আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ৭৬৬
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২১. উমরা সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৭১. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) যখন উমরা করিতেন, মদীনায় ফিরিয়া না যাওয়া পর্যন্ত উট হইতে অবতরণ করিতেন না।

মালিক (রাহঃ) বলেন, উমরা করা সুন্নত। এমন কোন মুসলমান দেখা যায় নাই যিনি ইহা পরিত্যাগ করার অনুমতি দেন।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ একই বৎসরে একাধিক উমরা করা জায়েয নহে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উমরার ইহরাম বাধিয়া স্ত্রী সহবাস করিলে উমরা বিনষ্ট হইয়া যাইবে এবং তাহার উপর আরেকটি উমরা কাযা ও একটি কুরবানী করা ওয়াজিব হইবে। তাই সত্বর তাহাকে উহার কাযা আদায় করিয়া নেওয়া উচিত। যে স্থান হইতে প্রথম উমরার ইহরাম বাঁধিয়াছিল সেই স্থান হইতেই তাছাকে এই কাযা উমরার ইহরাম বাধিতে হইবে, তবে প্রথম উমরার ইহরাম নির্দিষ্ট মীকাতের পূর্বে বাঁধিয়া থাকিলে কাযা উমরার মীকাত হইতে বাঁধিবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উমরার ইহরাম বাঁধিয়া কোন ব্যক্তি মক্কায় আসিল এবং জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় বা ওযু ব্যতিরেকে সে তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করিল। পরে ভুলবশত স্ত্রীসহবাস করিল। অতঃপর উমরার কথা তাহার মনে পড়িল। তখন সে গোসল বা ওযু করিয়া পুনরায় তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করিবে এবং তদস্থলে অন্য একটি উমরা কাযা করিবে ও একটি কুরবানী দিবে। মহিলাও ইহরামরত

অবস্থায় তদ্রূপ কিছু করিলে তাহাকেও (পুরুষদের মত) আমল করিতে হইবে।

তান’য়ীম নামক স্থান হইতে উমরার ইহরাম বাঁধার ব্যাপারে মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হারম শরীফ হইতে বাহির হইয়া যে কোন স্থান হইতে উমরার ইহরাম বাঁধিতে পারবে। আল্লাহর ইচ্ছায় এই ইহরামই মুহরিমের জন্য যথেষ্ট। তবে মীকাত হইতে ইহরাম বাঁধা উত্তম। কারণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক নির্ধারিত স্থান হইতে ইহরাম বাঁধা নিঃসন্দেহে উত্তম এবং তান’য়ীম হইতে দূরে অবস্থিত।
كتاب الحج
بَاب جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الْعُمْرَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ كَانَ إِذَا اعْتَمَرَ رُبَّمَا لَمْ يَحْطُطْ عَنْ رَاحِلَتِهِ حَتَّى يَرْجِعَ قَالَ مَالِك الْعُمْرَةُ سُنَّةٌ وَلَا نَعْلَمُ أَحَدًا مِنْ الْمُسْلِمِينَ أَرْخَصَ فِي تَرْكِهَا قَالَ مَالِك وَلَا أَرَى لِأَحَدٍ أَنْ يَعْتَمِرَ فِي السَّنَةِ مِرَارًا قَالَ مَالِك فِي الْمُعْتَمِرِ يَقَعُ بِأَهْلِهِ إِنَّ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ الْهَدْيَ وَعُمْرَةً أُخْرَى يَبْتَدِئُ بِهَا بَعْدَ إِتْمَامِهِ الَّتِي أَفْسَدَهَا وَيُحْرِمُ مِنْ حَيْثُ أَحْرَمَ بِعُمْرَتِهِ الَّتِي أَفْسَدَهَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ أَحْرَمَ مِنْ مَكَانٍ أَبْعَدَ مِنْ مِيقَاتِهِ فَلَيْسَ عَلَيْهِ أَنْ يُحْرِمَ إِلَّا مِنْ مِيقَاتِهِ قَالَ مَالِك وَمَنْ دَخَلَ مَكَّةَ بِعُمْرَةٍ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَهُوَ جُنُبٌ أَوْ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ ثُمَّ وَقَعَ بِأَهْلِهِ ثُمَّ ذَكَرَ قَالَ يَغْتَسِلُ أَوْ يَتَوَضَّأُ ثُمَّ يَعُودُ فَيَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَيَعْتَمِرُ عُمْرَةً أُخْرَى وَيُهْدِي وَعَلَى الْمَرْأَةِ إِذَا أَصَابَهَا زَوْجُهَا وَهِيَ مُحْرِمَةٌ مِثْلُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك فَأَمَّا الْعُمْرَةُ مِنْ التَّنْعِيمِ فَإِنَّهُ مَنْ شَاءَ أَنْ يَخْرُجَ مِنْ الْحَرَمِ ثُمَّ يُحْرِمَ فَإِنَّ ذَلِكَ مُجْزِئٌ عَنْهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَلَكِنْ الْفَضْلُ أَنْ يُهِلَّ مِنْ الْمِيقَاتِ الَّذِي وَقَّتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ مَا هُوَ أَبْعَدُ مِنْ التَّنْعِيمِ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান