আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
২৮. বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
হাদীস নং: ১১২৫
১১. বিভিন্ন অবৈধ বিবাহ
রেওয়ায়ত ২৭. সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তুলায়হা আসদিয়া রুশাইদ ছকফী (রাযিঃ)-এর স্ত্রী ছিলেন। তিনি তাহাকে তালাক দিলেন। তারপর তুলায়হা ইদ্দতের ভিতরে বিবাহ করিলেন। এই কারণে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) তাহাকে এবং তাহার স্বামীকে কয়েকটি চাবুক মারিলেন এবং উভয়কে পৃথক করিয়া দিলেন। তারপর উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিলেন, যে স্ত্রীলোক ইদ্দতের ভিতর বিবাহ করিয়াছে, বিবাহকারী তাহার সেই স্বামী যদি তাহার সহিত সহবাস না করিয়া থাকে তবে উভয়কে পৃথক করিয়া দেওয়া হইবে। তারপর স্ত্রীলোকটি প্রথম স্বামীর পক্ষের অসম্পূর্ণ ইদ্দত পূর্ণ করবে। অতঃপর দ্বিতীয় স্বামী স্বাভাবিক নিয়মে বিবাহের প্রস্তাবকারীগণের মধ্যে একজন প্রস্তাবকারী হিসাবে গণ্য হইবে। আর যদি দ্বিতীয় ব্যক্তি তাহার সহিত সহবাস করিয়া থাকে তবে উভয়কে পৃথক করা হইবে। তারপর প্রথম স্বামীর (পক্ষের) অবশিষ্ট ইদ্দত পূর্ণ করিবে। আর তাহারা (দ্বিতীয় স্বামী ও স্ত্রী) উভয়ে আর কখনো মিলিত হইতে পারিবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ সেই স্ত্রীলোক মোহর-এর হকদার হইবে। কারণ তাহার সঙ্গে (বিবাহের মাধ্যমে) সহবাস করা হইয়াছে। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের সিদ্ধান্ত হইল, স্বামীর মৃত্যু হইয়াছে, এমন স্বাধীন নারী চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে। আর তাহার হয়েযের ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় গর্ভধারণের আশঙ্কা দেখা দিলে সে নারী সন্দেহমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ করিবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ সেই স্ত্রীলোক মোহর-এর হকদার হইবে। কারণ তাহার সঙ্গে (বিবাহের মাধ্যমে) সহবাস করা হইয়াছে। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের সিদ্ধান্ত হইল, স্বামীর মৃত্যু হইয়াছে, এমন স্বাধীন নারী চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে। আর তাহার হয়েযের ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় গর্ভধারণের আশঙ্কা দেখা দিলে সে নারী সন্দেহমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ করিবে না।
بَاب جَامِعِ مَا لَا يَجُوزُ مِنْ النِّكَاحِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ طُلَيْحَةَ الْأَسَدِيَّةَ كَانَتْ تَحْتَ رُشَيْدٍ الثَّقَفِيِّ فَطَلَّقَهَا فَنَكَحَتْ فِي عِدَّتِهَا فَضَرَبَهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَضَرَبَ زَوْجَهَا بِالْمِخْفَقَةِ ضَرَبَاتٍ وَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا ثُمَّ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَيُّمَا امْرَأَةٍ نَكَحَتْ فِي عِدَّتِهَا فَإِنْ كَانَ زَوْجُهَا الَّذِي تَزَوَّجَهَا لَمْ يَدْخُلْ بِهَا فُرِّقَ بَيْنَهُمَا ثُمَّ اعْتَدَّتْ بَقِيَّةَ عِدَّتِهَا مِنْ زَوْجِهَا الْأَوَّلِ ثُمَّ كَانَ الْآخَرُ خَاطِبًا مِنْ الْخُطَّابِ وَإِنْ كَانَ دَخَلَ بِهَا فُرِّقَ بَيْنَهُمَا ثُمَّ اعْتَدَّتْ بَقِيَّةَ عِدَّتِهَا مِنْ الْأَوَّلِ ثُمَّ اعْتَدَّتْ مِنْ الْآخَرِ ثُمَّ لَا يَجْتَمِعَانِ أَبَدًا قَالَ مَالِك وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَلَهَا مَهْرُهَا بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْهَا
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الْمَرْأَةِ الْحُرَّةِ يُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا فَتَعْتَدُّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا إِنَّهَا لَا تَنْكِحُ إِنْ ارْتَابَتْ مِنْ حَيْضَتِهَا حَتَّى تَسْتَبْرِئَ نَفْسَهَا مِنْ تِلْكَ الرِّيبَةِ إِذَا خَافَتْ الْحَمْلَ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الْمَرْأَةِ الْحُرَّةِ يُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا فَتَعْتَدُّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا إِنَّهَا لَا تَنْكِحُ إِنْ ارْتَابَتْ مِنْ حَيْضَتِهَا حَتَّى تَسْتَبْرِئَ نَفْسَهَا مِنْ تِلْكَ الرِّيبَةِ إِذَا خَافَتْ الْحَمْلَ


বর্ণনাকারী: