আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
১৮. রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৭৮
২২. রোযার বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৬০. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তিনি আহলে ইলমদের নিকট শুনিয়াছেন যে, তাহারা দিনের কোন মুহুর্তে রোযাদারের জন্য মেছওয়াক করাকে মাকরূহ জানিতেন না- দিনের শুরুর দিকে হউক বা শেষভাগে হউক। তিনি বলেনঃ আমি কাহাকেও শুনি নাই, উহাকে মাকরূহ জানিতে অথবা উহা হইতে বারণ করিতে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ ঈদুল ফিতরের পর ছয় দিনের রোযা সম্পর্কে মালিক (রাহঃ)-কে আমি বলিতে শুনিয়াছি, তিনি আহলে ইলম এবং আহলে ফিকহ, কাহাকেও সেই (ছয় দিনের) রোযা রাখিতে দেখেন নাই এবং তিনি বলেনঃ প্রাচীনদের কাহারো নিকট হইতে (উহা রাখার ব্যাপারে) আমার নিকট কোন কিছু পৌছে নাই। আর আহলে ইলম উহাকে মাকরূহ জানিতেন এবং উহা বিদ’আত হওয়ার আশঙ্কা করিতেন। আরো ভয় ছিল, অজ্ঞরা- সহজকে কঠিন করা যাহাদের অভ্যাস- তাহারা রমযানের মধ্যে যাহা গণ্য নছে উহাকে রমযানের সহিত মিলাইয়া দিবে, যদি তাহারা আহলে ইলমকে উহা রাখিতে দেখে এবং তাহাদের নিকট হইতে এই ব্যাপারে অনুমতি লাভ করে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, আহলে ইলম ও আহলে ফিকহ এবং লোকে যাহাদিগকে স্মরণ করিয়া থাকে, তাহাদের কাহাকেও জুম’আ দিবসের রোযা হইতে নিষেধ করিতে শুনি নাই। জুম’আর দিনে রোযা রাখা ভাল। আমি কোন কোন আহলে ইলমকে উহা পালন করিতে দেখিয়াছি। আর আমি মনে করি, তাহারা (জুম’আ দিবসের প্রতি) লক্ষ্য রাখিতেন (ইহার গুরুত্ব উপলব্ধি করিয়া)।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ ঈদুল ফিতরের পর ছয় দিনের রোযা সম্পর্কে মালিক (রাহঃ)-কে আমি বলিতে শুনিয়াছি, তিনি আহলে ইলম এবং আহলে ফিকহ, কাহাকেও সেই (ছয় দিনের) রোযা রাখিতে দেখেন নাই এবং তিনি বলেনঃ প্রাচীনদের কাহারো নিকট হইতে (উহা রাখার ব্যাপারে) আমার নিকট কোন কিছু পৌছে নাই। আর আহলে ইলম উহাকে মাকরূহ জানিতেন এবং উহা বিদ’আত হওয়ার আশঙ্কা করিতেন। আরো ভয় ছিল, অজ্ঞরা- সহজকে কঠিন করা যাহাদের অভ্যাস- তাহারা রমযানের মধ্যে যাহা গণ্য নছে উহাকে রমযানের সহিত মিলাইয়া দিবে, যদি তাহারা আহলে ইলমকে উহা রাখিতে দেখে এবং তাহাদের নিকট হইতে এই ব্যাপারে অনুমতি লাভ করে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, আহলে ইলম ও আহলে ফিকহ এবং লোকে যাহাদিগকে স্মরণ করিয়া থাকে, তাহাদের কাহাকেও জুম’আ দিবসের রোযা হইতে নিষেধ করিতে শুনি নাই। জুম’আর দিনে রোযা রাখা ভাল। আমি কোন কোন আহলে ইলমকে উহা পালন করিতে দেখিয়াছি। আর আমি মনে করি, তাহারা (জুম’আ দিবসের প্রতি) লক্ষ্য রাখিতেন (ইহার গুরুত্ব উপলব্ধি করিয়া)।
بَاب جَامِعِ الصِّيَامِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ أَهْلَ الْعِلْمِ لَا يَكْرَهُونَ السِّوَاكَ لِلصَّائِمِ فِي رَمَضَانَ فِي سَاعَةٍ مِنْ سَاعَاتِ النَّهَارِ لَا فِي أَوَّلِهِ وَلَا فِي آخِرِهِ وَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَكْرَهُ ذَلِكَ وَلَا يَنْهَى عَنْهُ قَالَ يَحْيَى وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي صِيَامِ سِتَّةِ أَيَّامٍ بَعْدَ الْفِطْرِ مِنْ رَمَضَانَ إِنَّهُ لَمْ يَرَ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْفِقْهِ يَصُومُهَا وَلَمْ يَبْلُغْنِي ذَلِكَ عَنْ أَحَدٍ مِنْ السَّلَفِ وَإِنَّ أَهْلَ الْعِلْمِ يَكْرَهُونَ ذَلِكَ وَيَخَافُونَ بِدْعَتَهُ وَأَنْ يُلْحِقَ بِرَمَضَانَ مَا لَيْسَ مِنْهُ أَهْلُ الْجَهَالَةِ وَالْجَفَاءِ لَوْ رَأَوْا فِي ذَلِكَ رُخْصَةً عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَرَأَوْهُمْ يَعْمَلُونَ ذَلِكَ وَقَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ لَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْفِقْهِ وَمَنْ يُقْتَدَى بِهِ يَنْهَى عَنْ صِيَامِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَصِيَامُهُ حَسَنٌ وَقَدْ رَأَيْتُ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَصُومُهُ وَأُرَاهُ كَانَ يَتَحَرَّاهُ


বর্ণনাকারী: