আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৮১৭
৩৮. ফজর ও আসরের পর তাওয়াফের নামায আদায় করা
রেওয়ায়ত ১২২. আবুয যুবায়র মক্কী (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আমি দেখিয়াছি আসর ও ফজরের পর বায়তুল্লাহ খালি হইয়া পড়িত। ঐ সময় কোন তাওয়াফকারী থাকিত না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাওয়াফ শুরু করার পর ফজর বা আসরের জামাতের তাকবীর শুরু হইলে ইহা ত্যাগ করিয়া ইমামের সহিত নামাযে শামিল হওয়া উচিত।
নামায পড়ার পর অবশিষ্ট তাওয়াফ পুরা করিবে। কিন্তু তাওয়াফের দুই রাক'আত নামায ফজরের সময় সূর্যোদয় এবং আসরের সময় সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত পড়িবে না। মাগরিবের পর যদি উহা পড়ে তবে উহাতেও কোন দোষ নাই। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সাত চক্করের উপর বৃদ্ধি না করিয়া যদি কোন ব্যক্তি ফজর ও আসরের পর তাওয়াফ করে এবং তাওয়াফের দুই রাক'আত নামায সূর্যোদয়ের পর পড়িয়া নেয়, যেরূপ উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) করিয়াছিলেন, ইহাতে কোন দোষ নাই।
আর যদি আসরের পর তাওয়াফ করিয়া থাকে তবে সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে তাওয়াফের নামায পড়িবে না। সূর্যাস্তের পর ইচ্ছা করিলে তাওয়াফের দুই রাক'আত নামায পড়িয়া লইবে অথবা ইচ্ছা করিলে মাগরিবের নামায সমাপ্ত করার পর পড়িবে, ইহাতে কোন ক্ষতি নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাওয়াফ শুরু করার পর ফজর বা আসরের জামাতের তাকবীর শুরু হইলে ইহা ত্যাগ করিয়া ইমামের সহিত নামাযে শামিল হওয়া উচিত।
নামায পড়ার পর অবশিষ্ট তাওয়াফ পুরা করিবে। কিন্তু তাওয়াফের দুই রাক'আত নামায ফজরের সময় সূর্যোদয় এবং আসরের সময় সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত পড়িবে না। মাগরিবের পর যদি উহা পড়ে তবে উহাতেও কোন দোষ নাই। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সাত চক্করের উপর বৃদ্ধি না করিয়া যদি কোন ব্যক্তি ফজর ও আসরের পর তাওয়াফ করে এবং তাওয়াফের দুই রাক'আত নামায সূর্যোদয়ের পর পড়িয়া নেয়, যেরূপ উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) করিয়াছিলেন, ইহাতে কোন দোষ নাই।
আর যদি আসরের পর তাওয়াফ করিয়া থাকে তবে সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে তাওয়াফের নামায পড়িবে না। সূর্যাস্তের পর ইচ্ছা করিলে তাওয়াফের দুই রাক'আত নামায পড়িয়া লইবে অথবা ইচ্ছা করিলে মাগরিবের নামায সমাপ্ত করার পর পড়িবে, ইহাতে কোন ক্ষতি নাই।
بَاب الصَّلَاةِ بَعْدَ الصُّبْحِ وَالْعَصْرِ فِي الطَّوَافِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ أَنَّهُ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ الْبَيْتَ يَخْلُو بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ وَبَعْدَ صَلَاةِ الْعَصْرِ مَا يَطُوفُ بِهِ أَحَدٌ
قَالَ مَالِك وَمَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ بَعْضَ أُسْبُوعِهِ ثُمَّ أُقِيمَتْ صَلَاةُ الصُّبْحِ أَوْ صَلَاةُ الْعَصْرِ فَإِنَّهُ يُصَلِّي مَعَ الْإِمَامِ ثُمَّ يَبْنِي عَلَى مَا طَافَ حَتَّى يُكْمِلَ سُبْعًا ثُمَّ لَا يُصَلِّي حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ أَوْ تَغْرُبَ قَالَ وَإِنْ أَخَّرَهُمَا حَتَّى يُصَلِّيَ الْمَغْرِبَ فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَطُوفَ الرَّجُلُ طَوَافًا وَاحِدًا بَعْدَ الصُّبْحِ وَبَعْدَ الْعَصْرِ لَا يَزِيدُ عَلَى سُبْعٍ وَاحِدٍ وَيُؤَخِّرُ الرَّكْعَتَيْنِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ كَمَا صَنَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَيُؤَخِّرُهُمَا بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَإِذَا غَرَبَتْ الشَّمْسُ صَلَّاهُمَا إِنْ شَاءَ وَإِنْ شَاءَ أَخَّرَهُمَا حَتَّى يُصَلِّيَ الْمَغْرِبَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ
قَالَ مَالِك وَمَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ بَعْضَ أُسْبُوعِهِ ثُمَّ أُقِيمَتْ صَلَاةُ الصُّبْحِ أَوْ صَلَاةُ الْعَصْرِ فَإِنَّهُ يُصَلِّي مَعَ الْإِمَامِ ثُمَّ يَبْنِي عَلَى مَا طَافَ حَتَّى يُكْمِلَ سُبْعًا ثُمَّ لَا يُصَلِّي حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ أَوْ تَغْرُبَ قَالَ وَإِنْ أَخَّرَهُمَا حَتَّى يُصَلِّيَ الْمَغْرِبَ فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَطُوفَ الرَّجُلُ طَوَافًا وَاحِدًا بَعْدَ الصُّبْحِ وَبَعْدَ الْعَصْرِ لَا يَزِيدُ عَلَى سُبْعٍ وَاحِدٍ وَيُؤَخِّرُ الرَّكْعَتَيْنِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ كَمَا صَنَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَيُؤَخِّرُهُمَا بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَإِذَا غَرَبَتْ الشَّمْسُ صَلَّاهُمَا إِنْ شَاءَ وَإِنْ شَاءَ أَخَّرَهُمَا حَتَّى يُصَلِّيَ الْمَغْرِبَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ


বর্ণনাকারী: