আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬১০
২৩৫৭. আল্লাহর বাণীঃ যারা আল্লাহ ও তার রাসূল (সা:) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্য করে বেড়ায় তাদের শাস্তি এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা বিপরীত দিক হতে তাদের হাত পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে (দুনিয়ায় এটাই তাদের লাঞ্চনা ও আখিরাতে তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে) (৫ঃ ৩৩) [ المحاربة لله الْكُفْرُبِهِ ]-আল্লাহর সাথে যুদ্ধ মানে কুফরী করা।
৪২৫৫। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু কিলাবা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) এর পেছনে উপবিষ্ট ছিলেন। তাঁরা কাসামাত দণ্ড সম্পর্কিত হাদীসটি আলোচনা করলেন এবং এর অবস্থা সম্পর্কে আলাপ করলেন, তারা মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে বললেন এবং এও বললেন যে, খুলাফায়ে রাশেদীন এ পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন। এরপর তিনি আবু কিলাবার প্রতি তাকালেন, আবু কিলাবা তাঁর পেছনে ছিলেন। তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ নামে কিংবা আবু কিলাবা নামে ডেকে বললেন, এই ব্যাপারে তোমার মতামত কি? আমি বললাম বিয়ের পর ব্যভিচার, কিসাসবিহীন খুন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার কোন একটি ব্যতীত অন্য কোন কারণে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া ইসলামে বৈধ বলে আমার জানা নেই।
আনবাসা বললেন, আনাস (রাযিঃ) আমাদেরকে এভাবে হাদীস বর্ণনা করেছেন (অর্থাৎ হাদীসে উরাইনা।) আমি (আবু কিলাবা) বললাম, আমাকেও আনাস (রাযিঃ) এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, একদল লোক নবী (ﷺ) এর নিকটে এসে তাঁর সাথে আলাপ করল, তারা বলল, (প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে) আমরা এদেশের সাথে মিলতে পারছি না। রাসূল (ﷺ) বললেন, এগুলো আমার উট, ঘাস খাওয়ার জন্যে বের হচ্ছে, তোমরা এগুলোর সাথে যাও এবং এদের দুধ ও পস্রাব পান কর। তারা ওগুলোর সাথে বেরিয়ে গেল এবং দুধ ও প্রসাব পান করে সুস্থ হয়ে উঠল, এরপর রাখালের উপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে পশুগুলো লুট করে নিয়ে গেল।
মৃত্যুদণ্ড ভোগ করার অপরাধসমূহ তাদের থেকে কতটুকু দূরে ছিল? তারা নর হত্যা করেছে,আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং রাসূল (ﷺ) কে ভয় দেখিয়েছে। আনবাসা আশ্চর্য হয়ে বলল, সুবহানাল্লাহ! আমি বললাম, আমার এ হাদীস সম্পর্কে তুমি কি আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেবে? আনবাসা বলল, আনাস (রাযিঃ) আমাদেরকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, আবু কিলাবা বললেন, তখন আনবাসা বলল, হে দেশবাসী (অর্থাৎ সিরিয়াবাসী) এ রকম ব্যক্তিবর্গ যতদিন তোমাদের মধ্যে থাকবে ততদিন তোমরা কল্যাণের মধ্যে থাকবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন