আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৮২৮
৪২. সা’য়ী সম্পর্কে বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ১৩৩. হিশাম ইবনে উরওয়াহ (রাহঃ) বর্ণনা করেন- আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর কন্যা সাওদা (রাহঃ) ছিলেন উরওয়াহ ইবনে যুবায়র (রাহঃ)-এর স্ত্রী। একবার হজ্জ বা উমরার সময় তিনি সাফা-মারওয়ার সায়ীর জন্য বাহির হন। তিনি মোটা ধরনের মহিলা ছিলেন। ইশার নামায পড়িয়া মানুষ যখন বাহির হইয়াছিল তখন তিনি হ্যাঁটিয়া হ্যাঁটিয়া হজ্জ অথবা উমরার তাওয়াফ ও সায়ী শুরু করিয়াছিলেন। কিন্তু তখনও সায়ী শেষ হইতে পারে নাই, আর এইদিকে ফজরের আযান হইয়া যায়। সায়ী শেষ করিতে তাহার ইশা হইতে ফজর পর্যন্ত সময় লাগিয়াছিল। উরওয়াহ কাহাকেও কোন কিছুতে আরোহণ করিয়া সায়ী করিতে দেখিলে কঠোরভাবে নিষেধ করিতেন। লোকেরা তাহাকে দেখিলে অসুস্থতার বাহানা করিত। তিনি পরে আমাদের নিকট আলাপে বলিতেনঃ ইহারা (যাহারা সওয়ার হইয়া সায়ী করে) ক্ষতিগ্রস্ত, তাহারা স্বীয় উদ্দেশ্য হাসিল করিতে পারে নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উমরা করার সময় সাফা-মারওয়ার সায়ী করিতে যদি ভুলিয়া যায় এবং মক্কা হইতে দূরে চলিয়া যাওয়ার পর ইহা স্মরণ হইলে তাহাকে পুনরায় মক্কায় আসিয়া সায়ী করিতে হইবে। আর ইহার মধ্যে স্ত্রী সহবাস করিয়া থাকিলে তবে ফিরিয়া আসিয়া সায়ী করিবে এবং দ্বিতীয়বার উমরা করিবে এবং হাদয়ী কুরবানী দিবে।
মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইলঃ সায়ী করার সময় যদি কেউ কাহারও সঙ্গে দাঁড়াইয়া কথা বলিতে শুরু করে তবে কেমন হইবে? তিনি বলিলেনঃ আমি ইহাকে পছন্দ করি না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কেউ যদি তাওয়াফ করিতে গিয়া কোন চক্কর ভুলিয়া যায় বা এই সম্পর্কে তাহার সন্দেহ হয়, পরে সায়ী করার সময় যদি তাহার উহা খেয়াল হয় তবে সায়ী মউকুফ করিয়া দিবে এবং প্রথমে ইয়াকীনের উপর ভিত্তি করিয়া তাওয়াফ পুরা করিয়া দুই রাক'আত তাওয়াফের নামায পড়িয়া নুতনভাবে সায়ী করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উমরা করার সময় সাফা-মারওয়ার সায়ী করিতে যদি ভুলিয়া যায় এবং মক্কা হইতে দূরে চলিয়া যাওয়ার পর ইহা স্মরণ হইলে তাহাকে পুনরায় মক্কায় আসিয়া সায়ী করিতে হইবে। আর ইহার মধ্যে স্ত্রী সহবাস করিয়া থাকিলে তবে ফিরিয়া আসিয়া সায়ী করিবে এবং দ্বিতীয়বার উমরা করিবে এবং হাদয়ী কুরবানী দিবে।
মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইলঃ সায়ী করার সময় যদি কেউ কাহারও সঙ্গে দাঁড়াইয়া কথা বলিতে শুরু করে তবে কেমন হইবে? তিনি বলিলেনঃ আমি ইহাকে পছন্দ করি না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কেউ যদি তাওয়াফ করিতে গিয়া কোন চক্কর ভুলিয়া যায় বা এই সম্পর্কে তাহার সন্দেহ হয়, পরে সায়ী করার সময় যদি তাহার উহা খেয়াল হয় তবে সায়ী মউকুফ করিয়া দিবে এবং প্রথমে ইয়াকীনের উপর ভিত্তি করিয়া তাওয়াফ পুরা করিয়া দুই রাক'আত তাওয়াফের নামায পড়িয়া নুতনভাবে সায়ী করিবে।
بَاب جَامِعِ السَّعْيِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ أَنَّ سَوْدَةَ بِنْتَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ كَانَتْ عِنْدَ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ فَخَرَجَتْ تَطُوفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فِي حَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ مَاشِيَةً وَكَانَتْ امْرَأَةً ثَقِيلَةً فَجَاءَتْ حِينَ انْصَرَفَ النَّاسُ مِنْ الْعِشَاءِ فَلَمْ تَقْضِ طَوَافَهَا حَتَّى نُودِيَ بِالْأُولَى مِنْ الصُّبْحِ فَقَضَتْ طَوَافَهَا فِيمَا بَيْنَهَا وَبَيْنَهُ وَكَانَ عُرْوَةُ إِذَا رَآهُمْ يَطُوفُونَ عَلَى الدَّوَابِّ يَنْهَاهُمْ أَشَدَّ النَّهْيِ فَيَعْتَلُّونَ بِالْمَرَضِ حَيَاءً مِنْهُ فَيَقُولُ لَنَا فِيمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ لَقَدْ خَابَ هَؤُلَاءِ وَخَسِرُوا
قَالَ مَالِك مَنْ نَسِيَ السَّعْيَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فِي عُمْرَةٍ فَلَمْ يَذْكُرْ حَتَّى يَسْتَبْعِدَ مِنْ مَكَّةَ أَنَّهُ يَرْجِعُ فَيَسْعَى وَإِنْ كَانَ قَدْ أَصَابَ النِّسَاءَ فَلْيَرْجِعْ فَلْيَسْعَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى يُتِمَّ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ تِلْكَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ عَلَيْهِ عُمْرَةٌ أُخْرَى وَالْهَدْيُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَلْقَاهُ الرَّجُلُ بَيْنَالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَيَقِفُ مَعَهُ يُحَدِّثُهُ فَقَالَ لَا أُحِبُّ لَهُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَمَنْ نَسِيَ مِنْ طَوَافِهِ شَيْئًا أَوْ شَكَّ فِيهِ فَلَمْ يَذْكُرْ إِلَّا وَهُوَ يَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَإِنَّهُ يَقْطَعُ سَعْيَهُ ثُمَّ يُتِمُّ طَوَافَهُ بِالْبَيْتِ عَلَى مَا يَسْتَيْقِنُ وَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْ الطَّوَافِ ثُمَّ يَبْتَدِئُ سَعْيَهُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ
قَالَ مَالِك مَنْ نَسِيَ السَّعْيَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فِي عُمْرَةٍ فَلَمْ يَذْكُرْ حَتَّى يَسْتَبْعِدَ مِنْ مَكَّةَ أَنَّهُ يَرْجِعُ فَيَسْعَى وَإِنْ كَانَ قَدْ أَصَابَ النِّسَاءَ فَلْيَرْجِعْ فَلْيَسْعَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى يُتِمَّ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ تِلْكَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ عَلَيْهِ عُمْرَةٌ أُخْرَى وَالْهَدْيُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَلْقَاهُ الرَّجُلُ بَيْنَالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَيَقِفُ مَعَهُ يُحَدِّثُهُ فَقَالَ لَا أُحِبُّ لَهُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَمَنْ نَسِيَ مِنْ طَوَافِهِ شَيْئًا أَوْ شَكَّ فِيهِ فَلَمْ يَذْكُرْ إِلَّا وَهُوَ يَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَإِنَّهُ يَقْطَعُ سَعْيَهُ ثُمَّ يُتِمُّ طَوَافَهُ بِالْبَيْتِ عَلَى مَا يَسْتَيْقِنُ وَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْ الطَّوَافِ ثُمَّ يَبْتَدِئُ سَعْيَهُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ


বর্ণনাকারী: