আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
৩. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৬৭
৪. নামাযের আরম্ভ
রেওয়ায়ত ২২. মালিক (রাহঃ) ইবনে শিহাব (রাহঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন- তিনি বলিয়াছেনঃ যদি কোন ব্যক্তি এক রাকআত নামায পায় এবং একবার তকবীর বলে তাহার জন্য ঐ এক ‘তকবীর যথেষ্ট হইবে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) মালিক (রাহঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন- ঐ এক ‘তকবীরই যথেষ্ট হইবে যদি সে উক্ত তকবীর দ্বারা ‘তকবীর-এ তাহরীমা’-এর নিয়ত করে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইলঃ এক ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে নামাযে শরীক হইল কিন্তু সে তববীর-এ তাহরীমা’ ও রুকূর ‘তকবীর বলিতে ভুলিয়া গেল। নামায এক রাকআত পড়ার পর তাহার স্মরণ হইল যে, সে ‘তাহরীমা’ ও রুকূর তকবীর বলে নাই। অতঃপর দ্বিতীয় রাকআতে সে তকবীর বলিল। তাহার কি করা উচিত? তিনি উত্তর দিলেন, সেই ব্যক্তির জন্য নামায শুরু হইতে পুনরায় পড়া আমি ভাল মনে করি। আর যদি কোন ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে ‘তকবীর-এ-তাহরীমা’ বলিতে ভুলিয়া যায়, প্রথম রুকূর সময় তকবীর’ বলে, রুকূর তকবীরের সঙ্গে ‘তকবীর-এ-তাহরীমা’রও নিয়ত করে, তবে আমার মতে উক্ত রুকূর ‘তকবীর’ই তাহার জন্য যথেষ্ট হইবে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি একা একা নামায পড়িতেছে সে ‘তকবীর-এ-তাহরীমা’ ভুলিয়া গেলে তাহাকে নামায পুনরায় পড়িতে হইবে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ ইমাম যদি ‘তকবীর-এ-তাহরীমা’ বলিতে ভুলিয়া গেলেন এবং নামায সমাপ্ত করিলেন, তবে আমার মতে ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ের নামায পুনরায় পড়া উচিত, এমন কি মুক্তাদীগণ তকবীর বলিয়া থাকিলেও।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) মালিক (রাহঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন- ঐ এক ‘তকবীরই যথেষ্ট হইবে যদি সে উক্ত তকবীর দ্বারা ‘তকবীর-এ তাহরীমা’-এর নিয়ত করে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইলঃ এক ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে নামাযে শরীক হইল কিন্তু সে তববীর-এ তাহরীমা’ ও রুকূর ‘তকবীর বলিতে ভুলিয়া গেল। নামায এক রাকআত পড়ার পর তাহার স্মরণ হইল যে, সে ‘তাহরীমা’ ও রুকূর তকবীর বলে নাই। অতঃপর দ্বিতীয় রাকআতে সে তকবীর বলিল। তাহার কি করা উচিত? তিনি উত্তর দিলেন, সেই ব্যক্তির জন্য নামায শুরু হইতে পুনরায় পড়া আমি ভাল মনে করি। আর যদি কোন ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে ‘তকবীর-এ-তাহরীমা’ বলিতে ভুলিয়া যায়, প্রথম রুকূর সময় তকবীর’ বলে, রুকূর তকবীরের সঙ্গে ‘তকবীর-এ-তাহরীমা’রও নিয়ত করে, তবে আমার মতে উক্ত রুকূর ‘তকবীর’ই তাহার জন্য যথেষ্ট হইবে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি একা একা নামায পড়িতেছে সে ‘তকবীর-এ-তাহরীমা’ ভুলিয়া গেলে তাহাকে নামায পুনরায় পড়িতে হইবে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ ইমাম যদি ‘তকবীর-এ-তাহরীমা’ বলিতে ভুলিয়া গেলেন এবং নামায সমাপ্ত করিলেন, তবে আমার মতে ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ের নামায পুনরায় পড়া উচিত, এমন কি মুক্তাদীগণ তকবীর বলিয়া থাকিলেও।
بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِذَا أَدْرَكَ الرَّجُلُ الرَّكْعَةَ فَكَبَّرَ تَكْبِيرَةً وَاحِدَةً أَجْزَأَتْ عَنْهُ تِلْكَ التَّكْبِيرَةُ . قَالَ مَالِكٌ وَذَلِكَ إِذَا نَوَى بِتِلْكَ التَّكْبِيرَةِ افْتِتَاحَ الصَّلاَةِ . وَسُئِلَ مَالِكٌ عَنْ رَجُلٍ دَخَلَ مَعَ الإِمَامِ فَنَسِيَ تَكْبِيرَةَ الاِفْتِتَاحِ وَتَكْبِيرَةَ الرُّكُوعِ حَتَّى صَلَّى رَكْعَةً ثُمَّ ذَكَرَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ كَبَّرَ تَكْبِيرَةَ الاِفْتِتَاحِ وَلاَ عِنْدَ الرُّكُوعِ وَكَبَّرَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ قَالَ يَبْتَدِئُ صَلاَتَهُ أَحَبُّ إِلَىَّ وَلَوْ سَهَا مَعَ الإِمَامِ عَنْ تَكْبِيرَةِ الاِفْتِتَاحِ وَكَبَّرَ فِي الرُّكُوعِ الأَوَّلِ رَأَيْتُ ذَلِكَ مُجْزِيًا عَنْهُ إِذَا نَوَى بِهَا تَكْبِيرَةَ الاِفْتِتَاحِ . قَالَ مَالِكٌ فِي الَّذِي يُصَلِّي لِنَفْسِهِ فَنَسِيَ تَكْبِيرَةَ الاِفْتِتَاحِ إِنَّهُ يَسْتَأْنِفُ صَلاَتَهُ . وَقَالَ مَالِكٌ فِي إِمَامٍ يَنْسَى تَكْبِيرَةَ الاِفْتِتَاحِ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْ صَلاَتِهِ قَالَ أَرَى أَنْ يُعِيدَ وَيُعِيدُ مَنْ خَلْفَهُ الصَّلاَةَ وَإِنْ كَانَ مَنْ خَلْفَهُ قَدْ كَبَّرُوا فَإِنَّهُمْ يُعِيدُونَ .


বর্ণনাকারী: