আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৭৯৭
৩১. শক্র দ্বারা পথে বাধাপ্রাপ্ত হইলে হজ্জ সম্পাদনে ইচ্ছুক ব্যক্তি কি করিবে
রেওয়ায়ত ১০২. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, বিশৃংখলার বৎসর আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) উমরা করার নিয়তে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার সময় বলিয়াছিলেনঃ বায়তুল্লায় যাওয়ার পথে যদি আমি বাধাপ্রাপ্ত হই, তবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে থাকাকালীন এই অবস্থায় আমরা যাহা করিয়াছিলাম আজও তাহাই করিব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হুদায়বিয়ার বৎসর শুধু উমরার নিয়তেই মক্কা যাত্রা করিয়াছিলেন- এই কথা খেয়াল করিয়া আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ)-ও শুধু উমরার ইহরাম বাধিলেন। পরে চিন্তা করিয়া দেখিলেন, বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার বেলায় হজ্জ ও উমরার হুকুম একই ধরনের। তোমাদিগকে সাক্ষী বানাইতেছি যে, আমি এখন হজ্জ ও উমরা উভয়ই আমার উপর ওয়াজিব করিয়া নিলাম। এই বলিয়া তিনি যাত্রা শুরু করিলেন এবং বায়তুল্লাম আসিয়া তাওয়াফ সমাধা করিলেন, আর এইটুকুই নিজের জন্য যথেষ্ট মনে করিলেন। কুরবানীর যে পশু ছিল তাহাও নাহর করিলেন।*
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমার মতে নবী করীম (ﷺ) এবং তাহার সাহাবীগণ যাহা করিয়াছিলেন হজ্জের পথে বাধাপ্রাপ্ত হইলে তাহাই করা উচিত। তবে শত্রুর দ্বারা নয়, অন্য কোন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হইলে বায়তুল্লাহু না যাওয়া পর্যন্ত আর সে হালাল হইবে না।
* এই সময় হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র (রাযিঃ)-এর উপর মক্কায় হামলা চালাইয়াছিল। তাই এই সময়টাকে এখানে বিশৃংখলার বৎসর বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে। অতঃপর তিনি সাথীদের দিকে লক্ষ করিয়া বলিলেন, বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার বেলায় হজ্জ ও উমরার হুকুম একই ধরনের।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমার মতে নবী করীম (ﷺ) এবং তাহার সাহাবীগণ যাহা করিয়াছিলেন হজ্জের পথে বাধাপ্রাপ্ত হইলে তাহাই করা উচিত। তবে শত্রুর দ্বারা নয়, অন্য কোন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হইলে বায়তুল্লাহু না যাওয়া পর্যন্ত আর সে হালাল হইবে না।
* এই সময় হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র (রাযিঃ)-এর উপর মক্কায় হামলা চালাইয়াছিল। তাই এই সময়টাকে এখানে বিশৃংখলার বৎসর বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে। অতঃপর তিনি সাথীদের দিকে লক্ষ করিয়া বলিলেন, বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার বেলায় হজ্জ ও উমরার হুকুম একই ধরনের।
بَاب مَا جَاءَ فِيمَنْ أُحْصِرَ بِعَدُوٍّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ حِينَ خَرَجَ إِلَى مَكَّةَ مُعْتَمِرًا فِي الْفِتْنَةِ إِنْ صُدِدْتُ عَنْ الْبَيْتِ صَنَعْنَا كَمَا صَنَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَهَلَّ بِعُمْرَةٍ مِنْ أَجْلِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ ثُمَّ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ نَظَرَ فِي أَمْرِهِ فَقَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلَّا وَاحِدٌ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلَّا وَاحِدٌ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ الْحَجَّ مَعَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ نَفَذَ حَتَّى جَاءَ الْبَيْتَ فَطَافَ طَوَافًا وَاحِدًا وَرَأَى ذَلِكَ مُجْزِيًا عَنْهُ وَأَهْدَى قَالَ مَالِك فَهَذَا الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَنْ أُحْصِرَ بِعَدُوٍّ كَمَا أُحْصِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ فَأَمَّا مَنْ أُحْصِرَ بِغَيْرِ عَدُوٍّ فَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ دُونَ الْبَيْتِ


বর্ণনাকারী: