আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

৩. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৬২
৪. নামাযের আরম্ভ
রেওয়ায়ত ১৭. আলী ইবনে হুসায়ন আলী ইবনে আবি তালিব (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযের মধ্যে যখন নীচের দিক ঝুঁকিতেন ও মাথা উপরে তুলিতেন তখন তকবীর (আল্লাহু আকবার) বলতেন। তিনি আল্লাহর সহিত মিলিত হওয়া পর্যন্ত এইভাবে নামায পড়িয়াছেন।
بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَبِّرُ فِي الصَّلَاةِ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ، فَلَمْ تَزَلْ تِلْكَ صَلَاتَهُ حَتَّى لَقِيَ اللَّهَ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নামাযে প্রত্যেক উঠা-বসার সময় তাকবীর বলতে হয়। এ ছাড়াও হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ স. যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলতেন আবার রুকুতে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন। রুকু থেকে পিঠ সোজা করে উঠার সময় سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه বলতেন এবং দাঁড়িয়ে رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলতেন। অতঃপর সিজদাতে যাওয়ার সময় এবং সিজদা থেকে উঠার সময়, আবার দ্বিতীয় সিজদাতে যাওয়ার সময় এবং সিজদা থেকে উঠার সময় তাকবীর বলতেন। এভাবেই পুরো নামায শেষ করতেন। আর দ্বিতীয় রাকাতের বৈঠক শেষে যখন উঠতেন তখনও তাকবীর বলতেন। (বুখারী: ৭৫৩) এ হাদীস থেকে আরো স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, নামাযে প্রত্যেক উঠা-বসায় তাকবীর বলতে হয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৭৬)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
rabi
বর্ণনাকারী:
মুওয়াত্তা মালিক - হাদীস নং ১৬২ | মুসলিম বাংলা