আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৯৩৭
৭৮. কুরবানী করার পূর্বে মাথার চুল কামাইয়া ফেলিলে উহার ফিদয়া
রেওয়ায়ত ২৪২. কাব ইবনে উজরা (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট আসিলেন। আমি চুলায় আগুন ধরাইয়া সঙ্গীদের জন্য রান্না-বান্নায় ব্যস্ত ছিলাম। আমার মাথা ও দাড়ি উকুনে ভরা ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার পেরেশানী অনুভব করিয়া আমার ললাটে হাত রাখিলেন এবং বলিলেনঃ চুল কাটিয়া ফেল এবং তিনদিন রোযা রাখ বা ছয় জন মিসকীনকে খাদ্য দিয়া দাও। আর আমার নিকট কুরবানী করার মত কিছু ছিল না, এই কথা তিনি জানিতেন।
মালিক (রাহঃ) বলেন, অপরাধ না হওয়া পর্যন্ত কেউ কিছু ফিদয়া দিবে না। কারণ অপরাধ করার পরই শুধু কাফফারা ওয়াজিব হইয়া থাকে। কাফফারার বেলায় কুরবানী বা রোযা বা মিসকীনকে খাদ্য প্রদান, এই তিনটির যেকোন একটি এবং মক্কা বা মক্কার বাহিরে যেকোন শহরে উহা আদায় করার ইখতিয়ার রহিয়াছে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহরাম না খোলা পর্যন্ত মুহরিমের জন্য চুল উপড়ান বা কামানো বা ছাটা কিছুই জায়েয নহে। চুলে উকুন ইত্যাদি হইয়া গেলে উহা জায়েয। কিন্তু উহার পরিবর্তে আল্লাহর নির্দেশমত ফিদয়া দিতে হইবে। মুহরিমের জন্য নখ কাটা, উকুন মারা বা মাথার চুল হইতে উকুন বাহির করিয়া মাটিতে ফেলিয়া দেওয়া বা শরীর ও কাপড়ের উকুন বাহির করা জায়েয নহে। এইরূপ করিলে এক মুষ্টি খাদ্য খয়রাত করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি ইহরাম অবস্থায় কোন ব্যক্তি নাকের চুল বা বগলতলা বা নাভীর নীচের লোম চিমটি দ্বারা উপড়ায় অথবা মাথায় যখম হওয়ার দরুন প্রয়োজনের খাতিরে চুল কামায় বা সিঙ্গা লাগাইবার উদ্দেশ্যে গর্দানের চুল কাটে, এইসব জানিয়া করুক বা ভুলবশত করুক, সকল অবস্থায়ই তাহার জন্য ফিদয়া দেওয়া ওয়াজিব। সিঙ্গা লাগানো স্থানের চুল কামানো মুহরিমের জন্য জায়েয নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অজ্ঞতার দরুন যদি কেউ কংকর নিক্ষেপের পূর্বেই মাথার চুল কামাইয়া ফেলে তবে তাহাকে ফিদয়া দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, অপরাধ না হওয়া পর্যন্ত কেউ কিছু ফিদয়া দিবে না। কারণ অপরাধ করার পরই শুধু কাফফারা ওয়াজিব হইয়া থাকে। কাফফারার বেলায় কুরবানী বা রোযা বা মিসকীনকে খাদ্য প্রদান, এই তিনটির যেকোন একটি এবং মক্কা বা মক্কার বাহিরে যেকোন শহরে উহা আদায় করার ইখতিয়ার রহিয়াছে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহরাম না খোলা পর্যন্ত মুহরিমের জন্য চুল উপড়ান বা কামানো বা ছাটা কিছুই জায়েয নহে। চুলে উকুন ইত্যাদি হইয়া গেলে উহা জায়েয। কিন্তু উহার পরিবর্তে আল্লাহর নির্দেশমত ফিদয়া দিতে হইবে। মুহরিমের জন্য নখ কাটা, উকুন মারা বা মাথার চুল হইতে উকুন বাহির করিয়া মাটিতে ফেলিয়া দেওয়া বা শরীর ও কাপড়ের উকুন বাহির করা জায়েয নহে। এইরূপ করিলে এক মুষ্টি খাদ্য খয়রাত করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি ইহরাম অবস্থায় কোন ব্যক্তি নাকের চুল বা বগলতলা বা নাভীর নীচের লোম চিমটি দ্বারা উপড়ায় অথবা মাথায় যখম হওয়ার দরুন প্রয়োজনের খাতিরে চুল কামায় বা সিঙ্গা লাগাইবার উদ্দেশ্যে গর্দানের চুল কাটে, এইসব জানিয়া করুক বা ভুলবশত করুক, সকল অবস্থায়ই তাহার জন্য ফিদয়া দেওয়া ওয়াজিব। সিঙ্গা লাগানো স্থানের চুল কামানো মুহরিমের জন্য জায়েয নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অজ্ঞতার দরুন যদি কেউ কংকর নিক্ষেপের পূর্বেই মাথার চুল কামাইয়া ফেলে তবে তাহাকে ফিদয়া দিতে হইবে।
بَاب فِدْيَةِ مَنْ حَلَقَ قَبْلَ أَنْ يَنْحَرَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَطَاءِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْخُرَاسَانِيِّ أَنَّهُ قَالَ حَدَّثَنِي شَيْخٌ بِسُوقِ الْبُرَمِ بِالْكُوفَةِ عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ أَنَّهُ قَالَ جَاءَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَنْفُخُ تَحْتَ قِدْرٍ لِأَصْحَابِي وَقَدْ امْتَلَأَ رَأْسِي وَلِحْيَتِي قَمْلًا فَأَخَذَ بِجَبْهَتِي ثُمَّ قَالَ احْلِقْ هَذَا الشَّعَرَ وَصُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ أَوْ أَطْعِمْ سِتَّةَ مَسَاكِينَ وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِمَ أَنَّهُ لَيْسَ عِنْدِي مَا أَنْسُكُ بِهِ
قَالَ مَالِك فِي فِدْيَةِ الْأَذَى إِنَّ الْأَمْرَ فِيهِ أَنَّ أَحَدًا لَا يَفْتَدِي حَتَّى يَفْعَلَ مَا يُوجِبُ عَلَيْهِ الْفِدْيَةَ وَإِنَّ الْكَفَّارَةَ إِنَّمَا تَكُونُ بَعْدَ وُجُوبِهَا عَلَى صَاحِبِهَا وَأَنَّهُ يَضَعُ فِدْيَتَهُ حَيْثُ مَا شَاءَ النُّسُكَ أَوْ الصِّيَامَ أَوْ الصَّدَقَةَ بِمَكَّةَ أَوْ بِغَيْرِهَا مِنْ الْبِلَادِ قَالَ مَالِك لَا يَصْلُحُ لِلْمُحْرِمِ أَنْ يَنْتِفَ مِنْ شَعَرِهِ شَيْئًا وَلَا يَحْلِقَهُ وَلَا يُقَصِّرَهُ حَتَّى يَحِلَّ إِلَّا أَنْ يُصِيبَهُ أَذًى فِي رَأْسِهِ فَعَلَيْهِ فِدْيَةٌ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَلَا يَصْلُحُ لَهُ أَنْ يُقَلِّمَ أَظْفَارَهُ وَلَا يَقْتُلَ قَمْلَةً وَلَا يَطْرَحَهَا مِنْ رَأْسِهِ إِلَى الْأَرْضِ وَلَا مِنْ جِلْدِهِ وَلَا مِنْ ثَوْبِهِ فَإِنْ طَرَحَهَا الْمُحْرِمُ مِنْ جِلْدِهِ أَوْ مِنْ ثَوْبِهِ فَلْيُطْعِمْ حَفْنَةً مِنْ طَعَامٍ قَالَ مَالِك مَنْ نَتَفَ شَعَرًا مِنْ أَنْفِهِ أَوْ مِنْ إِبْطِهِ أَوْ اطَّلَى جَسَدَهُ بِنُورَةٍ أَوْ يَحْلِقُ عَنْ شَجَّةٍ فِي رَأْسِهِ لِضَرُورَةٍ أَوْ يَحْلِقُ قَفَاهُ لِمَوْضِعِ الْمَحَاجِمِ وَهُوَ مُحْرِمٌ نَاسِيًا أَوْ جَاهِلًا إِنَّ مَنْ فَعَلَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَعَلَيْهِ الْفِدْيَةُ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ وَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَحْلِقَ مَوْضِعَ الْمَحَاجِمِ وَمَنْ جَهِلَ فَحَلَقَ رَأْسَهُ قَبْلَ أَنْ يَرْمِيَ الْجَمْرَةَ افْتَدَى
قَالَ مَالِك فِي فِدْيَةِ الْأَذَى إِنَّ الْأَمْرَ فِيهِ أَنَّ أَحَدًا لَا يَفْتَدِي حَتَّى يَفْعَلَ مَا يُوجِبُ عَلَيْهِ الْفِدْيَةَ وَإِنَّ الْكَفَّارَةَ إِنَّمَا تَكُونُ بَعْدَ وُجُوبِهَا عَلَى صَاحِبِهَا وَأَنَّهُ يَضَعُ فِدْيَتَهُ حَيْثُ مَا شَاءَ النُّسُكَ أَوْ الصِّيَامَ أَوْ الصَّدَقَةَ بِمَكَّةَ أَوْ بِغَيْرِهَا مِنْ الْبِلَادِ قَالَ مَالِك لَا يَصْلُحُ لِلْمُحْرِمِ أَنْ يَنْتِفَ مِنْ شَعَرِهِ شَيْئًا وَلَا يَحْلِقَهُ وَلَا يُقَصِّرَهُ حَتَّى يَحِلَّ إِلَّا أَنْ يُصِيبَهُ أَذًى فِي رَأْسِهِ فَعَلَيْهِ فِدْيَةٌ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَلَا يَصْلُحُ لَهُ أَنْ يُقَلِّمَ أَظْفَارَهُ وَلَا يَقْتُلَ قَمْلَةً وَلَا يَطْرَحَهَا مِنْ رَأْسِهِ إِلَى الْأَرْضِ وَلَا مِنْ جِلْدِهِ وَلَا مِنْ ثَوْبِهِ فَإِنْ طَرَحَهَا الْمُحْرِمُ مِنْ جِلْدِهِ أَوْ مِنْ ثَوْبِهِ فَلْيُطْعِمْ حَفْنَةً مِنْ طَعَامٍ قَالَ مَالِك مَنْ نَتَفَ شَعَرًا مِنْ أَنْفِهِ أَوْ مِنْ إِبْطِهِ أَوْ اطَّلَى جَسَدَهُ بِنُورَةٍ أَوْ يَحْلِقُ عَنْ شَجَّةٍ فِي رَأْسِهِ لِضَرُورَةٍ أَوْ يَحْلِقُ قَفَاهُ لِمَوْضِعِ الْمَحَاجِمِ وَهُوَ مُحْرِمٌ نَاسِيًا أَوْ جَاهِلًا إِنَّ مَنْ فَعَلَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَعَلَيْهِ الْفِدْيَةُ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ وَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَحْلِقَ مَوْضِعَ الْمَحَاجِمِ وَمَنْ جَهِلَ فَحَلَقَ رَأْسَهُ قَبْلَ أَنْ يَرْمِيَ الْجَمْرَةَ افْتَدَى


বর্ণনাকারী: