আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
৮. জামাআতে নামায পড়া
হাদীস নং: ২৮৩
১. একা একা নামায পড়ার তুলনায় জামাআতে নামায পড়ার ফযীলত
রেওয়ায়ত ৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমি মনস্থ করিয়াছি কিছু কাঠ যোগাড় করার নির্দেশ প্রদান করি। তারপর নামাযের জন্য আযান বলার হুকুম করি। তারপর নামাযের জন্য আযান দেওয়া হউক। পরে কোন একজনকে (নামায়ে) ইমামতি করার জন্য ঠিক করিয়া দেই। তারপর যেসব লোক নামাযের জন্য বাহির হয় নাই তাহাদের নিকট যাই ও তাহাদের গৃহে আগুন ধরাইয়া দেই। আল্লাহর কসম, যাহার হাতে আমার প্রাণ, যদি তাহদের এক ব্যক্তি জানিতে পারিত যে, ভাল মোটা হাড্ডি জুটিবে অথবা দুইটি ভাল ক্ষুর পাইবে তবে সে অবশ্য ইশার নামাযে হাজির হইত।
بَاب فَضْلِ صَلَاةِ الْجَمَاعَةِ عَلَى صَلَاةِ الْفَذِّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِحَطَبٍ فَيُحْطَبَ ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَيُؤَذَّنَ لَهَا ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيَؤُمَّ النَّاسَ ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ يَعْلَمُ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَظْمًا سَمِينًا أَوْ مِرْمَاتَيْنِ حَسَنَتَيْنِ لَشَهِدَ الْعِشَاءَ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীসের ভাষ্য মোতাবেক আযান শুনেও যারা মাসজিদে না যায় রসূল স. তাদের ঘর-বাড়ী আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার ধমকি দিয়েছেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ফরয নামায জামাতে আদায় করা একান্ত জরুরী।
মুসলিম শরীফের এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে যে, এক অন্ধ ব্যক্তি রসূল স.-এর নিকট এসে মাসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে নামায পড়ার অনুমতি চাইলে রসূল স. তাকে অনুমতি দেননি। (মুসলিম-১৩৬১)
মুসলিম শরীফের এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে যে, এক অন্ধ ব্যক্তি রসূল স.-এর নিকট এসে মাসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে নামায পড়ার অনুমতি চাইলে রসূল স. তাকে অনুমতি দেননি। (মুসলিম-১৩৬১)
