আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৯৩৯
৮০. ফিদয়া সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ২৪৪. মালিক (রাহঃ) বলেন, ফিদয়া দেওয়া সহজ মনে করিয়া যদি কেউ ইহরাম অবস্থায় পড়া নাজায়েয এমন ধরনের কাপড় পরে বা চুল কাটিয়া ফেলে বা বিনা প্রয়োজনে সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করে, তবে ইহা তাহার জন্য অনুচিত হইবে। একান্ত প্রয়োজনের খাতিরেই একজন ঐ সমস্ত কাজ করিতে পারে। তাহা করিলে তাহাকে অবশ্যই ফিদয়া দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইলঃ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি ফিদয়া দিবে তাহার পক্ষে রোযা বা সাদ্কা বা নুসুক এই তিনটির যেকোন একটি দ্বারা ফিদয়া দেওয়ার ইখতিয়ার আছে কিনা? নুসুক অর্থ কি? সাদ্কা বা মিসকীনদের কতটুকু খাদ্য প্রদান করিতে হইবে এবং কোন ধরনের ’মুদের (এক প্রকার মাপ) মাপে উহা আদায় করিতে হইবে? রোযা কয়টি রাখিতে হইবে? সঙ্গে সঙ্গে রাখিতে হইবে, না বিলম্ব করিলেও চলিবে? মালিক (রাহঃ) উত্তরে বলিলেনঃ আল্লাহ তাআলা যত জায়গায় কাফফারা সম্পর্কে ইহা বা উহা এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন সকল স্থানেই উল্লিখিত বিষয়সমূহের যেকোন একটি আদায় করার ইখতিয়ার থাকে। নুসুক অর্থ এইখানে একটি বকরী কুরবানী করা। রোযা তিনটি রাখিতে হইবে। ছয়জন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করিতে হইবে। প্রত্যেক মিসকীনকেই নবী করীম (ﷺ) এর মুদে দুই মুদ পরিমাণ খাদ্য প্রদান করিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন- কতিপয় আলিমের নিকট শুনিয়াছিঃ তাহারা বলেন, কোন বস্তুকে লক্ষ করিয়া মুহরিম ব্যক্তি যদি কিছু নিক্ষেপ করে আর উহা লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া কোন পশু বা পাখির গায়ে আঘাত করার ফলে যদি উহা মারা যায়, তবে উক্ত প্রাণী হত্যা করার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও ঐ ব্যক্তিকে ফিদয়া দিতে হইবে। এমনিভাবে মুহরিম নহে এরূপ কোন ব্যক্তি হারমের ভিতর কোন বস্তুর প্রতি লক্ষ করিয়া কিছু ছুড়িলে আর উহা কোন প্রাণীর গায়ে লাগিয়া যদি উহা মারা যায়, তবে উহার উপরও ফিদয়া ধার্য হইবে। এই বিষয়টিতে ইচ্ছাকৃতভাবে মারা বা লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া মারা যাওয়া উভয় অবস্থার হুকুমই এক।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কয়েকজন ব্যক্তি মিলিয়া যদি একটি শিকার হত্যা করে আর সকলেই যদি মুহরিম হয় অথবা হারম শরীফে থাকে তবে প্রত্যেককেই সম্পূর্ণভাবে এক একটি ফিদয়া আদায় করিতে হইবে। কুরবানী দিতে হইলে প্রত্যেককেই একটি করিয়া দিতে হইবে। আর রোযা রাখিতে হইলে প্রত্যেককেই রোযা রাখিতে হইবে। যেমন কয়েক ব্যক্তি যদি ভুলক্রমে একজনকে হত্যা করিয়া ফেলে, তবে হত্যার কাফফারা (অর্থাৎ একটি গোলাম আযাদ করা) প্রত্যেকের উপর আলাদাভাবে ওয়াজিব হয় বা প্রত্যেককেই একাধারে দুই মাস রোযা রাখিতে হয়। এইখানেও তদ্রূপ হুকুম হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কেউ যদি তাওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে এবং কংকর নিক্ষেপ ও মাথার চুল কাটার পর কোন কিছু শিকার করে তবে তাহাকেও ফিদয়া দিতে হইবে। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করিয়াছেনঃ (وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوا) তোমরা ইহরাম হইতে যখন হালাল হও তখন শিকার করিতে পার। আর তাওয়াফে যিয়ারত না করা পর্যন্ত মুহরিম থাকে, পুরোপুরি হালাল হয় না। তাওয়াফে ইফাযার পূর্বে স্ত্রীসহবাস ও সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করা বৈধ নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হারম শরীফের গাছপালা উপড়ান মুহরিমের জন্য ভাল নহে। তবে ইহার জন্য কোন ফিদয়া দিতে হইবে না। কেউ এই কাজের জন্য ফিদয়া দিতে বলিয়াছেন এমন কথা আমরা শুনি নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হজ্জের সময় যদি তিনদিন রোযা রাখিতে কেউ (যাহার উপর উহা রাখা ওয়াজিব) ভুলিয়া যায় বা অসুস্থতার দরুন রাখিতে না পারে আর সে নিজ বাড়ি চলিয়া আসে, তবে সম্ভব হইলে সে কুরবানী করবে। আর তাহা না পারিলে বাড়িতে প্রথমে তিনদিন রোযা রাখিয়া পরে সাতদিন রোযা রাখিবে।
মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইলঃ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি ফিদয়া দিবে তাহার পক্ষে রোযা বা সাদ্কা বা নুসুক এই তিনটির যেকোন একটি দ্বারা ফিদয়া দেওয়ার ইখতিয়ার আছে কিনা? নুসুক অর্থ কি? সাদ্কা বা মিসকীনদের কতটুকু খাদ্য প্রদান করিতে হইবে এবং কোন ধরনের ’মুদের (এক প্রকার মাপ) মাপে উহা আদায় করিতে হইবে? রোযা কয়টি রাখিতে হইবে? সঙ্গে সঙ্গে রাখিতে হইবে, না বিলম্ব করিলেও চলিবে? মালিক (রাহঃ) উত্তরে বলিলেনঃ আল্লাহ তাআলা যত জায়গায় কাফফারা সম্পর্কে ইহা বা উহা এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন সকল স্থানেই উল্লিখিত বিষয়সমূহের যেকোন একটি আদায় করার ইখতিয়ার থাকে। নুসুক অর্থ এইখানে একটি বকরী কুরবানী করা। রোযা তিনটি রাখিতে হইবে। ছয়জন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করিতে হইবে। প্রত্যেক মিসকীনকেই নবী করীম (ﷺ) এর মুদে দুই মুদ পরিমাণ খাদ্য প্রদান করিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন- কতিপয় আলিমের নিকট শুনিয়াছিঃ তাহারা বলেন, কোন বস্তুকে লক্ষ করিয়া মুহরিম ব্যক্তি যদি কিছু নিক্ষেপ করে আর উহা লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া কোন পশু বা পাখির গায়ে আঘাত করার ফলে যদি উহা মারা যায়, তবে উক্ত প্রাণী হত্যা করার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও ঐ ব্যক্তিকে ফিদয়া দিতে হইবে। এমনিভাবে মুহরিম নহে এরূপ কোন ব্যক্তি হারমের ভিতর কোন বস্তুর প্রতি লক্ষ করিয়া কিছু ছুড়িলে আর উহা কোন প্রাণীর গায়ে লাগিয়া যদি উহা মারা যায়, তবে উহার উপরও ফিদয়া ধার্য হইবে। এই বিষয়টিতে ইচ্ছাকৃতভাবে মারা বা লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া মারা যাওয়া উভয় অবস্থার হুকুমই এক।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কয়েকজন ব্যক্তি মিলিয়া যদি একটি শিকার হত্যা করে আর সকলেই যদি মুহরিম হয় অথবা হারম শরীফে থাকে তবে প্রত্যেককেই সম্পূর্ণভাবে এক একটি ফিদয়া আদায় করিতে হইবে। কুরবানী দিতে হইলে প্রত্যেককেই একটি করিয়া দিতে হইবে। আর রোযা রাখিতে হইলে প্রত্যেককেই রোযা রাখিতে হইবে। যেমন কয়েক ব্যক্তি যদি ভুলক্রমে একজনকে হত্যা করিয়া ফেলে, তবে হত্যার কাফফারা (অর্থাৎ একটি গোলাম আযাদ করা) প্রত্যেকের উপর আলাদাভাবে ওয়াজিব হয় বা প্রত্যেককেই একাধারে দুই মাস রোযা রাখিতে হয়। এইখানেও তদ্রূপ হুকুম হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কেউ যদি তাওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে এবং কংকর নিক্ষেপ ও মাথার চুল কাটার পর কোন কিছু শিকার করে তবে তাহাকেও ফিদয়া দিতে হইবে। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করিয়াছেনঃ (وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوا) তোমরা ইহরাম হইতে যখন হালাল হও তখন শিকার করিতে পার। আর তাওয়াফে যিয়ারত না করা পর্যন্ত মুহরিম থাকে, পুরোপুরি হালাল হয় না। তাওয়াফে ইফাযার পূর্বে স্ত্রীসহবাস ও সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করা বৈধ নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হারম শরীফের গাছপালা উপড়ান মুহরিমের জন্য ভাল নহে। তবে ইহার জন্য কোন ফিদয়া দিতে হইবে না। কেউ এই কাজের জন্য ফিদয়া দিতে বলিয়াছেন এমন কথা আমরা শুনি নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হজ্জের সময় যদি তিনদিন রোযা রাখিতে কেউ (যাহার উপর উহা রাখা ওয়াজিব) ভুলিয়া যায় বা অসুস্থতার দরুন রাখিতে না পারে আর সে নিজ বাড়ি চলিয়া আসে, তবে সম্ভব হইলে সে কুরবানী করবে। আর তাহা না পারিলে বাড়িতে প্রথমে তিনদিন রোযা রাখিয়া পরে সাতদিন রোযা রাখিবে।
بَاب جَامِعِ الْفِدْيَةِ
قَالَ مَالِك فِيمَنْ أَرَادَ أَنْ يَلْبَسَ شَيْئًا مِنْ الثِّيَابِ الَّتِي لَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَلْبَسَهَا وَهُوَ مُحْرِمٌ أَوْ يُقَصِّرَ شَعَرَهُ أَوْ يَمَسَّ طِيبًا مِنْ غَيْرِ ضَرُورَةٍ لِيَسَارَةِ مُؤْنَةِ الْفِدْيَةِ عَلَيْهِ قَالَ لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ وَإِنَّمَا أُرْخِصَ فِيهِ لِلضَّرُورَةِ وَعَلَى مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ الْفِدْيَةُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الْفِدْيَةِ مِنْ الصِّيَامِ أَوْ الصَّدَقَةِ أَوْ النُّسُكِ أَصَاحِبُهُ بِالْخِيَارِ فِي ذَلِكَ وَمَا النُّسُكُ وَكَمْ الطَّعَامُ وَبِأَيِّ مُدٍّ هُوَ وَكَمْ الصِّيَامُ وَهَلْ يُؤَخِّرُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ أَمْ يَفْعَلُهُ فِي فَوْرِهِ ذَلِكَ قَالَ مَالِك كُلُّ شَيْءٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ فِي الْكَفَّارَاتِ كَذَا أَوْ كَذَا فَصَاحِبُهُ مُخَيَّرٌ فِي ذَلِكَ أَيَّ شَيْءٍ أَحَبَّ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ فَعَلَ قَالَ وَأَمَّا النُّسُكُ فَشَاةٌ وَأَمَّا الصِّيَامُ فَثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَأَمَّا الطَّعَامُ فَيُطْعِمُ سِتَّةَ مَسَاكِينَ لِكُلِّ مِسْكِينٍ مُدَّانِ بِالْمُدِّ الْأَوَّلِ مُدِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَالِك وَسَمِعْتُ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُ إِذَا رَمَى الْمُحْرِمُ شَيْئًا فَأَصَابَ شَيْئًا مِنْ الصَّيْدِ لَمْ يُرِدْهُ فَقَتَلَهُ إِنَّ عَلَيْهِ أَنْ يَفْدِيَهُ وَكَذَلِكَ الْحَلَالُ يَرْمِي فِي الْحَرَمِ شَيْئًا فَيُصِيبُ صَيْدًا لَمْ يُرِدْهُ فَيَقْتُلُهُ إِنَّ عَلَيْهِ أَنْ يَفْدِيَهُ لِأَنَّ الْعَمْدَ وَالْخَطَأَ فِي ذَلِكَ بِمَنْزِلَةٍ سَوَاءٌ قَالَ مَالِك فِي الْقَوْمِ يُصِيبُونَ الصَّيْدَ جَمِيعًا وَهُمْ مُحْرِمُونَ أَوْ فِي الْحَرَمِ قَالَ أَرَى أَنَّ عَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ جَزَاءَهُ إِنْ حُكِمَ عَلَيْهِمْ بِالْهَدْيِ فَعَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ هَدْيٌ وَإِنْ حُكِمَ عَلَيْهِمْ بِالصِّيَامِ كَانَ عَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ الصِّيَامُ وَمِثْلُ ذَلِكَ الْقَوْمُ يَقْتُلُونَ الرَّجُلَ خَطَأً فَتَكُونُ كَفَّارَةُ ذَلِكَ عِتْقَ رَقَبَةٍ عَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ أَوْ صِيَامَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ عَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ قَالَ مَالِك مَنْ رَمَى صَيْدًا أَوْ صَادَهُ بَعْدَ رَمْيِهِ الْجَمْرَةَ وَحِلَاقِ رَأْسِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يُفِضْ إِنَّ عَلَيْهِ جَزَاءَ ذَلِكَ الصَّيْدِ لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوا وَمَنْ لَمْ يُفِضْ فَقَدْ بَقِيَ عَلَيْهِ مَسُّ الطِّيبِ وَالنِّسَاءِ قَالَ مَالِك لَيْسَ عَلَى الْمُحْرِمِ فِيمَا قَطَعَ مِنْ الشَّجَرِ فِي الْحَرَمِ شَيْءٌ وَلَمْ يَبْلُغْنَا أَنَّ أَحَدًا حَكَمَ عَلَيْهِ فِيهِ بِشَيْءٍ وَبِئْسَ مَا صَنَعَ قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَجْهَلُ أَوْ يَنْسَى صِيَامَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ أَوْ يَمْرَضُ فِيهَا فَلَا يَصُومُهَا حَتَّى يَقْدَمَ بَلَدَهُ قَالَ لِيُهْدِ إِنْ وَجَدَ هَدْيًا وَإِلَّا فَلْيَصُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي أَهْلِهِ وَسَبْعَةً بَعْدَ ذَلِكَ


বর্ণনাকারী: