আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৪১৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৯৫
২২৭৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া হল আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত । অতএব যে কেউ কা’বা ঘরে হজ্জ বা উমরাহ সম্পন্ন করে এ দুটির মধ্যে সাঈ (যাতায়াত) করলে কোন পাপ নেই । আর কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোন নেক কাজ করলে আল্লাহ তো পুরস্কারদাতা, তিনি সর্বজ্ঞ । (২ঃ ১৫৮)
শায়ায়ির (شَعَائِرِ) শাঈরাতুনের বহু বচন। অর্থ নিদর্শন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, সাফওয়ান অর্থ পাথর; বলা হতো এমন পাথর যা কোন কিছু উৎপন্ন করে না। একবচনে صفوانة হয়ে থাকে। আর صفا ব্যবহৃত হয় বহুবচনে।
শায়ায়ির (شَعَائِرِ) শাঈরাতুনের বহু বচন। অর্থ নিদর্শন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, সাফওয়ান অর্থ পাথর; বলা হতো এমন পাথর যা কোন কিছু উৎপন্ন করে না। একবচনে صفوانة হয়ে থাকে। আর صفا ব্যবহৃত হয় বহুবচনে।
৪১৪৩। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম আর সে সময় আমি অল্প বয়স্ক ছিলাম। মহান আল্লাহর বাণীঃإِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ এ আয়াত সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? ″সাফা এবং মারওয়া পর্বতদ্বয় আল্লাহ তাআলার নিদর্শন সমূহের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই যে বায়তুল্লাহর হজ্জ বা উমরার ইচ্ছা করে তার জন্য উভয় পর্বতের মধ্যে সায়ীকরণে কোন দোষ নেই।″ (২ঃ ১৫৮) আমি মনে করি উক্ত দুই পর্বত সায়ী না করণে কোন ব্যক্তির উপর গুনাহ বর্তাবে না। তখন আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, কখনই এরূপ নয়। তুমি যা বলছ যদি তাই হতো তা হলে বলা হতো এভাবেفَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا ″উভয় পর্বত তাওয়াফ না করলে কোন গুনাহ বর্তাবে না। বস্তত এই আয়াত নাযিল হয়েছে আনসারদের শানে। তারা ‘মানাত’ এর পূজা করত। আর ‘মানাত’ ছিল কুদায়েদের পথে অবস্থিত। আনসারগণ সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সায়ী করা মন্দ জানতো। ইসলামের আগমনের পর তারা এ সম্পর্কে রাসূল (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করল। তখন আল্লাহ উক্ত আয়াত নাযিল করেন।
باب قوله إن الصفا والمروة من شعائر الله فمن حج البيت أو اعتمر فلا جناح عليه أن يطوف بهما ومن تطوع خيرا فإن الله شاكر عليم شعائر علامات واحدتها شعيرة وقال ابن عباس الصفوان الحجر ويقال الحجارة الملس التي لا تنبت شيئا والواحدة صفوانة بمعنى الصفا والصفا للجميع
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا يَوْمَئِذٍ حَدِيثُ السِّنِّ أَرَأَيْتِ قَوْلَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا) فَمَا أُرَى عَلَى أَحَدٍ شَيْئًا أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا. فَقَالَتْ عَائِشَةُ كَلاَّ لَوْ كَانَتْ كَمَا تَقُولُ كَانَتْ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا، إِنَّمَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي الأَنْصَارِ، كَانُوا يُهِلُّونَ لِمَنَاةَ، وَكَانَتْ مَنَاةُ حَذْوَ قُدَيْدٍ، وَكَانُوا يَتَحَرَّجُونَ أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَلَمَّا جَاءَ الإِسْلاَمُ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا)
