আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
১৬. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৪১
১২. মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদিতে নিষেধ করা
রেওয়ায়ত ৩৬. জাবির ইবনে আতিক (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আব্দুল্লাহ ইবনে সাবিত (রাযিঃ)-কে রোগশয্যায় দেখিতে আসিলেন। তাহাকে রোগে কাহিল অবস্থায় পাইলেন। তিনি তাহাকে ডাকিলেন, কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইন্নালিল্লাহি পাঠ করিলেন এবং বলিলেনঃ হে আবু রাবী’! আমরা তোমার ব্যাপারে পরাস্ত হইলাম। স্ত্রীলোকেরা তখন চিৎকার করিয়া উঠিল এবং কাঁদিতে লাগিল। জাবির ইবনে আতিক (রাযিঃ) তাহাদিগকে বারণ করিতে লাগিলেন।
তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তাহাদিগকে ছাড়, যখন সময় আসিবে তখন কোন ক্ৰন্দনকারিণী ক্ৰন্দন করিবে না। তাহারা বলিলেনঃ ইয়া রসূলাল্লাহ! وجوب বা সময় আসার অর্থ কি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ যখন মৃত্যু হইবে। ইহা শুনিয়া তাহার কন্যা মৃত পিতাকে বলিলেনঃ আল্লাহর কসম, আমি আশা করিয়াছিলাম আপনি শহীদ হইবেন। কারণ আপনি (জিহাদের) আসবাব প্রস্তুত করিয়াছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ তাহার নিয়ত অনুযায়ী আল্লাহ্ তাআলা তাহার জন্য সওয়াব নির্ধারণ করিয়াছেন। তোমরা শাহাদত কাহাকে গণ্য করিয়া থাক?
তাঁহারা বললেন- আল্লাহর রাস্তায় নিহত হওয়াকে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ আল্লাহর পথে নিহত হওয়া ছাড়াও শহীদ সাত প্রকারের- তাউনে (মহামারীতে) মৃত ব্যক্তি শহীদ, যে ডুবিয়া মরিয়াছে সে শহীদ, নিউমোনিয়া রোগে মৃত ব্যক্তি শহীদ, পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ, যে পুড়িয়া মরিয়াছে সে শহীদ, কোন কিছু চাপা পড়িয়া যে মরিয়াছে সে শহীদ, অন্তঃসত্ত্বায় মৃত মহিলা শহীদ।
তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তাহাদিগকে ছাড়, যখন সময় আসিবে তখন কোন ক্ৰন্দনকারিণী ক্ৰন্দন করিবে না। তাহারা বলিলেনঃ ইয়া রসূলাল্লাহ! وجوب বা সময় আসার অর্থ কি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ যখন মৃত্যু হইবে। ইহা শুনিয়া তাহার কন্যা মৃত পিতাকে বলিলেনঃ আল্লাহর কসম, আমি আশা করিয়াছিলাম আপনি শহীদ হইবেন। কারণ আপনি (জিহাদের) আসবাব প্রস্তুত করিয়াছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ তাহার নিয়ত অনুযায়ী আল্লাহ্ তাআলা তাহার জন্য সওয়াব নির্ধারণ করিয়াছেন। তোমরা শাহাদত কাহাকে গণ্য করিয়া থাক?
তাঁহারা বললেন- আল্লাহর রাস্তায় নিহত হওয়াকে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ আল্লাহর পথে নিহত হওয়া ছাড়াও শহীদ সাত প্রকারের- তাউনে (মহামারীতে) মৃত ব্যক্তি শহীদ, যে ডুবিয়া মরিয়াছে সে শহীদ, নিউমোনিয়া রোগে মৃত ব্যক্তি শহীদ, পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ, যে পুড়িয়া মরিয়াছে সে শহীদ, কোন কিছু চাপা পড়িয়া যে মরিয়াছে সে শহীদ, অন্তঃসত্ত্বায় মৃত মহিলা শহীদ।
بَاب النَّهْيِ عَنْ الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَابِرِ بْنِ عَتِيكٍ عَنْ عَتِيكِ بْنِ الْحَارِثِ وَهُوَ جَدُّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَابِرٍ أَبُو أُمِّهِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَتِيكٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ يَعُودُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ ثَابِتٍ فَوَجَدَهُ قَدْ غُلِبَ عَلَيْهِ فَصَاحَ بِهِ فَلَمْ يُجِبْهُ فَاسْتَرْجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ غُلِبْنَا عَلَيْكَ يَا أَبَا الرَّبِيعِ فَصَاحَ النِّسْوَةُ وَبَكَيْنَ فَجَعَلَ جَابِرٌ يُسَكِّتُهُنَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعْهُنَّ فَإِذَا وَجَبَ فَلَا تَبْكِيَنَّ بَاكِيَةٌ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْوُجُوبُ قَالَ إِذَا مَاتَ فَقَالَتْ ابْنَتُهُ وَاللَّهِ إِنْ كُنْتُ لَأَرْجُو أَنْ تَكُونَ شَهِيدًا فَإِنَّكَ كُنْتَ قَدْ قَضَيْتَ جِهَازَكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَوْقَعَ أَجْرَهُ عَلَى قَدْرِ نِيَّتِهِ وَمَا تَعُدُّونَ الشَّهَادَةَ قَالُوا الْقَتْلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الشُّهَدَاءُ سَبْعَةٌ سِوَى الْقَتْلِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ الْمَطْعُونُ شَهِيدٌ وَالْغَرِقُ شَهِيدٌ وَصَاحِبُ ذَاتِ الْجَنْبِ شَهِيدٌ وَالْمَبْطُونُ شَهِيدٌ وَالْحَرِقُ شَهِيدٌ وَالَّذِي يَمُوتُ تَحْتَ الْهَدْمِ شَهِيدٌ وَالْمَرْأَةُ تَمُوتُ بِجُمْعٍ شَهِيدٌ


বর্ণনাকারী: