আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
৯. সফরাবস্থায় নামায কসর পড়া
হাদীস নং: ৪০৬
২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৮৮. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) জনৈক ব্যক্তিকে সম্বোধন করিয়া বলিয়াছেনঃ তুমি এমন এক যুগে বাস করিতেছ, যে যুগে ধর্মীয় বিষয়ে বিজ্ঞ অনেক আলিম রহিয়াছেন, কারী আছেন কম (অর্থাৎ আমল ও জ্ঞান ছাড়া কেবল কুরআন পাঠকারীদের সংখ্যা অতি অল্প)। এই যুগে কুরআনের আদেশ নিষেধ প্রভৃতি হিফাযত করা হয়, শব্দের দিকে মনোযোগ দেওয়া হয় কম, ভিক্ষুকের সংখ্যা কম, দাতার সংখ্যা বেশী, নামায পড়েন দীর্ঘ আর খুতবা পাঠ করেন ছোট। সে যুগে প্রবৃত্তি বা খাহেশাতের তাবেদারীর পূর্বে তাহারা আমল আরম্ভ করিয়া দেন। অদূর ভবিষ্যতে মানুষের উপর এমন এক যুগ আসিবে, সে যুগে ফুকাহা (বিজ্ঞ) উলামা হইবেন অল্প। কারিগণ হইবেন অনেক, কুরআনের শব্দসমূহের হিফাযত করা হইবে, অপরদিকে
আহকামে কুরআনকে বরবাদ করা হইবে (আমলের প্রতি নযর দিবে কম)। سائل বা ভিক্ষুক হইবে অনেক, দাতার সংখ্যা হইবে অল্প। খুতবা লম্বা প্রদান করিবে আর নামায পড়িবে মুখতাসার, আমলের নয়, খাহেশাত বা প্রবৃত্তির অনুসরণ করা হইবে।
আহকামে কুরআনকে বরবাদ করা হইবে (আমলের প্রতি নযর দিবে কম)। سائل বা ভিক্ষুক হইবে অনেক, দাতার সংখ্যা হইবে অল্প। খুতবা লম্বা প্রদান করিবে আর নামায পড়িবে মুখতাসার, আমলের নয়, খাহেশাত বা প্রবৃত্তির অনুসরণ করা হইবে।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ قَالَ لِإِنْسَانٍ إِنَّكَ فِي زَمَانٍ كَثِيرٌ فُقَهَاؤُهُ قَلِيلٌ قُرَّاؤُهُ تُحْفَظُ فِيهِ حُدُودُ الْقُرْآنِ وَتُضَيَّعُ حُرُوفُهُ قَلِيلٌ مَنْ يَسْأَلُ كَثِيرٌ مَنْ يُعْطِي يُطِيلُونَ فِيهِ الصَّلَاةَ وَيَقْصُرُونَ الْخُطْبَةَ يُبَدُّونَ أَعْمَالَهُمْ قَبْلَ أَهْوَائِهِمْ وَسَيَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ قَلِيلٌ فُقَهَاؤُهُ كَثِيرٌ قُرَّاؤُهُ يُحْفَظُ فِيهِ حُرُوفُ الْقُرْآنِ وَتُضَيَّعُ حُدُودُهُ كَثِيرٌ مَنْ يَسْأَلُ قَلِيلٌ مَنْ يُعْطِي يُطِيلُونَ فِيهِ الْخُطْبَةَ وَيَقْصُرُونَ الصَّلَاةَ يُبَدُّونَ فِيهِ أَهْوَاءَهُمْ قَبْلَ أَعْمَالِهِمْ
