আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৫৭
৫১. সামর্থ্যানুসারে কুরবানী করা
রেওয়ায়ত ১৬২. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ (مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْى) এর অর্থ হইল, অন্তত একটি বকরী কুরবানী করা।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই বর্ণনাটি আমার নিকট খুবই প্রিয়। কেননা কুরআনুল করীমে আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেনঃ হে মু’মিনগণ, তোমরা যখন ইহরাম অবস্থায় থাক তখন তোমরা কোন প্রাণী বধ করিও না। কেউ যদি কোনকিছু ইচ্ছাকৃতভাবে বধ করে তবে যে ধরনের পশু সে বধ করিয়াছে সেই ধরনের কোন পশু তাহাকে প্রতিদান (জরিমানা) দিতে হইবে। তোমাদের দুইজন ন্যায়নিষ্ঠ লোক ইহার ফয়সালা করিয়া দিবে। এই প্রতিদান বায়তুল্লাহতে প্রেরিত হাদয়ী হইবে অথবা কাফফারা হিসাবে হইবে যাহা মিসকীনদেরকে আহার করানো হইবে অথবা তাহাকে তৎপরিমাণ রোযা রাখিতে হইবে যাহাতে সে তাহার কৃতকর্মের শাস্তি ভোগ করিয়া নেয়। যাহা হউক, শিকারকৃত পশুর পরিবর্তে কোন সময়ে বকরীও ওয়াজিব হইতে পারে। উক্ত আয়াতে উহাকেও হাদয়ী বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে। এই কথায় একজন কি করিয়া সন্দেহ করিতে পারে? কারণ যে পশু উট বা গরুর সমতুল্য নহে উহার প্রতিদানে (জরিমানা) একটি বকরীই ওয়াজিব হইতে পারে। একটি বকরীর সমতুল্যও যেখানে হইবে না সেখানে কাফফারা ওয়াজিব হইবে। সে রোযার মাধ্যমে উহা আদায় করুক বা মিসকীনদেরকে আহার করাইয়া তাহা আদায় করুক, উভয় অবস্থায় ইহা কাফফারা হিসাবেই গণ্য হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই বর্ণনাটি আমার নিকট খুবই প্রিয়। কেননা কুরআনুল করীমে আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেনঃ হে মু’মিনগণ, তোমরা যখন ইহরাম অবস্থায় থাক তখন তোমরা কোন প্রাণী বধ করিও না। কেউ যদি কোনকিছু ইচ্ছাকৃতভাবে বধ করে তবে যে ধরনের পশু সে বধ করিয়াছে সেই ধরনের কোন পশু তাহাকে প্রতিদান (জরিমানা) দিতে হইবে। তোমাদের দুইজন ন্যায়নিষ্ঠ লোক ইহার ফয়সালা করিয়া দিবে। এই প্রতিদান বায়তুল্লাহতে প্রেরিত হাদয়ী হইবে অথবা কাফফারা হিসাবে হইবে যাহা মিসকীনদেরকে আহার করানো হইবে অথবা তাহাকে তৎপরিমাণ রোযা রাখিতে হইবে যাহাতে সে তাহার কৃতকর্মের শাস্তি ভোগ করিয়া নেয়। যাহা হউক, শিকারকৃত পশুর পরিবর্তে কোন সময়ে বকরীও ওয়াজিব হইতে পারে। উক্ত আয়াতে উহাকেও হাদয়ী বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে। এই কথায় একজন কি করিয়া সন্দেহ করিতে পারে? কারণ যে পশু উট বা গরুর সমতুল্য নহে উহার প্রতিদানে (জরিমানা) একটি বকরীই ওয়াজিব হইতে পারে। একটি বকরীর সমতুল্যও যেখানে হইবে না সেখানে কাফফারা ওয়াজিব হইবে। সে রোযার মাধ্যমে উহা আদায় করুক বা মিসকীনদেরকে আহার করাইয়া তাহা আদায় করুক, উভয় অবস্থায় ইহা কাফফারা হিসাবেই গণ্য হইবে।
بَاب مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ كَانَ يَقُولُ مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ شَاةٌ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ فِي كِتَابِهِ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْتُلُوا الصَّيْدَ وَأَنْتُمْ حُرُمٌ وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا فَجَزَاءٌ مِثْلُ مَا قَتَلَ مِنْ النَّعَمِ يَحْكُمُ بِهِ ذَوَا عَدْلٍ مِنْكُمْ هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ أَوْ كَفَّارَةٌ طَعَامُ مَسَاكِينَ أَوْ عَدْلُ ذَلِكَ صِيَامًا فَمِمَّا يُحْكَمُ بِهِ فِي الْهَدْيِ شَاةٌ وَقَدْ سَمَّاهَا اللَّهُ هَدْيًا وَذَلِكَ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا وَكَيْفَ يَشُكُّ أَحَدٌ فِي ذَلِكَ وَكُلُّ شَيْءٍ لَا يَبْلُغُ أَنْ يُحْكَمَ فِيهِ بِبَعِيرٍ أَوْ بَقَرَةٍ فَالْحُكْمُ فِيهِ شَاةٌ وَمَا لَا يَبْلُغُ أَنْ يُحْكَمَ فِيهِ بِشَاةٍ فَهُوَ كَفَّارَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ إِطْعَامِ مَسَاكِينَ


বর্ণনাকারী: