দীনার, দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় করিয়াছে। স্বর্ণখচিত যে বস্তু দীনারের বিনিময়ে ক্রয় করিল সে বস্তুর মূল্যের প্রতি লক্ষ্য করিতে হইবে; যদি উক্ত বস্তুর মূল্য দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩) হয় এবং উহাতে লাগানো স্বর্ণের মূল্য হয় এক-তৃতীয়াংশ (১/৩) তবে উহা বৈধ হইবে। ইহাতে কোন দোষ নাই যদি নগদ আদান-প্রদান হয়। আমাদের শহরের লোকের মধ্যে এই নিয়মই প্রচলিত রহিয়াছে।
كتاب البيوع
بَاب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ تِبْرًا وَعَيْنًا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ قَطْعُ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ مِنْ الْفَسَادِ فِي الْأَرْضِ
قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ الذَّهَبَ بِالْفِضَّةِ وَالْفِضَّةَ بِالذَّهَبِ جِزَافًا إِذَا كَانَ تِبْرًا أَوْ حَلْيًا قَدْ صِيغَ فَأَمَّا الدَّرَاهِمُ الْمَعْدُودَةُ وَالدَّنَانِيرُ الْمَعْدُودَةُ فَلَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَشْتَرِيَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ جِزَافًا حَتَّى يُعْلَمَ وَيُعَدَّ فَإِنْ اشْتُرِيَ ذَلِكَ جِزَافًا فَإِنَّمَا يُرَادُ بِهِ الْغَرَرُ حِينَ يُتْرَكُ عَدُّهُ وَيُشْتَرَى جِزَافًا وَلَيْسَ هَذَا مِنْ بُيُوعِ الْمُسْلِمِينَ فَأَمَّا مَا كَانَ يُوزَنُ مِنْ التِّبْرِ وَالْحَلْيِ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُبَاعَ ذَلِكَ جِزَافًا وَإِنَّمَا ابْتِيَاعُ ذَلِكَ جِزَافًا كَهَيْئَةِ الْحِنْطَةِ وَالتَّمْرِ وَنَحْوِهِمَا مِنْ الْأَطْعِمَةِ الَّتِي تُبَاعُ جِزَافًا وَمِثْلُهَا يُكَالُ فَلَيْسَ بِابْتِيَاعِ ذَلِكَ جِزَافًا بَأْسٌ قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَى مُصْحَفًا أَوْ سَيْفًا أَوْ خَاتَمًا وَفِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ ذَهَبٌ أَوْ فِضَّةٌ بِدَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ فَإِنَّ مَا اشْتُرِيَ مِنْ ذَلِكَ وَفِيهِ الذَّهَبُ بِدَنَانِيرَ فَإِنَّهُ يُنْظَرُ إِلَى قِيمَتِهِ فَإِنْ كَانَتْ قِيمَةُ ذَلِكَ الثُّلُثَيْنِ وَقِيمَةُ مَا فِيهِ مِنْ الذَّهَبِ الثُّلُثَ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَا بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ يَدًا بِيَدٍ وَلَا يَكُونُ فِيهِ تَأْخِيرٌ وَمَا اشْتُرِيَ مِنْ ذَلِكَ بِالْوَرِقِ مِمَّا فِيهِ الْوَرِقُ نُظِرَ إِلَى قِيمَتِهِ فَإِنْ كَانَ قِيمَةُ ذَلِكَ الثُّلُثَيْنِ وَقِيمَةُ مَا فِيهِ مِنْ الْوَرِقِ الثُّلُثَ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَا بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ يَدًا بِيَدٍ وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِ النَّاسِ عِنْدَنَا
قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ الذَّهَبَ بِالْفِضَّةِ وَالْفِضَّةَ بِالذَّهَبِ جِزَافًا إِذَا كَانَ تِبْرًا أَوْ حَلْيًا قَدْ صِيغَ فَأَمَّا الدَّرَاهِمُ الْمَعْدُودَةُ وَالدَّنَانِيرُ الْمَعْدُودَةُ فَلَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَشْتَرِيَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ جِزَافًا حَتَّى يُعْلَمَ وَيُعَدَّ فَإِنْ اشْتُرِيَ ذَلِكَ جِزَافًا فَإِنَّمَا يُرَادُ بِهِ الْغَرَرُ حِينَ يُتْرَكُ عَدُّهُ وَيُشْتَرَى جِزَافًا وَلَيْسَ هَذَا مِنْ بُيُوعِ الْمُسْلِمِينَ فَأَمَّا مَا كَانَ يُوزَنُ مِنْ التِّبْرِ وَالْحَلْيِ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُبَاعَ ذَلِكَ جِزَافًا وَإِنَّمَا ابْتِيَاعُ ذَلِكَ جِزَافًا كَهَيْئَةِ الْحِنْطَةِ وَالتَّمْرِ وَنَحْوِهِمَا مِنْ الْأَطْعِمَةِ الَّتِي تُبَاعُ جِزَافًا وَمِثْلُهَا يُكَالُ فَلَيْسَ بِابْتِيَاعِ ذَلِكَ جِزَافًا بَأْسٌ قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَى مُصْحَفًا أَوْ سَيْفًا أَوْ خَاتَمًا وَفِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ ذَهَبٌ أَوْ فِضَّةٌ بِدَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ فَإِنَّ مَا اشْتُرِيَ مِنْ ذَلِكَ وَفِيهِ الذَّهَبُ بِدَنَانِيرَ فَإِنَّهُ يُنْظَرُ إِلَى قِيمَتِهِ فَإِنْ كَانَتْ قِيمَةُ ذَلِكَ الثُّلُثَيْنِ وَقِيمَةُ مَا فِيهِ مِنْ الذَّهَبِ الثُّلُثَ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَا بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ يَدًا بِيَدٍ وَلَا يَكُونُ فِيهِ تَأْخِيرٌ وَمَا اشْتُرِيَ مِنْ ذَلِكَ بِالْوَرِقِ مِمَّا فِيهِ الْوَرِقُ نُظِرَ إِلَى قِيمَتِهِ فَإِنْ كَانَ قِيمَةُ ذَلِكَ الثُّلُثَيْنِ وَقِيمَةُ مَا فِيهِ مِنْ الْوَرِقِ الثُّلُثَ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَا بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ يَدًا بِيَدٍ وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِ النَّاسِ عِنْدَنَا